...

ক্যান্সার রোগীর খাবার তালিকা

193 views

ক্যান্সার রোগীর খাবার তালিকা কোন কোন খাবার খেলে ক্যান্সার হয় গতকালের পোষ্টে সেই তথ্য  বিস্তারিত ভাবে জানিয়েছি।

যারা গতকালের পোষ্টে দেখেছেন তারা জানেন আমি পোষ্টে  শেষ করার পর বলেছিলাম কোন কোন খাবার খেলে ক্যান্সার প্রতিরোধ করা সম্ভব সেই সম্পর্কে।







ক্যান্সার রোগীর খাবার তালিকা

আগামীতে জানাবো আজ আপনাদের জানাবো এই তথ্য কোন কোন খাবার খেলে ক্যান্সার হবে না। 

আশা করছি এই গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দেখার জন্য অবশ্যই সবাই আজকের পোষ্টে  টি সম্পূর্ণ দেখবেন। 

কারণ ক্যান্সার একটি মরন রোগ একথা সকলেই জানেন। ব্যস্ততা এবং সচেতনতার অভাব।

এই দুটো কারণে নিজেদের অজান্তেই বিপদের দিকে প্রতিনিয়ত এগিয়ে যাচ্ছি। আমরা এই রকমই একটি বিপদ নাম ক্যান্সার

অথচ একটুখানি সচেতন হলেই আমাদের খাদ্যভ্যাস প্রতিরোধ করবে এই মারণ রোগ খুব কঠিন কিছু নয় মাত্র ১০ টি খাবারের নাম জনাব।

আজ সপ্তাহে সাত দিন তিনি যদি এই দশটি খাবার একটি বা দু’টি আপনার খাদ্য তালিকায় থাকে। তবে সহজেই এই মরণ ব্যাধি প্রতিরোধ করা সম্ভব।

যেকোনো নতুন তথ্য সবার আগে পেতে আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিত করুন ।







গাজর

ক্যান্সার রোগীর খাবার তালিকা
image by azerbaijan_stockers on Freepik

প্রথম খাবারের পুষ্টিগুণ ও ভিটামিন ই ভরপুর একটি খাদ্য গাজরে প্রচুর পরিমাণে বিটা ক্যারোটিন আছে।

যা বিভিন্ন ক্যান্সার ফুসফুস ক্যান্সার শ্বাসনালী ক্যান্সার পাকস্থলী ক্যান্সার অঞ্জু ক্যান্সার এমনকি স্তন ক্যান্সার প্রতিরোধ করে।

প্রতিদিন যদি আপনি সঠিক নিয়মে কাজের খেতে পারেন তবেই সম্ভব ক্যান্সার প্রতিরোধ করার নিয়মটা হলো সকাল বেলায় খালি পেটে পানি পান করার কুড়ি থেকে ২৫ মিনিট পরে ।

অবশ্যই নাস্তা করার ন্যূনতম ৩০ মিনিট আগে ৭০ থেকে ১০০ গ্রাম পরিমাণ গাজর ব্লেন্ড করে বা জুস করে অল্প করে পানি মিশিয়ে পান করতে হবে।

যদি এইভাবে গাজর খেতে পারেন তবেই গাজরের সম্পূর্ণ পুষ্টিগুণ আপনার দেহ শোষণ করতে পারবে এবং এতে কোনো ক্ষতিও হবে না ।

এইভাবে গাজরের জুস পান করলে ক্যান্সার প্রতিরোধ করা সম্ভব সেই সাথে আরো অনেক রোগ প্রতিরোধ আবে এই ভাবে গাজরের জুস খেলে।

টমেটো

দ্বিতীয় খাবারটি হচ্ছে টমেটো । নিউট্রাল পাওয়ার হাউস যা ক্যান্সারের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে ।

টমেটোতে লাইকোপেন নামের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে যা হৃদ রোগ প্রতিরোধ করে। টমেটোতে ভিটামিন এ’ সি’ এবং জি’ থাকে।

যা কিনা ক্যান্সার বান্ধব মৌলের টমেটোর রস ক্ষতিকর ডিএনএর কোষ নষ্ট করে ফেলে।

কিন্তু টমেটো রান্না করে খেলে বাচ্চা রাত করে খেলে এই উপকারিতা পাবেন না যেভাবে গাজরের জুস করে খাও সেই তবে আপনি টমেটোর জুস করে খেতে পারেন।







তবে টমেটো এবং গাজর একসাথে জুস করে খাবেন না যদি আপনি সপ্তাহে তিনদিন গাজর খান। তবে অন্য চারদিন টমেটো খান এইভাবে ঘুরি-ফিরি আপনার খাদ্য তালিকা প্রস্তুত করতে হবে।

ফুলকপি

ফুলকপি ফুলকপিতে রয়েছে ভিটামিন সি ভিটামিন কে ফলে ভিটামিন মিনারেল এবং সালফোরাফেন নামে একটি যৌগ। 

