ব্লগইনফো বিডির হেলথ টিপস আপনাকে স্বাগতম আজ আমি আপনাদের জানাব চোখ ওঠা রোগের ঘরোয়া চিকিৎসা সম্পর্কে তো চলুন শুরু করা যাক
চোখ ওঠা চোখের একটি ভাইরাসজনিত ইনফেকশন এবং এটি অতি মাত্রায় ছোঁয়াচে কনজাংটিভা নামে চোখের পর্দায় প্রদাহ হলে তাকে চোখ ওঠা রোগ বলা হয়
ব্যাকটেরিয়া ও এলার্জির কারণে উঠে সাধারনভাবে চোখ ওঠা বলতে চোখ লাল হওয়া বোঝানো হলেও কিন্তু চোখ লাল হওয়ার একটি উপসর্গ মাত্র
চোখ ওঠা রোগের চোখের দিকে তাকালে কারো চোখে না যদিও ভাইরাসে আক্রান্ত কিছুদিনের মধ্যে ভালো হয়ে যায়
কিন্তু অতিমাত্রায় ছোঁয়াচে হওয়ার কারণে আশেপাশের অনেককে আক্রান্ত করতে পারে এ ধরনের রোগী কত দিনে সুস্থ হবে সেটা নির্ভর করে তিনি কি ধরনের ভাইরাসে আক্রান্ত এবং তার প্রতিরোধ ক্ষমতা কেন
তার ওপর ওঠা কারণ জীবাণু দ্বারা আক্রান্ত হলে এডিনো ভাইরাস ইনফেকশন হারপিস সিমপ্লেক্স ভাইরাস ইউরিন ইনফেকশন ইত্যাদি নানান কারণে চোখ লাল হতে পারে
ভাইরাস কেরাটাইটিস অথবা হারপিস সিমপ্লেক্স ভাইরাস ইনফেকশন মূলত ভাইরাসজনিত ইনফেকশন সাধারণত এ ধরনের ইনফেকশনের একচোখ আক্রান্ত হয়
এছাড়াও ময়লা ধুলোবালি ঔষধ কেমিক্যাল অথবা প্রসাধনী ব্যবহারের সময় ও প্রদাহ সৃষ্টি হতে পারে
চোখ ওঠা রোগের লক্ষণ ও উপসর্গ সমূহ চোখ ওঠা রোগের লক্ষণ ও উপসর্গ সমূহ নিম্নে বর্ণনা করা হল সবগুলো উপসর্গ একসাথে দেখা যেতে পারে আবার নাও যেতে পারে
চোখের চারপাশে হালকা লাল রং হতে পারে চোখের পাতা ফুলে যায় চোখ জ্বলবে চোখের ভেতরে অস্বস্তি শুরু হয় রোদে তাকাতে কষ্ট হয় চোখ থেকে অতিমাত্রায় পানি করে সামান্য ব্যথা হয়
চোখ থেকে শ্লেষ্মা জাতীয় পদার্থ বের হতে থাকে ও হলুদ রঙের পুরুষ সৃষ্টি হয় ঘুম থেকে ওঠার পর চোখের পাতা দুটি একত্রে লেগে থাকে সাধারণত ৭ থেকে 8৮ দিনের মধ্যে উপসর্গসমূহ কমতে থাকে
কিন্তু দেশটির ঝাপসা হয়ে যায় এবং কর্নিয়াতে সাদা দাগ পড়ে যা খালি চোখে দেখে বোঝা যায় না
চোখ ওঠা রোগের জীবাণু যেভাবে ছড়ায় এটি অতি মাত্রায় ছোঁয়াচে রোগ চোখের প্রদাহ হলে অশ্রুতে ভাইরাস ভেসে বেড়ায় এবং অশ্রু মোছার সময় রোগের জীবাণু আমাদের হাতে চলে আসে
পাসে হাতে আমরা যা কিছুই স্পর্শ করি সেখানে ভাইরাস চলে যায় এভাবে কারো সঙ্গে করমর্দন টিভি অথবা এয়ারকন্ডিশনের ইমোর তোয়ালে বিছানার চাদর বালিশের কাভার মুঠোফোন ইত্যাদির মাধ্যমে রোগের জীবাণু ছড়িয়ে দেয়
আর বাহিরে গেলে হাতের সাহায্যে চোখ অথবা জীবাণু হাতে লেগে যায় তখন টেম্পু বেবিট্যাক্সি বাস কিংবা রিক্সা ইতালিতে ছড়িয়ে যায়
এভাবে নানান জায়গায় এবং কর্মক্ষেত্রের কাজ করার সময় ভাইরাস গুলো ছড়িয়ে যায় তখন কোন অসুস্থ লোক স্পর্শ করলে তারা এ রোগ হতে পারে
আক্রান্ত ব্যক্তিকে অবশ্যই বাসায় অবস্থান করতে হবে চোখ উঠলে করনীয় ছোঁয়াচে রোগ হওয়ার রোগীকে এ ব্যাপারে আরো বেশি সচেতন হতে হবে
একান্ত প্রয়োজন না হলে ঘর থেকে বাহিরে যাওয়া উচিত নয় পরিষ্কার কাপড় অথবা টিস্যু দিয়ে চোখের কোনে জমে থাকা ময়লা পরিষ্কার করতে হবে এবং যতটা সম্ভব ওই কাপড় গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ব্যবহার করতে হবে
অন্য চোখে যাতে রং না হয় সে জন্য যতটা সম্ভব ভালো চোখে হাত না দেওয়াটাই মঙ্গলজনক তবে সাধারণত এ রোগে একসাথে অথবা পর্যায়ক্রমে দুই চোখে আক্রান্ত হয়
রাতে ঘুম থেকে ওঠার পর ব্যবহার্য জিনিসপত্র যেমন বালিশের কভার তোয়ালে ইত্যাদি গরম পানি দিয়ে ধুয়ে দিতে হবে এ ধরনের চোখ ওঠার অ্যান্টিভাইরাস সাধারণত কাজ করেনা
