কিডনি রোগের লক্ষণ অনেকে জানেন না । আজকের পোষ্টে আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করতে যাচ্ছি কিডনি রোগের সাধারন কিছু লক্ষন ।
বাংলাদেশ বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই কিডনির অসুখ ধরা পড়ে। একেবারে ফাইনাল স্টেজে যখন কিডনি ট্রান্সপ্লান্ট হয়ে দাঁড়ায়।
একমাত্র অপশন এই অবস্থায় আমরা ডোনার না পাওয়া পর্যন্ত ডায়ালাইসিস করে রোগীর প্রাণ বাঁচিয়ে রাখার চেষ্টা করি।
বুঝতে পারছেন ডায়ালাইসিস কিডনি রোগ ভালো করতে পারে না অথচ বাংলাদেশে প্রতিবছর নতুন করে ৩৫৮০০ জন সেবার জন্য সিরিয়ালে যুক্ত হচ্ছেন ।
বরং সময় মত না পাওয়া যাওয়ার কারণে প্রতিবছর প্রায় ২০ হাজার রোগীর মৃত্যু বরণ করছেন।
এজন্য আপনাকে ও আপনার প্রিয়জনকে নিরাপদ রাখতে চাইলে প্রাথমিক অবস্থায় কিডনির অসুখ আইডেন্টিফাই করতে পারাটা খুবই জরুরী।
কিডনি রোগের লক্ষণ
তাই স্বাস্থ্য নিয়ে আজকের পোস্টের মাধ্যমে আমি ফারহানা হোসাইন আপনাদের জানাবো কিডনির অসুখের ১৫ টি লক্ষণ যা দেখে আপনারা সাবধান হতে পারেন আপনার ফিটনেস নিয়ে।
শুরু করছি আজকের টপিক কিডনি অনেক গুরুত্বপূর্ণ ফাংশন ওয়াটার লেভেল নিয়ন্ত্রণ মিনারেল এর ব্যালেন্স মেনটেন করা।
দূষিত অভিশপ্ত পদার্থবিদ্যার করা রেড ব্লাড সেল তৈরি হার গঠন এবং ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রণে কাজ করে।
তাই কিডনির কার্যক্ষমতা কমে গেলে শরীরে এমন কিছু লক্ষণ দেখা দেবে যা দেখে আগে থেকে সাবধান হওয়া যায়।
এই লক্ষণগুলো আমরা চার ভাগে ভাগ করতে পারি ।
১ .অক্সিজেন এর অভাবজনিত লক্ষণ।
২. শরীরের বিষাক্ত ও দূষিত পদার্থ বের যাওয়ার লক্ষণ।
৩. শরীরে ফ্যাট বেড়ে যাওয়ার লক্ষণ।
৪. প্রস্রাবের অস্বাভাবিক পরিবর্তন।
এবার এগুলো সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন।
কিডনি রোগে অক্সিজেনের অভাব:
শরীরে অক্সিজেনের অভাব কিডনি থেকে হরমোন তৈরি হয় যা আমাদের রক্তের কণিকা অর্থাৎ রেড ব্লাড সেল তৈরিতে ভূমিকা রাখে ।
কিডনির কাজ হচ্ছে সারা দেহে অক্সিজেন পৌঁছে দেওয়া কিডনি দুর্বল হয়ে পড়লে সারা শরীরে পর্যাপ্ত অক্সিজেন পৌঁছাতে পারে না।
এটি এক ধরনের অ্যানিমিয়া এবং এর ফলে যে উপসর্গ দেখা যায় তা হল সব সময় অবসন্ন ফিল করা মনে হবে কোন কাজে এনার্জি পাবেন না।
সব সময় তন্দ্রাচ্ছন্ন অনুভব করতে পারেন।মাঝে মাঝে জ্ঞান হারানো, অল্পতেই হাঁপিয়ে ওঠা মানিয়ে উঠলেও আপনার অনেক কষ্ট হবে।
সারাক্ষণ শুধু অনুভব করা গরমের দিনে হাঁসফাঁস করলেও দেখা যাবে আপনার ঠান্ডা লাগছে।
স্মৃতিশক্তি ও চিন্তাশক্তি লোপ পাওয়া:
স্মৃতিশক্তি ও চিন্তাশক্তি কমে যাওয়া দেখবেন এটা সেটা ভুলে যাচ্ছেন এবং মনোযোগ দিয়ে কোন কিছু ভাবতে পারছেন না।
শরীরের টক্সিন বেরিয়ে যাওয়া আপনার কিডনির প্রধান কাজ আপনার শরীর থেকে দূষিত অভিশপ্ত ফিল্টার করে তা বের করে দেওয়া।
তাই আপনি দুর্বল হয়ে পড়লে আপনার শরীরে স্বাভাবিকের তুলনায় টক্সিনের মাত্রা অনেক বেড়ে যাবে।
এবং এর ফলে যে লক্ষণগুলো দেখা দেবে তা হল ভালোভাবে ঘুম না হওয়ার কারণ ভ্যাকসিন বেশি থাকায় বের হতে পারে না। কিন্তু হয়ে যাওয়া ও চুলকানি হাওয়া রুচি কমে যাওয়া খাবারের স্বাদ পাবেন না
ক্ষুধা কমে যাবে মুখে দুর্গন্ধ হওয়া অনেকটা রোজা থাকা অবস্থায় যেমন হয় তেমন এবং হজমের নানাবিধ সমস্যা যেমন কোন কিছু খেলেই বমি ভাব ইত্যাদি।
ফ্যাট বেড়ে যাওয়া:
শরীরে ফ্যাট বেড়ে যাওয়ায় কিডনি ফাংশন এর অসুবিধা হলে আমাদের শরীরের ওয়েট বেড়ে যেতে পারে এবং এর ফলে আপনার শরীরে যে লক্ষণ দেখতে পাবেন তাহলোঃ
ফুসফুসে পানি জমে যাওয়া এর কারনে আপনি অল্পতেই হাঁপিয়ে যাবেন মতো চোখের নিচে ফুলে যাওয়া হাত ও পায়ে পানি চলে আসা.
প্রস্রাবের পরিবর্তন :
রাতে ঘুম ভেঙে যাওয়া প্রস্রাব করতে কষ্ট হয় অর্থাৎ অনেক চাপ দিয়ে করতে হয়। প্রস্রাবে ফেনা প্রসাবের সাথে রক্ত অস্বাভাবিক রং বাদামী হালকা হয় কারণ বেশিরভাগ রোগীর কিডনি অকেজো হওয়ার আগে কোন কিছু বুঝতে পারেন না।
তবে প্রাথমিক অবস্থায় ডায়াগনোসিস ও চিকিৎসা হলে কিডনির রোগী পুরোপুরি সুস্থ হতে পারেন।
কিডনি রোগের লক্ষণ সর্বশেষ
আশাকরি এই পোষ্টটি দেখার পর আপনি আপনার প্রিয় জন সভায় কিডনী অসুখ সম্পর্কে আগেভাগেই সাবধান হতে পারবেন।
কিডনি রোগের লক্ষণ পোষ্টটি ভাল লেগে থাকলে প্লিজ লাইক ও কমেন্ট করুন। ব্লগইনফো বিডি নিয়ে আমাদের আরও পোষ্টটি দেখতে চাইলে সাবস্ক্রাইব করুন।
আমাদের ওয়েবসাইটে ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট স্বাস্থ্য বিষয়ক পোষ্ট পেতে নিচে কমেন্ট করুন ।