...

ডায়াবেটিস কমে যাওয়ার লক্ষণ । হাইপোগ্লাইসেমিয়ার লক্ষণ

91 views

ডায়াবেটিস কমে যাওয়ার লক্ষণ ডায়েবেটিস রোগী যারা ইনসুলিন এর উপর আছেন অথবা মুখে খাওয়ার ওষুধের ওপর আছেন তাদের কাছে খুব কমন একটা সমস্যা যেটি সেটি হচ্ছে সুগার অনেক বেশি কমে যাওয়া। যেটাকে আমরা অনেকে আবার বলে থাকি সুগার নীল হয়ে যাওয়া।

হাইপোগ্লাইসেমিয়া কী

এটা শুরু হলে কি হয় এটা হচ্ছে সুখের একটা নির্দিষ্ট মাত্রার নিচে যদি চলে যায় যেমন হচ্ছে সেই মাত্রাটা যদি আমরা বলে থাকি যেমন ৩.৯ মিলিমন তার নিচে যদি চলে যায়। তখন দেখা যাচ্ছে কিছু শারীরিক লক্ষণ প্রকাশের মাধ্যমে সে জিনিসটা তখন প্রকাশ পেতে থাকে। তখনই সবকিছু মিলিয়ে আমরা জিনিসটাকে বলি হাইপোগ্লাইসেমিয়া।

হাইপোগ্লাইসেমিয়া লক্ষণগুলো

হাইপোগ্লাইসেমিয়া লক্ষণগুলো আসলে দুই ভাবে প্রকাশ পেতে পারে । একটা হচ্ছে যে একদম কোন বাহ্যিক কোনো লক্ষণ ছাড়াই সরাসরি দেখা যাচ্ছে দীর্ঘক্ষন সুগার না থাকার কারণে একদম অজ্ঞান অবস্থায় থাকতে পারে। হুশ জ্ঞান যেটা বলে যে হারিয়ে ফেলার মত অবস্থায় থাকতে পারেন।

আপনার সময় রাতের বেলায় দেখা যাচ্ছে কম সুগার হয়ে গেছে ঘুমের মধ্যেই সুগার কমে গিয়েছে সেটা টের পেল না । সাথে যারা থাকেন তাদের হয়তো এভাবে টের পাননি। ফলে দেখা যাচ্ছে যখন জানতে পারা যাচ্ছে তখন যায় যে অলরেডি রোগী অজ্ঞান অবস্থায় হয়ে আছে।

ডায়াবেটিস কমার লক্ষন

এইভাবে পাওয়া যেতে পারে আরেকটি রোগী সচেতন আছেন এবং কিছু লক্ষণ আছে যেগুলো রোগী নিজে বলতে পারছেন। আমরা বাইরে থেকে দেখে বুঝতে পারছি যে রোগীর এই সমস্যা।

  • রোগীর হাত পায়ে অনেক বেশি ঘাম হতে পারে ।
  • শরীর কাঁপতে পারে
  • বুকে অনেক বেশি ধরফর হতে পারে
  • প্রচন্ড পরিমানে খিদে লাগতে পারে
  • খুব দুশ্চিন্তাগ্রস্থ অবস্থায় থাকতে পারে
  • মনোযোগ ধরে রাখতে সমস্যা হতে পারে
  • তারপরও মেজাজের বেশ ভালো পরিবর্তন হতে পারে
  • বেশ খানিকটা ঘুম ঘুম ভাব চলে আসতে পারে।
  • আবার বমি বমি লাগতে পারে।
  • তারপর প্রচন্ড দুর্বলতা লাগতে পারে।
  • মাথাব্যথা হতে পারে
  • যেটা হচ্ছে যে খিটখিটে মেজাজ হওয়া বা অনেক বেশি রেগে যাওয়া বা উত্তেজিত অবস্থায় থাকায়।

ডায়াবেটিস কমে যাওয়ার লক্ষণ এছাড়াও যেগুলো থাকতে পারে রোগীর সচেতনতা যেটি আছে সেটি অনেকটাই কমে যেতে পারে আমরা যেটা বলি অবচেতন অর্ধচেতন অবস্থায় চলে যেতে পারেন ।

