অনলাইন শিক্ষার সুবিধা অসুবিধা নিয়ে ব্লগইনফো বিডি এর নতুন পোষ্টে আপনাকে স্বাগতম। আজকের পোষ্টের টাইটেল দেখে বুঝে গেছেন আজকের পোষ্ট কী সম্পর্কে?
আজকের পোষ্টে আমি সংক্ষেপে আলোচনা করব আমাদের দেশের কিছু অনলাইন ভিওিক ওয়েবসাইট যার মাধ্যমে বাড়িতে বসে অনলাইন শিখতে পারবেন ।
এছাড়া আরও আলোচনা করব অনলাইন শিক্ষার সুবিধা অসুবিধা, অনলাইন শিক্ষার প্রকারভেদ । তাহলে চলুন শুরু করা যাক:
ঘরে বসেই খুবই অল্প সময়ে দক্ষ শিক্ষকের মাধ্যমে কঠিন থেকে কঠিনতর সমস্যা সমাধানের মাধ্যম হলো অনলাইন।
শুধুমাত্র ইন্টারনেটের সাহায্যেই আমরা চাইলে এই কাজটি করতে পারি। আমাদের মধ্যে অনেকেই রয়েছে যারা দিনের বেশিরভাগ সময়ই অনলাইনে কাটিয়ে থাকি। বিনা প্রয়োজনে আমাদের অতি মূল্যবান সময় নষ্ট করি।
পাশাপাশি নষ্ট হয় আমাদের মূল্যবান ইন্টারনেটও। আমরা চাইলেই আমাদের এই সময় এবং ইন্টারনেটের সাহায্যে অনলাইনে ঘরে বসেই পড়াশোনা থেকে শুরু করে যেকোনো ধরনের কাজ খুব সহজেই করতে পারি।
আমাদের অতিপরিচিত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক এবং ইউটিউবের পাশাপাশি সনামধন্য এবং বিখ্যাত ব্রাউজার গুগলের মাধ্যমে আমরা আমাদের কাজ সম্পাদন করতে পারি।
অনলাইন শিক্ষার ইতিবাচক দিক
প্রত্যেক জিনিসেরই ভালো-খারাপ উভয় দিকই রয়েছে। অনলাইন শিক্ষার ক্ষেত্রেও এর ব্যতিক্রম কিছু নয়। আজ আমরা জানাবো
অনলাইন শিক্ষার ইতিবাচক এবং নেতিবাচক দিকগুলো। তাহলে চলুন, প্রথমেই অনলাইন শিক্ষার ইতিবাচক দিকগুলো জেনে নি।
১. সময় সাশ্রয়
শিক্ষককে শিক্ষা প্রদান এবং শিক্ষার্থীকে শিক্ষা গ্রহনের জন্য যেতে হয় না কোনো ধরনের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে।
অনলাইন শিক্ষার বিস্তারের মাধ্যমে বর্তমানে প্রত্যেকের বাড়িই একেকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। ফলে নিজের ঘরে বসেই ক্লাস করে নিজেদের মূল্যবান সময় অপচয় রোধ করা সম্ভব হয়।
২. অর্থ সাশ্রয়
স্বশরীরে ক্লাস নেওয়া এবং করার জন্য প্রয়োজন কোনো একটি গন্তব্যে বা প্রতিষ্ঠানে পৌঁছানো। যার জন্য আমাদের খরচ করতে হয় যাতায়াত ভাড়া।
কিন্তু অনলাইন শিক্ষার মাধ্যমে রক্ষা হচ্ছে আমাদের যাতায়াত খরচ। শুধুমাত্র নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সংযোগ, ইন্টারনেট ও যথাপোযুক্ত ডিভাইসের মাধ্যমে অনলাইন ক্লাস নেওয়া এবং করা সম্ভব।
অনেকক্ষেত্রে দেশে বসেই বিদেশে অর্থ সাশ্রয় করে উচ্চত্তর ডিগ্রি অর্জন করা সম্ভব।
৩. যেকোনো স্থান শিক্ষা গ্রহনের সুযোগ
অনলাইনে ক্লাস করার জন্য সুনিদিষ্ট কোন স্থানে উপস্থিত বা সুনিদিষ্ট ক্লাস রুমে উপস্থিত হওয়ার প্রয়োজন নেই।
পৃথিবীর যেকোনো স্থানে বসে ইন্টারনেটের সাহায্যে পাঠ্যক্রমে অংশ নিতে পারে।
ফলে ভূগৌলিক বাধা পেরিয়ে অনলাইন শিক্ষার মাধ্যমে দূরদুরান্তে বসে পৃথিবীর যেকোন প্রান্তে অনলাইন ক্লাসে অংশ নেয়া সম্ভব।
৪. রেকর্ডেড ক্লাসের সুবিধা
নিদির্ষ্ট সময়ে অনলাইন ক্লাসে উপস্থিত না হতে পারলেও প্রযুক্তির কল্যানে ক্লাস নোট এবং ভিডিও লেকাচার রেকর্ডেড আকারে সংরক্ষণ করে রাখা সম্ভব।
