...

শীতের তীব্রতা বৃদ্ধি: জনজীবনে বিপর্যয়

5 views

শীতের তীব্রতা বৃদ্ধি: জনজীবনে বিপর্যয়

বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলসহ বিভিন্ন অঞ্চলে শীতের তীব্রতা বেড়ে চলেছে। হিমেল বাতাস, ঘন কুয়াশা, ও তাপমাত্রা হ্রাস পাওয়ার কারণে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। বিশেষত কুড়িগ্রাম, রংপুর, দিনাজপুরসহ উত্তরাঞ্চলের জেলা সমূহে শীতের প্রকোপ আরও বেশি অনুভূত হচ্ছে।

শীতের তীব্রতা ও জনজীবন

গত কয়েকদিন ধরে উত্তরাঞ্চলে সূর্যের দেখা মেলেনি। কুয়াশার পরিমাণ এতটাই বেশি যে দিনেও যানবাহনগুলোকে হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে। রাস্তাঘাট অনেকটাই ফাঁকা হয়ে পড়েছে। স্কুলগামী শিশু এবং কৃষি কাজের সঙ্গে যুক্ত শ্রমিকরা সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন। ঘন কুয়াশা এবং ঠান্ডা বাতাসের কারণে মানুষের দৈনন্দিন কাজকর্ম বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। বিশেষ করে নিম্নআয়ের মানুষ, যারা দিনমজুরি বা খোলা আকাশের নিচে কাজ করেন, তাদের জীবনে শীত আরও বেশি চ্যালেঞ্জ নিয়ে এসেছে।

তাপমাত্রার অবস্থা

বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্যমতে, চলতি সপ্তাহে তাপমাত্রা আরও কমে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। বিশেষ করে উত্তরাঞ্চলের কুড়িগ্রাম ও পঞ্চগড় জেলায় তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নেমে আসতে পারে। এই ঠান্ডা আবহাওয়া শীতজনিত নানা রোগবালাই বৃদ্ধি করার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে।

শীতজনিত রোগবালাই

শীত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বিভিন্ন শীতজনিত রোগের প্রকোপ বাড়ছে। হাসপাতালগুলোতে শ্বাসকষ্ট, নিউমোনিয়া এবং ডায়রিয়ায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। শিশু ও বয়স্করা শীতজনিত রোগে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হচ্ছেন। বিশেষজ্ঞদের মতে, ঠান্ডা আবহাওয়ায় শীতবস্ত্র ব্যবহারের পাশাপাশি খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন আনা এবং পর্যাপ্ত পানি পান করা উচিত।

দুর্যোগ মোকাবিলায় উদ্যোগ

সরকার ও বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন শীতার্তদের মাঝে কম্বল ও গরম কাপড় বিতরণের উদ্যোগ নিয়েছে। তবে অনেক এলাকায় এই সহায়তা পৌঁছাতে সময় লাগছে। কুড়িগ্রামের স্থানীয় প্রশাসন জানিয়েছে, জেলার ৯টি উপজেলায় শীতবস্ত্র বিতরণ শুরু হয়েছে, তবে প্রয়োজনের তুলনায় সহায়তা এখনও পর্যাপ্ত নয়।

কৃষিখাতের চ্যালেঞ্জ

শীতের তীব্রতা কৃষকদের জন্যও এক বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। শীতের সময় ধানের চারা এবং সবজি চাষে কুয়াশার প্রভাব পড়ে। ফলে ফসলের ফলন কমার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। বিশেষজ্ঞরা জানান, শীতকালীন সবজি এবং ফসলের ক্ষতি এড়াতে কৃষকদের সেচব্যবস্থা এবং অন্যান্য প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নিতে হবে।

কীভাবে শীত মোকাবিলা করা যায়

১. শীতবস্ত্র সংগ্রহ এবং ব্যবহার নিশ্চিত করা।
২. শিশু ও বয়স্কদের জন্য বিশেষ যত্ন নেওয়া।
৩. শীতজনিত রোগের লক্ষণ দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া।
৪. ঘরের ভেতরে পর্যাপ্ত আলো ও তাপ নিশ্চিত করা।

উপসংহার

শীতের এই তীব্রতা বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলের মানুষের জন্য বড় একটি চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। শীতার্তদের সাহায্যে সরকারের পাশাপাশি সাধারণ মানুষকেও এগিয়ে আসতে হবে। শীত মোকাবিলায় সমন্বিত উদ্যোগই পারে এই দুর্যোগের প্রভাব কমাতে।

BloginfoBD

আমি মোঃ সজিব মিয়া । কাজ করছি Bloginfobd, FST Bazar, FST IT , FST Telecom ওয়েবসাইটে ।


Leave a Comment

Seraphinite AcceleratorOptimized by Seraphinite Accelerator
Turns on site high speed to be attractive for people and search engines.