টিউমার ভালো করার উপায় মানুষের শরীরে কোষের অস্বাভাবিক বা অনিয়ন্ত্রিত বৃদ্ধিকেই সাধারণত টিউমার বলে । আমরা অনেকেই টিউমার এবং ক্যান্সারের পার্থক্য সঠিকভাবে না জানার কারণে টিউমার ক্যান্সার মনে করি।
এগুলোর মূল পার্থক্য হলো সব টিউমার বেশিরভাগ ক্ষেত্রে শরীরের জন্য বড় ক্ষতির কারণ নয়। কিন্তু ক্যান্সার মানে ভয়াবহ ক্ষতির সম্ভাবনা। আসুন তাহলে পুরো বিষয়টি কিছুটা বিস্তারিত করে জেনে নেওয়া যাক। প্রধানত তিন প্রকারের টিউমার রয়েছে।
বিনাইন টিউমার
এগুলো শরীরের জন্য ক্ষতিকর নয় এবং ছড়িয়ে পড়তে পারে না। এই ধরনের টিউমার গুলো বেশ ধীরে ধীরে বড় হয় । একজন ডাক্তার অপারেশনের মাধ্যমে সহজেই একে শরীর থেকে অপসারণ করতে পারে।
সাধারণত এগুলো আর ফিরে আসেনা। টিউমার এই ধরনের টিউমার এর কোনো ক্ষতিকর বা ক্যান্সার যুক্ত নয়। তবে যেকোনো সময় ক্যান্সারে পরিণত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
ম্যালিগন্যান্ট টিউমার
এই ধরনের টিউমার গুলো সাধারণত ক্যান্সার। ম্যালিগন্যান্ট টিউমার সাধারণত কোষগুলো তুলনামূলকভাবে দ্রুত বৃদ্ধি পায় এবং শরীরের অন্যান্য অংশে ছড়িয়ে পড়ে জটিলতা সৃষ্টি করে। ভবিষ্যতে একটি টিউমার কি ধরনের আচরণ করবে তা আগে থেকে নির্দিষ্টভাবে বলা সম্ভব নয়।
বিনাইন টিউমার গুলি ম্যালিগন্যান্ট বা ম্যালিগন্যান্ট এ পরিণত হতে পারে। তাই টিউমারকে অবহেলা না করে দ্রুত এর চিকিৎসা করা দরকার ।
টিউমার হওয়ার কারণ
এবার আমরা জানতে চলেছি টিউমার হওয়ার প্রধান কারণ গুলো কি কি? আমাদের শরীর কোষের বৃদ্ধি ও বিভাজন নিয়ন্ত্রণ করে। প্রতিদিন অসংখ্য কোষ মারা গিয়ে শরীর থেকে ঝরে যাই এবং সেখানে নতুন কোষের সৃষ্টি হয়।
কোষের এই মৃত্যু এবং সৃষ্টি বা বৃদ্ধির ভারসাম্য বিঘ্নিত হলে টিউমার তৈরি হয়। শরীরের রোগ ব্যবস্থায় সমস্যা হলেও টিউমার হতে পারে অন্যান্য পরিবেশগত পদার্থের তুলনায় তামাক টিউমার বা ক্যান্সার এর ঝুঁকি ও মৃত্যু বৃদ্ধি করে ।
টিউমারের অন্যান্য কারণগুলোর মধ্যে রয়েছে বেনজিন এবং অন্যান্য রাসায়নিক এবং বিষাক্ত পদার্থ । অত্যধিক অ্যালকোহল পান করান পরিবেশগত বিষাক্ত, পদার্থ যেমন বিষাক্ত মাশরুম, আফ্লাটক্সিন নামক বিষ যা চিনা বাদাম গাছ জন্মাতে পারে । অত্যধিক সূর্যালোক এবং জেনেটিক সমস্যা, রেডিয়েশন এবং বিভিন্ন ভাইরাসের আক্রমণ ।
টিউমার ভালো করার উপায়
এবার আমরা জানতে চলেছি টিউমার ভালো করার উপায় গুলো কি কি? টিউমার চিকিৎসা বলতে অপারেশন বা এই ধরণের উন্নত চিকিৎসা যেগুলো যথেষ্ট জটিল ও ব্যয়বহুল ও সময় সাপেক্ষ । টিউমার ভালো করার উপায় বলতে আপনাকে এটি প্রতিরোধ করতে হবে।
যে সমস্ত বিষয় গুলো মেনে চলার মাধ্যমে আপনি টিউমার প্রতিরোধ করতে পারবেন তা হল। তামাক সম্পূর্ণরূপে পরিহার করুন কারন তামাক টিউমারের ঝুঁকি খুব বেশি মাত্রায় বৃদ্ধি করে।
স্বাস্থ্যকর খাবার খান যদি এটি আপনার টিউমার প্রতিরোধের গ্যারান্টি দিতে পারে না। তবে বিভিন্ন ফল এবং স্বাস্থ্যকর সবজিগুলো টিউমারের ঝুঁকি অনেকাংশে কমিয়ে দেয় ।
একটি সুস্থ ওজন বজায় রাখুন এবং শারীরিকভাবে সক্রিয় থাকুন টিউমার প্রতিরোধের খুব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে । সূর্যের ক্ষতিকর রশ্মি ক্ষতিকর এবং টিউমার এর অন্যতম কারণ হতে পারে ।
নিয়মিত ডাক্তারের সাথে কথা বলে বিভিন্ন পরীক্ষার মাধ্যমে সমস্যামুক্ত থাকার চেষ্টা করুন। টিউমার ভালো করার উপায় না জানলে টিউমার অনেক ক্ষেত্রে ক্যান্সারে পরিণত হতে পারে। ক্যান্সার ভালো করার উপায় সম্পর্কে জানুন এবং সচেতন থাকুন।
টিউমার ভালো করার উপায় সর্বশেষ
আমরা আজকের পোষ্টে টিউমারের ঝুঁকি কমাতে পারে এমন অনেকগুলো বিষয় উল্লেখ করেছি যেগুলো মেনে চলার মাধ্যমে আপনি টিউমারের ঝুঁকি অনেকটাই এড়াতে পারবেন বলে আমরা আশা করছি। এই পোষ্টটি কেমন লাগলো অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন ।