আসসালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহি ওয়াবারাকাতুহু ব্লগইনফো বিডি এর পক্ষ থেকে আপনাদেরকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা। আজ আমি মাসালা অধ্যায় নিয়ে আলোচনা করবো বিষয় ওযু করার সুন্নত।
ওজু করার সুন্নাত
ওযু করার সুন্নত নিয়ে আলোচনা করবো। আমি গত পর্বে ওযু করার ফরজ নিয়ে আলোচনা করেছিলাম। ওযুর ফরজ চারটি । আজ ওযু করা সুন্নত নিয়ে আলোচনা করব।
আজ যে বিষয় নিয়ে আলোচনা করতেছি বিভিন্ন প্রকার জরুরি মাসআলা নিয়ে আলোচনা করব । এই অধ্যায়ের আপনারা অবশ্যই প্রতিটি পোষ্টে দেখবেন। তাহলে আজকের বিষয় হলো ওযু করার সুন্নত ১৮ টি ।
অজুতে নিয়ত করা
এক নাম্বারে অজুতে নিয়ত করা সুন্নাত । আমি কি জন্য অজু করতেছি নামাজের জন্য নাকি বা কোরআন তেলাওয়াতের জন্য আপনি যে কাজ করেন না কেন সর্ব অবস্থায় ওযু নিয়ত করা হলো সুন্নাত ।
ওযুর শুরুতে বিসমিল্লাহ বলা সুন্নত
দুই নাম্বারে ওযুর শুরুতে বিসমিল্লাহ বলা সুন্নত। ওযুর শুরুতে বিসমিল্লাহ বলা সুন্নত । অজু করার সময় শুধু বিসমিল্লাহ বললেও হবে ।
তিন নাম্বার দুই হাতের কব্জি সহ তিন বার ধোয়া সুন্নত । দুই হাতের কব্জি সহ আমরা সবাই কব্জি চিনি যে কোনটা দুই হাতের কব্জি সহ তিন বার দেওয়া সুন্নত ।
মেসওয়াক করা সুন্নাত
চার নাম্বার হল মেসওয়াক করা সুন্নাত । মেসওয়াক কিভাবে করতে হয় বা মেসওয়াক কি দিয়ে করা যায় এই বিষয়ে নামের সামনে একটি পোষ্ট বানাবো আপনারা আমার সাথে থাকলে অবশ্যই দেখতে পারবেন। মিসওয়াক করা হলো সুন্নাত ।
তিনবার কুলি করা
ওজু করার সুন্নাত তিনবার কুলি করা সুন্নাত তিনবার কুলি করা সুন্নাত।
রোজাদার না হলে তিনবার গড়গড়া করা
ছয় নাম্বার হল রোজাদার না হলে তিনবার গড়গড়া করা সুন্নাত। রোজাদার না হলে তিনবার গড়গড়া করা সুন্নাত ।
নাকে পানি দেওয়া
সাত নাম্বার তিনবার নাকে পানি দেওয়া সুন্নত। ফরয নিয়ে আগে আলোচনা করেছি এবং ফরজের হুকুমত বলেছিলাম যে যদি পশম পরিমান জায়গা যদি না ভিজে তাহলে কিন্তু আপনার ওযু হবে না।
আর সুন্নাতের ক্ষেত্রে যদি একটি না মানেন তাহলে কিন্তু ওযু হয়ে যাবে । এতে ওযুর কোন কমতি হবে না। এগুলো হল সুন্নাহ আপনারা যদি সুন্নত এবং ফরজ গুলো মেনে করেন তাহলে আপনার পুরা অযথা সুন্দরভাবে হয়ে যাবে।
নাক ধরে ফেলা সুন্নত
আট নাম্বার তিনবার নাক ধরে ফেলা সুন্নত । নাকে ময়লা থাকলে তিনবার জেরে নাক পরিষ্কার করে ফেলতে হবে ।
সমস্ত মুখ একবার ধোয়া
নয় নাম্বার সমস্ত মুখ তিনবার ধোয়া সুন্নত । সমস্ত মুখ একবার ধোয়া হলো ফরজ তিন বার দেওয়া হলো সুন্নাত।