ডায়াবেটিস কমে যাওয়ার লক্ষণ এখন এই লক্ষণগুলো কি সবগুলোই একজন হাইপোগ্লাইসেমিয়া বা  সুগার কমে যাওয়া রোগীর ক্ষেত্রে পাবো না সবগুলো কিন্তু কখনোই একজন রোগীর মধ্যে থাকবে না।

এমন কিছু থাকতে পারে বাকিগুলো নাও থাকতে পারে আবার এরকম দেখা যেতে পারে রোগী হয়তো রাতের বেলা ঘুমাতে গিয়েছেন ঘুমের মাঝখানেই সুগার কমে যাওয়া তে আক্রান্ত হলেন। ফলে ঐ অবস্থাতেই অজ্ঞান অবস্থায় অনেক সময় আছে রোগীরা।

আমাদের করনীয় কী?

ডায়াবেটিস কমে যাওয়ার লক্ষণ আমাদের হাসপাতালগুলোর দেখা যাচ্ছে এরকম রোগীরা আসেন। প্রথমে যে আমাদের করণীয় যেটি আছে সেটি হচ্ছে এই ধরনের লক্ষণ পাওয়ার পর আমরা হচ্ছে যেটি বললাম যে গ্লুকোমিটার দিয়ে আগে মেপে নিতে হবে।

যে সুগার লেভেল কত আছে দেখা যাচ্ছে যে কম আছে তাহলে তো একদম নিশ্চিত অবস্থায় আমরা জানি সেই রোগের চিকিৎসা শুরু করে দিতে পারি । সে ব্যাপারে রোগীর সুগার কমে যাওয়া এবং বেড়ে যাওয়ার মধ্যে লক্ষনদিয়া কিন্তু খুব আলাদা ভাবে বুঝার মেডিকেলে প্রশিক্ষণ নেওয়া হয়নি তার পক্ষে বোঝাটা কিন্তু দুঃসাধ্য ব্যাপার।

হাইপোগ্লাইসেমিয়া প্রাথমিক চিকিৎসা

আমরা যখন ওই ধরনের লক্ষণ দেখব তো আমাদের প্রথম কাজ হচ্ছে গ্লুকোমিটার যদি হাতের কাছে থাকে তাহলে অবশ্যই মেপে নেওয়া। নিশ্চিত হলাম এখন আমরা রোগীর দিকে তাকিয়ে যদি দেখি রোগি সচেতন আছেন নাহ অর্ধচেতন হয়ে গেছেন। এটা বোঝার উপায় হচ্ছে রোগীর সাথে কথা বলার চেষ্টা করা।

রোগী যদি কথা বলতে পারছেন বা হচ্ছে ঢোক গিলতে পারছেন সেরকম অবস্থায় যদি পাই তাহলে হচ্ছে রোগীকে দ্রুত মিষ্টিজাতীয় কোন খাবার ।  মিষ্টি হতে পারে বা হচ্ছে মিষ্টি জাতীয় কোন বিস্কিট হতে পারে। মধু যদি থাকে সেটি দিয়ে দেওয়া যায় ।

ডায়াবেটিস কমে যাওয়ার লক্ষণ তিন চামচ চিনি আধা গ্লাস পানিতে গুলিয়ে সেটা অল্প অল্প করে আসলে রোগীর মুখে দেওয়ার চেষ্টা করবে এবং বসিয়ে নিতে হবে বা হেলান দিয়ে তারপর আস্তে আস্তে মুখের মধ্যে দিয়ে দিতে হবে ।

রোগী অচেতন হলে কী করবেন

এখন দেখা যাচ্ছে যে রোগী একদম খেতে পারছেন না বা আপনার সাথে কিভাবে ডাক দিচ্ছেন কিন্তু এভাবে কথা বলছে না সে ক্ষেত্রে কিন্তু রোগীর ভুলেও রোগীর মুখের মধ্যে কোন কিছু খাবার দেওয়া যাবে না। আপনার সাথে কথা বলতে পারছে না ঢোক গেলার মত ক্ষমতাও কিন্তু নেই।

ডায়াবেটিস কমে যাওয়ার লক্ষণ তখন যদি আমরা দেখা যাচ্ছে যেকোনো ধরনের খাবারই যদি দেয় হচ্ছে শুকনো খাবার যদি দিয়ে খেতে পারবে না। উল্টো যেটা হবে সেটা হচ্ছে শ্বাসনালিকে আটকে যেতে পারে । ফলে হচ্ছে ফলে হচ্ছে যে রোগীর জীবন বিপন্ন হয়ে যেতে পারে।