ভাইরাসে আক্রান্ত 78 দিনের মাথায় আপনা আপনি ভালো হয়ে যায় আক্রান্ত চোখকে নোংরা পানি ধুলোবালি দূষিত বাতাস থেকে নিরাপদে রাখতে হবে
বাইরে বের হলে অবশ্যই সানগ্লাস পরতে হবে এটি রোদে চোখ হাত থেকে রক্ষা করবে যে পাশে যে করবে সে পাশে কাত হয়ে শুতে হবে না হলে আক্রান্ত চোখ থেকে অন্য চোখে সংক্রমণ হতে পারেন
চোখে বারবার পানি দিয়ে পরিষ্কার করা বা চোখে পানির ঝাপটা দেওয়া যাবে না এতে যদি ভালো না হয় বা যদি চোখের কোন জটিলতা
যেমন চোখ খুব বেশি লাল হলে খুব বেশি চুলকালে অতিরিক্ত ফুলে অথবা দৃষ্টি ঝাপসা হলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে
নবজাতকের চোখ উঠলে করনীয় নবজাতকের চোখ উঠলে ঔষধপত্র দেওয়ার পরেও দুই থেকে তিন দিন অথবা খোলা থাকতে পারে লাল রং এবং ফলে দীর্ঘ সময় ধরে থাকলে অবশ্যই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ মতো প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে
ওঠা রোগের চিকিৎসা ভাইরাসের আক্রমনের পর কোন কোন ক্ষেত্রে ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ ঘটতে পারে এজন্য দিনে তিন থেকে চারবার চোখে অ্যান্টিবায়োটিক ড্রপ কোরআন ফেনিকল ব্যবহার করতে হবে
সংক্রমণ না হলেও সেকেন্ডারি ইনফেকশন প্রতিরোধ করার জন্য এটি ব্যবহার করা যায় চোখের চুলকানি থাকলে এন্টিহিস্টামিন সেবন করতে হবে কিন্তু অ্যান্টিবায়োটিক সেবনের প্রয়োজন নেই ব্যথা হলে ব্যথার ওষুধ প্যারাসিটামল খাওয়া যেতে পারে
চোখের কালো রাজায় প্রদাহ হলে কৃত্রিম চোখের পানি হেমাটোপিন ইত্যাদির ঔষধ বেশ কার্যকর হতে পারে তবে যে কোন ঔষধ সেবন করবেন চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী চোখ সম্পূর্ণ সুস্থ হতে দুই থেকে তিন সপ্তাহ লেগে যেতে পারে
তাই ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ ব্যবহারে লোকের কষ্ট অনেকাংশে লাঘব হয় কোন প্রধানমন্ত্রীর সময় মত চিকিৎসা না নিলে দৃষ্টিশক্তি স্থায়ীভাবে কমে যেতে পারে
এমনকি কর্নিয়া সংশোধনের প্রয়োজন হতে পারে তাই চোখ ওঠা রোগের অবহেলা না করে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী প্রয়োজনীয় চিকিৎসা গ্রহণ করতে হবে
চোখ ওঠা একটি মারাত্মক সংক্রামক রোগ এর জন্য যাদের চোখ ওঠেনি তাদের চোখ ওঠা রোগের সংস্পর্শ পরিহার করতে হবে
সব সময় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকতে হবে যাদের চোখ উঠেছে তাদের ব্যবহার করা রুমাল কাপড়-চোপড় তোয়ালে ইত্যাদি ব্যবহার করা যাবে না এমনকি তাদের সাথে হাতে হাত মেলানোর ব্যাপারে সাবধান হতে হবে
এ সকল ক্ষেত্রে হাত তারাতারি ধুয়ে ফেলতে হবে নোংরা হাত দিয়ে চোখ স্পর্শ করা যাবে না বেশিরভাগ ক্ষেত্রে চোখ ওঠা বা কনজাঙ্কটিভাইটিস পরিবারের একজন থেকে অন্যজনে হয়ে থাকে
সুতরাং এসব ক্ষেত্রে রোগ প্রতিরোধের জন্য অবশ্য পরিবারের সবাই পিঠা কাপড় ইত্যাদি থাকতে হবে চোখ ওঠা মারাত্মক হতে পারে
যেমন কোনো আঘাত নিয়ে ছিদ্র হয়ে চোখ অন্ধ হয়ে যাওয়া ইত্যাদি দেরি করে চিকিৎসা করালে সম্পূর্ণ আরোগ্য লাভ অনেক ক্ষেত্রে সম্ভব হয় না
কিন্তু প্রাথমিক অবস্থায় চিকিৎসা নিলে এ রোগটি খুব সহজে ছেড়ে যায় আরো অনেক পোষ্ট পেতে আমাদের ওয়েবসাইট টি ভিজিত করুন ।
প্রশ্ন বা মতামত কমেন্ট করে অবশ্যই জানাবেন ফেসবুক ও টুইটারে পেতে ডেসক্রিপশনে দেয়া লিংক ফলো করুন আমাদের সাথে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ.