মানুষের Guideline এর জন্য মহান রব অসংখ্য আসমানি কিতাব দুনিয়ায় প্রেরণ করেছেন।
প্রধান ও প্রসিদ্ধ কিতাবের মধ্যে কোনআন মাজিদ, তাওরাত, যাবুর ও ইঞ্জিল সর্বাধিক বিশুদ্ধ এবং সবার জন্য অনুকরণীয়। (কোরআন মাজিদ নাজিলের পর বাকি আসমানি কিতাবগুলোর অনুসরণ রহিত হয়েছে)
চারটি প্রধান কিতাবের মধ্যে কোরআন মাজিদ সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ মোযোযা।
কোরআন মাজিদ সর্বকালের চূড়ান্ত মোযেযা কেন?
#১. এই কোরআন মানব রচিত কোন গ্নন্থ নয়। কোন কিছু লেখা বা ছাপার পর যে কোন লেখক বা দার্শনিক শুরুতেই ভুল ত্রুটির জন্য ক্ষমা চেয়ে নেন।
কিন্তু মহান আল্লাহ কোরআনের শুরুতেই চেলেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছেন।
ذٰلِكَ الۡكِتٰبُ لَا رَیۡبَ ۚۖۛ فِیۡهِ ۚۛ هُدًی لِّلۡمُتَّقِیۡنَ ۙ﴿۲﴾
এটা এমন এক কিতাব যেখানে কোন ত্রুটি নেই। সূরা বাকারা আয়াত ২।
#২. কোরআন মাজিদ লিখিত আকারে নাজিল হয়নি।
মালাইকা জিবরিল আ. এর মাধ্যমে প্রেরণ করা হয়। কোন একটা বক্তব্য একজন অন্য জনের কাছে হুবুহু ব্যক্ত করতে পারবেনা।
বাচন বঙ্গি, শব্দ চয়ন ইত্যাদিতে হেরফের হবেই। কিন্তু কোরআন মাজিদ জিবরিল আ. এর মাধ্যমে লিখিত বা রেকড না করে ও হুবুহু সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ মহা মানব আদর্শ শিক্ষক হযরত মুহাম্মাদ সা. এর কাছে নিয়ে আসছেন।
দুনিয়ার যে কোন অঞ্চলে, যে কোন মানুষের কাছে Transfer হচ্ছে নির্ভূলভাবেই। লোক মুখে কোন একটি ঘটনা বা মানুষের বক্তব্য Transfer হলে ; হয় বাড়িয়ে বলবে না হয় কমিয়ে বলবে এটাই স্বাভাবিক।
হুবহু বক্তব্য বা কথা মালা অন্যের জাছে transfer করা মোটেও সম্ভব নয়।
কিন্তু মহান রবের ভাষা ছড়িয়ে পড়ছে পুরো বিশ্বময় যে কোন ভাষাভাষি এবং যেকোন বয়সের মানষুর মাঝে একেবারে নিখুঁতভাবেই।
#৩. আল কোরআন সকল বিজ্ঞানের উৎস।
یٰسٓ ۚ﴿۱﴾وَ الۡقُرۡاٰنِ الۡحَكِیۡمِ ۙ﴿۲﴾١
– সূরা ইয়া সীন আয়াত ১- ২। পৃথিবীর কোন বিজ্ঞান একটি মাত্র শাখা বা প্রশাখা নিয়ে আলোচনা করে।
কিন্তু কোনআন মাজিদ সামগ্রিকভাবে সকল বিজ্ঞানের উৎস নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। বিভিন্ন তাফসিরে সূক্ষাতিসূক্ষভাবে ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ করেছেন সম্মানিত তাফসিরকারকগন।
জগতের সকল বিজ্ঞান, যেমন প্রাণী বিজ্ঞান, জীব বিজ্ঞান প্রদার্থ, রসায়ন, ভাষা বিজ্ঞান ইত্যাদি বিজ্ঞানের চুম্বক আলোচনা উল্লেখযোগ্যভাবে Quote করা হয়েছে।
মহা বিশ্বের মহা বিষ্ময় কোরআন মাজিদে ।
কেয়ামতের আগ পর্যন্ত যত বিজ্ঞানই আসুক আল কোরআনের কাছেই তথ্য উপাত্ত ধার করতে হবে। কোরআন মাজিদ কোনদিন কারো কাছে অণু মাত্র সহায়তা চাইবেনা।
#৪.।কোরআন মাজিদ স্বয়ং মহান রবের পবিত্র কালাম।
কোন ব্যক্তি সম্পর্কে কিছু জানতে হলে তার সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে হবে। ধরুন, কোন এক লোক চুপ বসে আছে। তার নামও জানেন না, ব্যক্তিত্ব জানেন না। কোন কিছু না জেনে তার সম্পর্কে মন্তব্য বা সিদ্ধান্ত নেয়া যাবে না।যখনি তার পরিচয় পাওয়া যাবে তখন তার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া সহজ হবে। মহান রব সম্পর্কে জানতে চাইলে তাঁর সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে হবে। আসুন মহাবিশ্বের রাজাধিরাজ মহান রবের কিছু বাক্য পাঠ করি- আল্লাহু লা ইলাহা ইল্লা হুয়াল হাইয়্যুল কাইয়্যুম সুরা আলে ইমরান আয়াত ২