অনেক ভাই-বোন জানতে চান । শবে কদরের নামাজ কিভাবে আদায় করব? কত রাকাত? কিভাবে আদায় করতে হবে? তাদের উদ্দেশ্যে বলব যে মাগরিবের নামাজ টা প্রথমে আপনি ওয়াক্তে পড়বেন। মেয়ে মানুষ হলে বাসায় নিজের জায়গায়।
কদর নামাজ কিভাবে পড়তে হয়
পুরুষ হলে জামাতের সাথে। ইফতার খেতে গিয়ে যেন জামাত ছুটে না যায়। সেদিকে খেয়াল করে আপনি যদি চান শবে কদরের নামাজ আপনি পড়বেন তাহলে আমাকে এই কাজটা করতে হবে । ইফতার করে দ্রুত এসে মাগরিব ইমামের সঙ্গে প্রথম তাকবীরের নামাজ পড়তে হবে।
মেয়ে মানুষ হলে বাড়িতে প্রথম ওয়াক্তে সুন্দর করে মাগরিব পড়তে হবে। শবে কদরের নামাজ শুরু হয়ে গেছে। এশার নামাজ জামাতের সাথে পড়েন। তারাবির নামাজ পড়েন খুব ধীরে ধীরে তার সাথে খুব আস্তে আস্তে ।
কদর নামাজের নিয়ত
তারাবির নামাজের পর থেকে ফজর পর্যন্ত দুই রাকাত করে পড়বেন। নির্দিষ্ট কোন রাত লাইলাতুল কদর হবে এটা কিন্তু ঠিক নয়। অতএব শেষ দশটি রাতের প্রত্যেকটা রাতেই ২১,২৩,২৫,২৭,২৯ তবে আপনি এই দুই রাকাত করে নফল নামাজ পড়বেন। নফল নামাজ বিশেষ কোন নিয়ত নেয়। লাইলাতুল কদর নামাজের কোনো বিশেষ নিয়ত নাই। আল্লাহু আকবার বলে আপনি শুরু করবেন।
সূরা ফাতিহা পড়ে সাথে নির্দিষ্ট কোন সূরা লাইলাতুল কদরের সূরা এত বার পড়তে হবে। আপনাকে বলবে লায়লাতুল কদরি এত রাকাত প্রথম রাকাত সুরা ফাতিহার সাথে সুরা ইখলাস এতবার পড়তে হবে। এগুলো সব গুলা মনগড়া কথাবার্তা। কোরআন-হাদিসের কোন জাল হাদীসের এমন কোন কোন কথা বার্তা নাই।
শবে কদর নামাজের নিয়ম
আপনার রাকাতগুলো হবে লম্বা। দের্ঘ এর সাথে প্রত্যেকটা রাকাতে খুব দীর্ঘ সময় নিয়ে পড়বেন। সুরা ফাতেয়া আস্তে আস্তে পড়বেন। একটা আয়াত পড়ে থামবেন আরেকটা আয়াত আস্তে আস্তে পড়বেন । চার পাচটা সুরা এক রাকাত পড়েন অসুবিধা নাই । আপনারা রাকাত লম্বা করা দরকার।
বান্দা যখন সিজদায় যায়ে তখন আল্লাহর সবচেয়ে কাছে চলে যায় কেউ যদি চায় আল্লাহর আরশে দুয়ারে গিয়ে আল্লাহর রহমতের চৌকাঠে গিয়ে আল্লাহর যে আল্লাহর আরশের কাছে সঙ্গে সঙ্গে মুখোমুখি হয়ে । আল্লাহর কাছে চাইবে তার জন্য একমাত্র উপায় হলো সিজদায় যাওয়া।
কদর নামাজ কয় রাকাত
লম্বা নিজদায় গিয়ে আল্লার কাছে দোয়া চাইতে পারেন। এক রাকাত নামায দশ মিনিত,বিশ মিনিট পড়েন। বিশেষ কোন সংখ্যা ঠিক করা হয় নাই এত রাকাত পড়তে হবে। এই সূরা এতবার পড়তে হবে কোনরকম নির্দিষ্ট করা হয় নাই। আপনি পড়েন এবং কিছু সময় মত নামাজ পড়েন।
কদর নামাজের দোয়া
কিছু সময় দোয়া করেন। কিছু সহজ জিকির করেন। কিছু সময় তাজবিহ পড়েন। কিছু সময় আল্লাহর কাছে কান্নাকাটি করেন। কিছু সময় কোরআন তেলাওয়াত করেন । কিছু সময় আপনার আল্লাহর কাছে অপরাদের কথা স্বীকার করে ক্ষমা চান।
যথাসম্বভ একা হয়ে যান লুকিয়ে যান বাসার সবাইকে সবার চোখ থেকে আড়াল হয়ে যান । আল্লাহর কাছে কান্নাকাটি করবেন। আল্লাহ আমাদের সবাইকে তৌফিক দান করুক ।
অনেক সুন্দর ও বাস্তব মুখি ওয়েবসাইট আপনাকে অনেক ধন্যবাদ এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ সাইট দেওয়ার জন্য
Vare good information post