বর্তমানে মানসিক চাপ মানুষের দৈনন্দিন জীবনের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে দাঁড়িয়েছে। হোক সেটা পারিপার্শ্বিক অবস্থার দুশ্চিন্তা, ক্লান্তি কিংবা একঘেয়ে জীবন যা চাপ সৃষ্টি করে মনের ওপর।
মন ভালো থাকার সঙ্গে শরীরের সুস্থতা অনেকাংশে নির্ভরশীল। সেক্ষেত্রে এই চাপ দীর্ঘ সময়ে বয়ে বেড়ালে দেখা দিতে পারে বড় ধরনের রোগ। এমন কি হতে পারে হৃদরোগও । কেউ এই মানসিক রোগে ভুগলে উক্ত ব্যক্তির মধ্যে ধীরে ধীরে অভ্যন্তরীণ এবং মানসিক যে পরিবর্তনগুলো আসতে শুরু করে তা হলো:
মানসিক চাপের লক্ষণ
হঠাৎ বেশি উত্তেজিত হয়ে ওঠা, নিজেকে সবার কাছ থেকে সরিয়ে গুটিয়ে রাখার প্রবণতা, বেশি সময় ধরে মন খারাপ থাকা, কথা বলতে না চাওয়ায়, নিরানন্দ থাকা বা আগ্রহ কমে যাওয়া, নেতিবাচক চিন্তা করা, খাবারে অরুচি দেখা দেয়া, ঘুমের স্বল্পতা, সিদ্ধান্তহীনতায় ভোগা, হতাশা বা বিষন্নতা কাজ করা, মনমরা হয়ে থাকা, বিরক্ত অনুভব করা, মনে ভয় ভীতি কাজ করা ইত্যাদি ।
তবে এমনটি দেখা দিলে মানসিক রোগ বিশেষজ্ঞের সঙ্গে কথা বলা উচিত। কিন্তু এই চাপ অভ্যন্তরে প্রভাব ফেলে তা কিন্তু নয় বরং প্রভাবকালে মানুষের শারীরিক দিক দিয়ে যেমন দেখা দিতে পারে বুকে ব্যথা, উচ্চরক্তচাপ, বদহজম এমনকি ত্বকের সমস্যা ।
মানসিক চাপ কমানোর উপায়
দীর্ঘস্থায়ী মানসিক চাপ দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করে থাকে যার ফলে স্ট্রোক ,পেটের সমস্যা, আলসারের মত রোগের প্রবণতা বৃদ্ধি পায়। তাৎক্ষণিকভাবে চাপ কমানোর জন্য চুইংগাম চিবাইলে মানসিক চাপ ও দুশ্চিন্তা দুটোই কম হয়।
কারণ এতে ব্রেনের রক্ত চলাচল ঠিকভাবে হতে সহায়তা করে এছাড়া ঘরের বাহিরে কয়েক মিনিট সময় কাটানোর ফলে মানসিক চাপ কমে এবং সতেজ অনুভব হয়। এছাড়া দিনে এক্সারসাইজ যেমন লম্বা শ্বাস নিয়ে ধীরে ধীরে দম ছাড়া ব্যায়ামের মাধ্যমে মানসিক চাপ কমে।
তাছাড়া সকালে কিংবা বিকেলে হাঁটার অভ্যাস বা ব্যায়াম শারীরিক ও মানসিক অবস্থা ভাল রাখে। মানসিক চাপ থেকে পরিত্রান পাওয়ার জন্য মেডিটেশন খুব কার্যকরী। মেডিটেশন মনকে প্রশান্তি দেয় এবং মাংসপেশি শিথিল করে একই সাথে নিয়মিত এবং পর্যাপ্ত ঘুম শরীরের ক্লান্তি দূর করে মনকে প্রফুল্ল রাখে।
সুষম খাদ্য তালিকায় চাপ কমাতে সহায়ক ভূমিকা পালন করে। পরিমিত পরিমাণে সুষম খাদ্য ফল শাকসবজি প্রোটিন এবং প্রচুর পরিমাণে পানি পান করতে হবে। যতটা সম্ভব তেলেভাজা, ঝাল, শর্করা ও চর্বি জাতীয় খাবার ,সিগারেট, কফি, অ্যালকোহল ইত্যাদি পরিহার করতে হবে।
এই সময়টাতে সামাজিক বন্ধন এবং বন্ধুত্ব প্রবলভাবে দরকার হয়। তাদের সাথে সৃষ্ট সমস্যার কথা খুলে বলে মানসিক চাপ কমে আসে। পরিবার আপনজন ও বন্ধুর সঙ্গে বেশি বেশি সময় কাটালে মনে প্রশান্তি কাজ করবে।
তবে মানসিক চাপ দীর্ঘস্থায়ী হলে মানসিক রোগ বিশেষজ্ঞের সঙ্গে পরামর্শ করা উচিৎ। তাদের সাহায্য নিয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া উচিত.
Khubi উপকারী একটি পোস্ট । মানসিক সমস্যা সমন্ধে অনেক কিছু জানতে পারলাম ।♥️♥️🤟