অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর বেসিক কিছু বিষয় নিয়ে আজকে আমি আপনার সাথে কথা বলব। আর সেই বিষয়গুলো হচ্ছে নাম্বার ওয়ান এফিলিয়েট মার্কেটিং কি? নাম্বার টু অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এবং ব্লগিং এর মধ্যে পার্থক্য কি এবং কোনটা বেশি লাভজনক। তিন নম্বর হচ্ছে কোন কোন মার্কেটপ্লেসগুলোর বেস্ট অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং ক্যারিয়ার শুরু করার জন্য।
এফিলিয়েট মার্কেটিং কি?
শুরুতেই বলবো এফিলিয়েট মার্কেটিং কি? অনলাইনে এমন লাখো কোম্পানি আছে যারা অ্যাফিলিয়েট পার্টনার নিয়ে থাকে। আপনি সেই সমস্ত কোম্পানিতে একজন অ্যাফিলিয়েট পার্টনার হিসেবে জয়েন করতে পারেন। সেই কোম্পানিগুলোর প্রোডাক্ট অথবা সার্ভিস আপনি প্রমোট করে সেল করার মাধ্যমে অ্যাফিলিয়েট আর্নিং করতে পারেন।
আরও পড়ুন:ইউটিউব থেকে কিভাবে টাকা আয় করা যায়-৮ টি উপায়
আপনার মাধ্যমে যখন একটি প্রোডাক্ট সেল হবে তখন প্রত্যেকটি সেল থেকে আপনি কমিশন পাবেন যেটাকে বলা হয় অ্যাফিলিয়েট সেলস আপনি কোন প্রোডাক্ট তৈরি করতে পারেন না বা আপনার কাছে কোন প্রোডাক্ট নাই কিন্তু অন্যান্য কোম্পানি আছে যাদের কাছে অনেক প্রোডাক্ট আছে।
ভালো কোয়ালিটির প্রোডাক্ট আছে যেগুলোকে মানুষ ট্রাস্ট করে এবং মানুষ অলরেডি কিনেছে। সে প্রোডাক্টগুলো কে আপনি আপনার অডিয়েন্সের কাছে সেল করে দিবেন এবং প্রতি সেলে আপনি প্রফিট পাবেন।
অনলাইনে খুব জনপ্রিয় একটি উপায় ক্যারিয়ার বিল্ডার অনলাইনে যতগুলো প্রফেশন আছে তার মধ্যে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং ইজ দা মোস্ট পপুলার ওয়ে বিল্ড এ অনলাইন ক্যারিয়ার।
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এবং ব্লগিং এর মধ্যে পার্থক্য কি?
পরবর্তীতে চলে যাই আর সেটা হচ্ছে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এবং ব্লগিং এর মধ্যে ডিফারেন্সটা কোথায় এবং কোনটা বেশি লাভজনক। এফিলিয়েট মার্কেটিং বুজেছেন। ব্লগিং জিনিসটাকে সেটা আমি আপনাকে বলে দিচ্ছি ।
ব্লগিং হচ্ছে আপনার একটি ওয়েবসাইট আপনি ক্রিয়েট করবেন এবং সে ওয়েবসাইটে আপনি বিভিন্ন বিষয় নিয়ে লেখালেখি করবেন ।আপনি অনলাইনে বিভিন্ন ব্লগিং সাইট ভিজিট করেন। বিভিন্ন বাংলা সাইটে আপনি ভিজিট করেন বিভিন্ন বাংলা লেখা পড়েন এই ওয়েবসাইটগুলোতে কিন্তু ব্লগিং সাইট ।
আরও পড়ুন:ইউটিউব থেকে আয় করার সেরা ৫ টি উপায়
একেকজন একেক বিষয় নিয়ে লিখছে তো আপনিও আপনার কি ওয়েবসাইট তৈরি করে ফেলতে পারেন । সেখানে আপনার যে বিষয়গুলো ভালো লাগে সে বিষয়গুলো নিয়ে লেখালেখি করতে পারেন। আপনি হেলথ টিপস রিলেটেড বিষয় নিয়ে লেখালেখি করতে পারেন। যে বিভিন্ন হেলথ টিপস বিউটি টিপস নিয়ে লেখালেখি করতে পারেন ।
যে বিষয়টা আপনার ভাল লাগে। আপনার ভালো লাগে এছাড়া বিভিন্ন প্রোডাক্ট নিয়ে রিভিউ করার মাধ্যমে আপনি ব্লগিং করতে পারেন ব্লগিংয়ের ছোট্ট একটি অংশ ব্লগিং হচ্ছে কমপ্লিট সলিউশন। আপনি আপনার ওয়েবসাইটে ব্লগিং বা কনটেন্ট রাইটিং করার মাধ্যমে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করতে পারবেন।
গুগল এডসেন্সের মাধ্যমে আপনি আর্নিং করতে পারবেন। আবার বিভিন্ন কোম্পানি থেকে স্পনসর্শিপ নেয়ার মাধ্যমে আর্নিং করতে পারবেন। আবার চাইলে আপনি আপনার ওয়েবসাইট থেকে সেল করে দেয়ার মাধ্যমে আর্নিং করতে পারবেন।
অর্থাৎ ব্লগিংয়ে মাল্টিপল রেভিনিউ সোর্স আছে। আর সেই মাল্টিপল রেভিনিউ সোর্স এর মধ্যে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং হচ্ছে একটি প্রতিদিন প্রচুর প্রশ্ন আছে আমার কাছে । আমি কয়টা কন্টেন্ট আমার ওয়েবসাইটে পাবলিশ করব? কত ওয়ার্ড কনটেন্ট আমার ওয়েবসাইটে পাবলিশ করব।