দাড়ি খিলাল করা
ওজু করার সুন্নাত দশ নাম্বারে দাড়ি খিলাল করা বা মাসেহ করা সুন্নাত। যদি দাড়ি থাকে।
কনুই সহ তিন বার
এগার নাম্বারে দুই হাতের কনুই সহ তিন বার দেওয়া সুন্নত। দুই হাতের কনুই সহ একবার ধোয়া হলো ফরজ । তিনবার ধোয়া হলো সুন্নাত ।
আঙ্গুলে খিলাল করা সুন্নাত
বার নাম্বার দুই হাতের আঙ্গুলে খিলাল করা সুন্নাত। দুই হাতের আঙ্গুলগুলো আছে ওর ভিতরে আঙ্গুল ঢুকিয়ে দিয়ে খিলাল করা হলো সুন্নাত।
মাথা মাসেহ করা সুন্নত
তের নাম্বার সমস্ত মাথা একবার মাসে করা সুন্নাত । আর মাথা চার ভাগের এক ভাগ মাসেহ করা হলো ফরজ। সমস্ত মাথা একবার সামনে থেকে নিয়ে একদম গর্দান পর্যন্ত ঘাড় পর্যন্ত শেষ ভাগ চুলের শেষভাগ সেই পর্যন্ত মাঝে করা হলো সুন্নাত ।
দুই কান মাসেহ করা
দুই কান মাসেহ করা হলো সুন্নাত। এই কান বলতে আমরা কানের ভিতরে এবং বাহিরে উভয় পাশে আমরা বোঝাচ্ছি। যে দুই কানের ভিতরে এবং বাহিরে ভিতরে যে আমরা কনিষ্ঠা আঙ্গুল দিয়ে ভিতরে ঢোকায় দিই এবং পিছন পাশে আমরা বৃদ্ধাঙ্গুলি দিয়ে যে সেই উভয়টাই হলো সুন্নাত।
পায়ের টাকনু সহ ধোয়া
দুই পায়ের টাকনু সহ তিন বার দেওয়া সুন্নত। দুই পায়ের টাকনু সহ তিনবার ধোয়া হলো সুন্নাত । আর একবার ধোয়া হলো ফরজ।
দুই পায়ের আঙ্গুলে খিলাল
সতের নম্বর দুই পায়ের আঙ্গুলে খিলাল করা সুন্নাত। এটা আমরা খুব সতর্ক করে করব কারণ শীতকালে বা অনেকের পা ফেটে থাকে। এজন্য পায়ের আঙ্গুলের ভিতর পানি পৌঁছায় না ভাবে না এজন্য আমরা ভালো করে আঙ্গুলি গুলি খিলাল করব ।
কালিমায়ে শাহাদাত পড়া
আঠার নাম্বার ওযুর শেষে কালিমায়ে শাহাদাত পড়া হলো সুন্নাত । আশহাদু আল্লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা শারিকালাহু আন্না মুহাম্মাদান আবদুহু ওয়ারাসুলূহু’ এই কালিমায়ে শাহাদাত পড়া হলো সুন্নাত ।
১৮ টি হল ওযু করার সুন্নত । আর হলো চারটি ফরজ। আমি আগামী পবের্ ওযু ভঙ্গের কারণ দেখাবো। কি কি কারণে ওযু ভেঙে যায় আপনার আমার সাথেই থাকবেন তো আজকে এ পর্যন্তই।
ওজু করার সুন্নাত সর্বশেষ
ওজু করার সুন্নাত নতুন পোষ্ট পেতে অবশ্যই আমার সাইটে ভিজিত করবেন। আমার জন্য দোয়া করবেন সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন আসসালামুআলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহি ওয়াবারাকাতুহ ।
খুব ভালো ছিলো পোস্ট টা ধন্যবাদ আপনাকে
দারুণ একটা পোস্ট ছিলো
বোজার মতো
উপকৃত হলাম
খুব ভালো ছিলো পোস্ট টা ধন্যবাদ আপনাকে