যা শরীরের ক্যান্সার টিউমার বৃদ্ধির গতি কে রোধ করেন।

এজন্য ফুলকপি আপনাকে ভালো করে চিবিয়ে খেতে হবে। যাতে সালফোরাফেন যৌগটি শরীরের নির্দিষ্ট ক্যান্সার কোষ গুলোকে ধ্বংস করে।

তবে আমাদের দেশে যেভাবে ফুলকপিতে কীটনাশক ব্যবহার করা হয়। সেই জন্য কাঁচা ফুলকপি একদম খাওয়া যাবেনা। ফুলকপি খাওয়ার জন্য ফুলকপি ভালো করে ধুয়ে লবণ পানিতে ভিজিয়ে রাখুন।

৩০ মিনিট এরপর ফুলকপি হ্যাপি ফাস্ট টিমে 5 থেকে 7 মিনিট সেদ্ধ করে চিবিয়ে খেতে পারেন। যদি বেশি করে তেল মসলা দিয়ে রান্না বা ভাজা করে ফুলকপি খান। তাহলে এসব গুণ নষ্ট হয়ে যায় ।

ব্রকলি

ব্রকলি দ্বিতীয় ফুলকপির মতো শক্তিশালী সালফোরাফেন রয়েছে যা প্রোস্টেট ক্যান্সার এবং স্তন ক্যান্সার প্রতিরোধে বিশেষ ভাবে কাজ করে।

ফুলকপি যেভাবে খাওয়ার কথা বললাম একই নিয়মে আপনি ব্রকলি ও খেতে পারেন। নিজেকে সুস্থ রাখতে চাইলে এবং ক্যান্সার প্রতিরোধ করতে চাইলে এই ভাবেই সবজি খেতে হবে।

আদা

আদা এমন একটি উদ্ভিদ মূলজ জ্বর, ঠান্ডা, হার্টের সমস্যা, কোলেস্টেরলের সমস্যা, উচ্চ রক্তচাপ, আর্থ্রাইটিসের ব্যথা এবং ক্যান্সার রোগ প্রতিরোধ করতে পারে।

ক্যান্সারের মতো জটিল অসুখও নিরসনে আদা খুব কার্যকরী ভূমিকা রাখে ।

ক্যান্সার নিরাময়ের প্রচলিত প্রতিষেধক হিসেবে কেমোথেরাপি থেকে আদা ১০ হাজার গুণ বেশি শক্তিশালী মেডিসিন। যা শরীরের নির্দিষ্ট ক্যান্সার কোষ গুলোকে ধ্বংস করে।

এর জন্য আদা খেতে হবে কাঁচা কাঁচা আদা সকালে খালি পেটে পানি পান করার পরে চিবিয়ে খেয়ে নিন । এক ইঞ্চি থেকে দুই ইঞ্চি পরিমাণ কাঁচা আদা আপনি খেতে পারেন ।

যারা আদা চিবিয়ে খেতে পারবেন না তারা আদার রস করে খাবেন । ছোট শিশু আদা খেতে পারবে ১ চা-চামচ থেকে দুই চা-চামচ পর্যন্ত আদার রস প্রতিদিন সকালে খেলে ।

আপনি এমনিতেই সুস্থ থাকবেন কোন রোগ আপনার ধারে কাছে আসবেনা ।

আদা আপনি দীর্ঘদিন খেতে পারেন এমনকি টানা ছয় মাস পর্যন্ত খাওয়ার পরে আবার এক থেকে দেড় মাস গ্যাপ দিয়ে আবার খেতে পারেন।

এতে আপনার শরীরের কোন খারাপ পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া তৈরি হবে না হয় রসুন কাঁচা রসুন খান তাদের ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা অনেক কম ক্যান্সারের জীবাণু প্রতিরোধ করে।







কাঁচা রসুন

এমনকি কিছু ক্যান্সারের জীবাণু ভেঙে ফেলেছে তাই প্রতিদিন কাঁচা রসুন খান। সকালবেলায় সকালবেলায় কাঁচা রসুন খেতে সমস্যা হয় তাহলে রসুন কুচি কুচি করে। 

এককাপ এক গ্লাস গরম পানিতে ভিজিয়ে রাখুন । পানি খাওয়ার মত গরম থাকা অবস্থায় থেকে পান করুন। 

এতে কাঁচা রসুন খেলে যে সাধারণত সমস্যাগুলো হয় তা হবে না এবং রসুনের উপকারিতা সেটাও আপনি পাবেন

হলুদ

হলুদ এর রয়েছে কারকিউমিন নামে একটি উপাদান যা ক্যান্সার প্রতিরোধ করে। 

এছাড়া এটি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা দেহের মধ্যে প্রবেশ করে ভেতর থেকে দেহকে ক্যান্সার প্রতিরোধী করে তোলে। 

প্রতিদিন যদি কাঁচা হলুদ চিবিয়ে খেতে পারেন। আদার মত মানে আপনি একই দিনে আদায় এবং হলুদ চিবিয়ে খেতে পারবেন।

হলুদ পরিমান মত সমপরিমানে নেওয়া যাবে তবে হলুদ একটানা ছয় মাসের বেশি খাবেন । ৬ মাস খাওয়ার পরে ন্যূনতম দুই মাস গ্যাপ দিয়ে আবার খেতে পারেন। 

