মহান রব ইনসান সৃষ্টি করেছেন। সূরা আর রহমান আয়াত ৩ -খালাকাল ইনসান। ইনসানের মধ্যে অসংখ্য গুণাবলী দিয়েছেন। দিয়েছেন ভাবাবেগ। দয়াময় রব ইনসানকে অত্যন্ত ভালোবেসে সৃষ্টি করেছেন।
দুনিয়ায় যেমন অফুরন্ত নেয়ামত দান করেছেন পরকালের জন্যও কল্পনাতীত নেয়ামত মজুদ রেখেছেন। কিন্তু সৃষ্টির সেরা হয়েও ইনসান ইবলিশের পদাংক অনুসরণকরে বিপদগামী হয়।
স্বীয় রবের কারিশমা, মহিমা ভুলে নফ্সের দাসত্ব করতে শুরু করে। আল্লাহর দেয়া সরল পথ ছেড়ে মানব রচিত বিধি বিধান দিয়ে জীবন পরিচালবা করে। দয়াময় পালনকর্তা এত নেয়ামত দেয়ার পরও বান্দা তাঁকে ভুলে যায়।
রবকে ভুলে যায় এখানেই শেষ নয় দুনিয়ায় তাঁর বিরোধিতা শুরু করে। মহান রবকে প্রতিপক্ষ বানিয়ে ফেলে। ইনসানের কান্ড পরিসমাপ্তি ঘটেছে তা নয় বরং আরও ভয়ানক এবং বিপদজনক রূপ হলো দুনিয়ায় চরম বিশৃঙ্খলা ও বিপর্যয় সৃষ্টি করা।
নিজেই প্রভু বনে যায়। ইনসান ইনসানের উপর প্রভুত্ব তৈরি করে চরম ঔদ্ধত্য প্রদর্শন করে। বর্তমান সমাজ ও বিশ্ব ব্যবস্থায় খুব সহজেই বোধগম্য। মাজলুমের আর্তনাতে প্রতিনিয়ত ভারী হচ্ছে দুনিয়ার আকাশ।
ইনসান অন্য ইনসানের সম্পদ ও সম্মানের ক্ষতি সাধন করেই অবসর নয় জীবন নাস করতে ও দ্বিধা বোধ করে না। দয়াময় আল্লাহ ইচ্ছে করলেই সব অন্যায় ও গুনাহ মাফ করে দিবেন কারণ তিনি গাফুর, রারীম ও রাহমান কিন্তু অন্যের হক কখনও মাফ করবেন না।
এত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি আমরা হর হামেশাই ভুলে যাই। অথচ আমরা নিজেক ঈমানদার হিসেবে দাবি করি, সালাত-সিয়াম আদায় করি, হাজ্ব পালন করি, যাকাত আদায় করি।
নিজের হক ষোল আনাই বুঝে নেই কিন্তু অন্যের হকের বিষয়ে আমরা গাফেল। অথচ পরকাল বরই ভয়ংকর স্থান যেথায় দুনিয়ার কোন কারেন্সি ও নেটওয়ার্ক কাজে আসবেনা।
ফায়দা করতে পারবেনা কোন প্রভাব প্রতিপত্তি। হায়াত থাকতেই আমাদের আত্ব উপলব্ধি আসুক আল্লাহর হক ও বান্দার হক সম্পর্কে। ওমা তাওফিক ইল্লা বিল্লাহ।