প্রচলিত শিক্ষা ব্যবস্থায় একদিন ক্লাসে উপস্থিত না হলে সেই ক্লাস আর পাওয়া সম্ভব হয় না এবং সেই ক্লাসে বোঝানো টপিকগুলো আর বোঝার সুযোগ হয়ে ওঠে না। যেটি অনলাইন ক্লাসে হয় না। অনলাইন শিক্ষা ব্যবস্থার এটি একটি বড় সুবিধা।
অনলাইন শিক্ষার প্রকারভেদ।
অনলাইন শিক্ষার ভিতর রয়েছে দুই ধরনের প্রকারভেদ। একটি পেইড এবং আরেকটি বিনামূল্যে।
পেইড ব্যাচের মাধ্যমে সামান্য কিছু অর্থের মাধ্যমে পড়া যায় এবং অপরটিতে প্রয়োজন হয় না কোনো ধরনের অর্থের।
অনলাইন শিক্ষার প্লাটফর্ম
বিনামূল্যে শিক্ষার জন্য বর্তমানে ফেসবুকে রয়েছে বহু পেইজ এবং ইউটিউবে রয়েছে বহু চ্যানেল। যার মধ্যমে আপনি শিখতে পারবেন ।
যেমন :
২. Shikho
৭. Educator Bro ইত্যাদি।
ইউটিউবে বা ফেসবুকে ক্লাস করার আরো একটি সুবিধা হলো যখন ইচ্ছা তখন যেকোনো ধরনের সমস্যার সমাধান পাওয়া :
ধরুন, আপনি আপনার পড়াশোনা অথবা অন্য কোনো একটি কাজে জটিলতা খুজে পেলেন। তখন বাজে রাত ১ টা।
আপনি চাইলেও বাইরে যেতে পারবেন না বা কাউকে কল করে বিরক্ত চান না। ঠিক তখনই আপনি ইউটিউবে বা গুগলে সার্চ করে মূহুর্তেই জেনে নিতে পারবেন আপনার সমস্যার সমাধান।
অনলাইন শিক্ষার নেতিবাচক দিক
এতক্ষণ তো জানলাম অনলাইন শিক্ষার ইতিবাচক দিকগুলো। চলুন এবার জেনে নেওয়া যাক এর নেতিবাচক দিকগুলোও।
১. পর্যাপ্ত নেটওয়ার্কের অভাব
একটি সুন্দর সাবলীল ক্লাস তৈরির জন্য ফোর জি নেটওয়ার্ক বা ব্রন্ডব্যান্ড সুবিধার প্রয়োজন, যা দুর্গম পাহাড়ি অঞ্চল, হাওড়-বাওড় অঞ্চল বা গ্রামাঞ্চলে আশা করা যায় না।
২. প্র্যাক্টিক্যাল ক্লাসের অসুবিধা
প্র্যাক্টিক্যাল ক্লাসের জন্যে ল্যাবে প্রয়োজনীয় মেটেরিয়ালসহ নির্দিষ্ট সময়ে উপস্থিত থাকতে হয়। যা অনলাইনে সম্ভব নয়।
৩. ক্লাস ফাঁকি দেওয়ার প্রবণতা
এমনিতেই শিক্ষার্থীরা ক্লাস ফাঁকি দিতে অভ্যস্ত, এর মধ্যে অনলাইন ক্লাসে বিভিন্ন অ্যাপ্স ব্যবহার করে মোবাইল বা কম্পিউটারের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা শিক্ষকের চোখ ফাঁকি দিয়ে বন্ধুদের সাথে আড্ডায় মেতে উঠে।
৪. প্রশ্নের সুযোগ না থাকা
অনলাইন ক্লাসের কিছু মৌলিক নিয়মে সীমাবদ্ধতা থাকার কারণে তাৎক্ষণিক প্রশ্ন করার কোনো সুযোগ থাকে না।
তাছাড়া রেকর্ডকৃত ক্লাস বা ফেসবুক লাইভ ক্লাস বা সংসদ টিভির ক্লাসেও তাৎক্ষণিক প্রশ্নের উত্তর পাওয়া সম্ভব হয় না। যেটি একটি বড় অসুবিধা বলে আমি মনে করি।
৫. স্বাস্থ্যগত সমস্যা :
প্রতিদিন দীর্ঘক্ষণ ইলেক্ট্রনিক ডিভাইসের সামনে বসে থাকার কারণে শিক্ষার্থীদের মধ্যে দেখা দিতে পারে স্বাস্থ্যগত বিভিন্ন ধরনের জটিলতা।
অনলাইন শিক্ষার সুবিধা অসুবিধা সর্বশেষ
পরিশেষ আমি বলতে চায় অনলাইন শিক্ষার সুবিধা অসুবিধা পোষ্ট যদি ভাল লেগে থেকে কমেন্ট করে জানাবেন। আর আরও কিছু জানার থাকলে সাপোর্ট বাটনে ক্লিক করবেন ।
আর নতুন নতুন পোষ্ট পেতে ব্লগইনফো বিডি ওয়েবসাইট নিয়মিত ভিজিত করবেন ।
ধন্যবাদ
আরও পড়ুন:
পড়ালেখায় মনোযোগী হওয়ার উপায়
দ্রুত সিলেবাস শেষ করার উপায় । How to Complete Syllabus