উচ্চ রক্তচাপ কমানোর উপায় আপনাদের সকলকে স্বাগতম । আজ আমাদের আলোচনার বিষয় হচ্ছে হাই ব্লাড প্রেসার বা উচ্চরক্তচাপ। হাই ব্লাড প্রেসার বা উচ্চরক্তচাপ নিয়ন্ত্রণের জন্য আমরা কি করতে পারি? সেগুলি আমরা জেনে নিব।
উচ্চ রক্তচাপ একটি স্থায়ী রোগ হিসেবে বিবেচিত। এর জন্য চিকিৎসা ও প্রতিরোধ দুটি জরুরি । বিভিন্ন জটিলতা এমনকি হঠাৎ করে মৃত্যুর ঝুঁকিও থাকতে পারে। এই রোগ ভয়ঙ্কর পরিণতি ডেকে আনতে পারে।
অনেক সময় উচ্চ রক্তচাপের কোন প্রাথমিক লক্ষণ দেখা যায় না। এটাই উচ্চ রক্তচাপের সবচেয়ে ভীতিকর দিক। যদিও অনেক সময় রোগীর বেলায় কোনো কোনো লক্ষণ থাকে না তবুও নীরবে উচ্চরক্তচাপ শরীরের বিভিন্ন অংশকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে।
উচ্চ রক্তচাপ কমানোর উপায়
জীবনযাত্রার পরিবর্তন এনে উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি কমানো সম্ভব। বংশগতভাবে উচ্চরক্তচাপ থাকলে তা কমানো সম্ভব নয়। তবে এরকম ক্ষেত্রে যেসব উপাদান নিয়ন্ত্রণ করা যায় সেগুলোর ব্যাপারে বেশ মনোযোগী হতে হবে ।
ওজন কমাতে হবে
খাওয়া-দাওয়া নিয়ন্ত্রণ ও নিয়মিত ব্যায়াম করতে হবে আমাদের লক্ষ্য অনুযায়ী ওজনের পৌঁছালে সীমিত আহার করা উচিত। ব্যায়াম অব্যাহত রাখতে হবে ওষুধ খেয়ে ওজন কমানো বিপদজনক। চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ওজন কমানোর ওষুধ না খাওয়াই ভালো।
খাদ্য গ্রহণের ক্ষেত্রে সর্তকতা
কম চর্বিযুক্ত খাবার গ্রহণ করতে হবে। যেমন খাসির মাংস, কলিজা , ডিম কম খেতে হবে । কম তেলে রান্না করা খাবার খেতে হবে যেমন সোয়াবিন, ভুট্টা তেল অথবা সূর্যমুখী তেল খাওয়া যেতে পারে।
বেশি আশ যুক্ত খাবার গ্রহণ করা ভালো । আটার রুটি ও সুজি জাতীয় খাবার পরিমাণ মত খেতে হবে। আমরা যদি তেলজাতীয় লবণজাতীয় কোলেস্টেরলযুক্ত রায় গ্লিসারিন যুক্ত খাদ্য সবসময় খেয়ে থাকি তাহলে উচ্চ রক্তচাপ কিন্তু কোনভাবেই কমবে না
লবণ নিয়ন্ত্রণ
উচ্চ রক্তচাপ কমানোর উপায় আমরা প্রতিদিন যে খাবার গ্রহন করি। লবন তার মধ্য অন্যতম । তরকারিতে অতিরিক্ত লবণ পরিহার করতে হবে।
মদ্যপান করা যাবে না
ধূমপান বর্জন করতে হবে। অবশ্যই তামাকজাতীয় যত পদার্থ ব্যবহার করা যাবে না।
নিয়মিত হাঁটাচলা করতে হবে
নিয়মিত হাঁটাচলা করতে হবে সম্ভব হলে দৌড়াতে হবে । হালকা ব্যায়াম করতে হবে লিফটে নাচোরে সিঁড়ি ব্যবহার করতে হবে।
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করতে হবে যাদের ডায়াবেটিস আছে মানসিক ও শারীরিক চাপ সামলাতে হবে নিয়মিত বিশ্রাম সময়মতো ঘুমান শরীরকে অতিরিক্ত ক্লান্তি থেকে বিশ্রাম দিতে হবে।
নিজের শখের কাজ করা ইত্যাদির মাধ্যমে মানসিক শান্তি তৈরি করতে হবে। চিকিৎসকের কাছে গিয়ে রক্তচাপ পরীক্ষা করানো উচিত। যত আগে উচ্চ রক্তচাপ ধরা পড়ে ততো আগে নিয়ন্ত্রণ করা যায় ।
জটিল রোগ বা প্রতিক্রিয়া থেকে রক্ষা পাওয়া যায় উচ্চরক্তচাপ সারানোর জন্য প্রতিনিয়ত ওষুধ সেবন করলে সেটা কিছুটা নিয়ন্ত্রণে হয়। তবে আমাদের যে ডায়েট বা খাবার সেটাই প্রথমে পরিবর্তন করতে হবে ।
উচ্চ রক্তচাপ কমানোর উপায় সর্বশেষ
তার জন্য প্রথমে আমাদের খাদ্যের অভ্যাস পরিবর্তন করতে হবে। তারপর প্রতিনিয়ত শারীরিক ব্যায়াম সেগুলো করতে হবে । তাহলে কিন্তু আমাদের উচ্চ রক্তচাপ থেকে আমরা মুক্তি পেতে পারি। পোষ্টটি ভালো লাগলে কমেন্ট করতে ভুলবেন না।