যদি কেউ চান তাহলে ভালো মানের হলুদ গুঁড়ো হাফ চা চামচ পরিমাণ এক গ্লাস দুধে মিশিয়ে রাতে ঘুমানোর আগে পান করতে পারেন।

হলুদ ক্যান্সার কোষকে শরীরের ভালো কোষ নষ্ট হওয়া থেকে বিরত রাখে এবং ক্যান্সার কোষকে নিস্তেজ করে দেয় সুতরাং অবশ্যই প্রতিদিন হলুদ খেতে চেষ্টা করুন ।

রান্নায় যারা হলুদ খান তাদের ক্ষেত্রে বলবো রান্নায় অবশ্যই ভালো মানের হলুদ খাওয়ার চেষ্টা করুন। এতে আপনার শরীর অনেক বেশি রোগ প্রতিরোধী হয়ে উঠবে।

গ্রীন টি

গ্রীন টি বা সবুজ চা ক্যান্সার প্রতিরোধে অনেক উপকারী এন্টিঅক্সিডেন্ট গ্যাসটির নাম একটি উপাদান থাকে।

যা বিভিন্ন ক্যান্সার প্রতিরোধ করতে পারে গ্রীন টিউমার হওয়া প্রতিরোধ করে সাধারণত চাইছি গ্রিন টি খুব উপকারী হয় তাই আপনি প্রতিদিন অবশ্যই এক থেকে দুই করে গ্রিন টি খাওয়ার অভ্যাস করুন।

মাছ

মাছ গতকালের ভিডিওতে বলেছি চাষের মাছ খেলে ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। কিন্তু যদি নদী বা সমুদ্রের মাছ খাওয়া যায় তাহলে আপনি ক্যান্সার প্রতিরোধ করতে পারবেন।

মাছের ওমেগা থ্রি ফ্যাটি এসিড অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি এন্ড টিউমার ও anti-cancer গুণসম্পন্ন কেমোথেরাপির পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া তা কমাতে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি এসিড খুব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।

নদী বা সমুদ্রের তৈলাক্ত মাছ অবশ্যই খাদ্যতালিকায় রাখুন 10 টক দই টক দই হলো প্রোবায়োটিক এবং ভালো ব্যাকটেরিয়ার উৎস। প্রোবায়োটিক টিউমারের বৃদ্ধি রোধ করে।







টকদই

অবশ্যই ক্যান্সার প্রতিরোধী টকদই রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম এবং ভিটামিন সি ভিটামিন ডি শরীরে পৌঁছায় তাহলে তা ক্যালসিয়ামের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়।

ক্যালসিয়ামের মাত্রা শরীর ঠিক থাকলে রেজাল্ট নানারকম ক্যান্সার প্রতিরোধ করা সম্ভব এছাড়া ব্রেস্ট এবং ওভারিয়ান ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়।

তাই আপনার খাদ্য তালিকায় প্রতিদিন ১০০ গ্রাম টক দই রাখার চেষ্টা করুন। যা দুপুরের খাবারের পর আপনি খাবেন আমি বিশেষভাবে টক দই খাওয়ার কথাই বলছি।

কারণ মিষ্টি দই চিনি ব্যবহার করা হয় সেটা ক্যান্সারের জন্য দায়ী তাই অবশ্যই টক দই খাবেন আর টক দই টা বিকাল বা সন্ধ্যায় পারেন না।

খাওয়াই ভাল টক দই খেলে ক্যান্সার প্রতিরোধ করার পাশাপাশি আপনার হার্ট ভালো থাকবে। হাই কোলেস্টেরল হাই প্রেসার থেকে আপনি রক্ষা পাবেন ডায়াবেটিসের রোগী থেকে শুরু করে।

প্রত্যেকেই এই টক দই খেতে পারেন শিশু থেকে বৃদ্ধ সকলের জন্যই উপকারী টকদই আপনি সারাজীবন মনে রাখবেন এবং প্রতিদিন চেষ্টা করবেন এর ভেতর থেকে দুই-একটি সম্ভব হলে আরো বেশি খাবার গ্রহন করতে ।







ক্যান্সার রোগীর খাবার তালিকা

পরিশেষ আমি বলতে চায় ক্যান্সার রোগীর খাবার তালিকা পোষ্ট যদি ভাল লেগে থেকে কমেন্ট করে জানাবেন। আর আরও কিছু জানার থাকলে সাপোর্ট বাটনে ক্লিক করবেন ।

আর নতুন নতুন পোষ্ট পেতে ব্লগইনফো বিডি ওয়েবসাইট নিয়মিত ভিজিত করবেন ।

BloginfoBD

আমি মোঃ সজিব মিয়া । কাজ করছি Bloginfobd, FST Bazar, FST IT , FST Telecom ওয়েবসাইটে ।


Leave a Comment

Seraphinite AcceleratorOptimized by Seraphinite Accelerator
Turns on site high speed to be attractive for people and search engines.