আরও পড়ুন:ফেসবুকে কিভাবে টাকা আয় করা যায় জেনে নিন
এই বিষয়গুলো নিয়ে এই প্রশ্নটার উত্তর আমি এখনই দিয়ে দিচ্ছি আপনি যতদিন ব্লগিং করবেন আপনাকে ততদিনই কনটেন্ট পাবলিশ করে যেতে হবে। কনটেন্ট পাবলিশ করার কোন লিমিট নেই যে ১০০০০ ওয়ার্ড ২০ হাজার ওয়ার্ড বা দশটা কন্টেন বা বিশটা কনটেন্ট।
আপনি যতদিন ব্লগে করবেন ততই আপনাকে প্রতিনিয়ত কনটেন্ট পাবলিশ করে যেতে হবে কোন কারণে আপনার ওয়েবসাইট থেকে যদি কেউ কোন প্রোডাক্ট নাও কিনে তারপরও কিন্তু কোন সমস্যা নেই। আপনার ওয়েবসাইট আপনি গুগল এডসেন্সের মাধ্যমে আয় করতে পারবেন।
একজন ভিজিটর আপনার ওয়েবসাইটে যখন ভিজিট করবে তখন সে যদি কোন প্রোডাক্ট নাও কিনে আপনার ওয়েবসাইটটা ভিজিট করে এতে ও আপনি গুগল এডসেন্সের মাধ্যমে আয় করতে পারবেন ।
ব্লগিং করলে আপনি শুধুমাত্র এক অ্যাফিলিয়েট উপর ডিপেন্ডেবল না । আপনার আরো অনেকগুলো উপায় থাকবে যেগুলোর মাধ্যমে আপনি দারুন একটি ক্যারিয়ার ডেভলপ করতে পারেন তাই আমি আপনাকে রিকমেন্ড করব আপনি কন্টেন্ট রাইটিং এবং ব্লগিং এর উপর সম্পূর্ণ কন্সেন্ট্রেশন দিন।
এতে করে আপনার জন্য মাল্টিপল রেভিনিউ সোর্স ডেভলপ হয়ে যাবে। শুধুমাত্র অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর উপর আপনি কোন কন্সেন্ট্রেশন করবেন না। তাহলে আপনি একটি মাত্র আয় এর সাথে কানেক্টেড থাকবেন। আর যখন ব্লগিং টা শিক্ষা নিয়ে এটা সঠিক ভাবে করবেন তখন আপনি মাল্টিপল রেভিনিউ সোর্স জেনারেট করতে পারবেন।
ফাইনালে যেটা বলব যে এফিলিয়েট মার্কেটিং এবং ব্লগিং এর মধ্যে একটা বিগ ডিফারেন্স আছে। অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং একটি অংশও কোন কোম্পানির প্রোডাক্ট সার্ভিসেস সেল করে দিবেন অনলাইনে এবং তার বিনিময় আপনি প্রত্যেকটা সেলে প্রফিট পাবেন।
ব্লগে হচ্ছে আপনার নিজস্ব একটি ওয়েবসাইট থাকবে ।যেখানে আপনি বিভিন্ন টপিকস এর উপর এ কনটেন্ট রাইটিং করবেন এবং সে কনটেন্ট রাইটিং এর মাধ্যমে আপনি বিভিন্ন উপায়ে রেভিনিউ জেনারেট করতে পারবেন। অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং হচ্ছে ব্লগিং ক্যারিয়ারের একটি মাত্রে আর্নিং সোর্স।
কোন কোন মার্কেটপ্লেসগুলোর বেস্ট অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং
অনলাইনে লক্ষ লক্ষ কোম্পানি আছে। যারা এক অ্যাফিলিয়েট পার্টনার নিয়ে থাকে কিন্তু সবগুলো মার্কেটপ্লেস আসলে বেস্ট না আপনার ব্লগিং এবং অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং ক্যারিয়ার শুরু করার জন্য।কয়েকটি জনপ্রিয় মার্কেটপ্লেস এর নাম আমি অবশ্যই বলব।
আর তার মধ্যে আমাজন, আলীএক্সপ্রেস এবং থিমফরেস্ট এই মার্কেটপ্লেসগুলোতে খুবই জনপ্রিয়। আমাজন ও আলীএক্সপ্রেস দুইটাই অনলাইন ভিত্তিক শপিংমল যেখানে মানুষের নিত্য প্রয়োজনীয় প্রায় সমস্ত প্রোডাক্ট পাওয়া যায়।
পুরো পৃথিবী থেকে লক্ষ কোটি মানুষ এই মার্কেটপ্লেসগুলোর থেকে প্রতিনিয়ত শপিং করে । থিমফরেস্ট একটি সফটওয়্যার এবং ডিজিটাল প্রোডাক্ট মার্কেটপ্লেসগুলোতে আপনার এবং আপনার ওয়েবসাইটের মাধ্যমে এই মার্কেটপ্লেসগুলোর প্রোডাক্ট সার্ভিস সেল করার মাধ্যমে আপনি ভালো মানের অ্যাফিলিয়েটস জেনারেট করতে পারেন।
আরও পড়ুন:কিভাবে ইউটিউব চ্যানেল থেকে টাকা আয় করা যায়
আজকে এই পর্যন্তই অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং নিয়ে আরও বিস্তারিত পরবর্তিতে আমি আলোচনা করব আপনাকে এই বিষয়গুলো সঠিকভাবে শিখে নিতে। আশা করি কানেক্টেড থাকবেন।
ধন্যবাদ