তাহলে যেটি করা যায় যে ঘরের মধ্যে মধু থাকে বা মিষ্টিজাতীয় খাবার থাকে তাহলে সেগুলো হচ্ছে হাত পরিষ্কার ভাবে ধুয়ে আঙ্গুলের মাথায় দিয়ে তারপর রোগীর বিকালের দিকে এবং জিনিস দিয়ে যে জায়গাগুলো থাকে সেখানে একটু লাগিয়ে লাগিয়ে রেখে দিলে তো সেখান থেকে দেখা যাচ্ছে খুব দ্রুতই শরীর মধ্যে সেগুলো সুষিত হওয়ার ফলে আপনার শরীরে চলে যায়।

এরকম অবস্থা করার পর মোটামুটি ১০ মিনিটের মধ্যে আমাদের আবার চেক করে দেখতে হবে যে সুগুর লেবেল বাড়ছে কি না? যদি দেখা যায় সহনীয় মাএা চলে এসেছে তাহলে এবার রোগীকে আস্তে আস্তে নিকটস্থ চিকিৎসাকেন্দ্র ডাক্তারের কাছে নিয়ে যেতে হবে।

দূরে কোথাও ভ্রমন গেলে কী করবেন

এখন আমরা একটি গুরুত্বপূর্ণ জিনিস যেটা যেটা হচ্ছে যে দূরে কোথাও ভ্রমন করছেন তাদের মোটামুটি বেশ পাঁচ-ছয় ঘণ্টা বা তারও বেশি সময় লাগছে গাড়ির মধ্যে থাকা অবস্থাতে বাজার হাইপোগ্লাইসেমিয়া আক্রান্ত সম্ভাবনা বেশি থাকে।

যেটার জন্য আমরা করতে পারি এই ধরনের তাহলে যাওয়া হচ্ছে যাওয়ার আগে সাথে করে শর্করা জাতীয় খাবার নিয়ে গেলে ভালো। দ্রুত কাজ করে এরকম কিছু গ্লুকোজ জাতীয় খাবার নিয়ে যেতে পারে সাথে করে সেটা হচ্ছে গ্লুকোজ পাউডার ।

সেগুলো প্যাকেট সাথে করে নিয়ে যেতে পারি। পাশাপাশি একটা হচ্ছে পানির বোতলের মধ্যে রেখে তারপর সেটা নিয়ে যেতে পারি সাথে করে। সে কোন মিষ্টি জাতীয় কোন কোন খাবার সেটি হচ্ছে সাথে থাকতে পারে সম্ভব হচ্ছে গ্লুকোমিটার মেশিন যেটি আছে সেটি কিন্তু হাতের কাছে রাখা জরুরি ।

ডায়েবেটিস রোগীর ভ্রমন সর্তকতা

আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় যেটা তাদের ক্ষেত্রেও বলা হয়েছে মর্নিং ওয়াকে বের হওয়ার জন্য যদি অনেকটা সময় নিয়ে যদি মর্নিং ওয়াক করেন যেটা বাড়ি থেকে দূরের কোন জায়গায় হয় বা হচ্ছে জগিং করতে বের হচ্ছেন কোন ধরনের শুকনো মিষ্টি জাতীয় খাবার সাথে রাখা ভাল।

তখন দেখা যাচ্ছে যদি হয় কোন লক্ষণ শুরু হয়েছে হঠাৎ করে দুর্বল লাগছে , চোখে ঝাপসা দেখছেন বা মাথাটা একটু কেমন করছে ওই রকম দেখলে তখন যদি সাথে সাথে ওই ধরনের খাবার থাকে।

ডায়াবেটিস কমে যাওয়ার লক্ষণ কোনো ব্যাকআপ থাকলে তখন দেখা যাচ্ছে খেয়ে নিলে বা মুখে দিয়ে দিলে তখন দেখা যাচ্ছে অনেক বিপদের হাত থেকে রক্ষা পাওয়া যায়। একটা সাবধানতার কথা মাথায় রাখতে হবে ।

যারা গাড়ি চালায়

আমাদের এখন আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার যেটি সেটি হচ্ছে যে আমরা যারা আছি আমরা যারা ড্রাইভ করে নিজের গাড়ি নিজেই বেহুশ আমাদের ড্রাইভার সাহেব গাড়ির ড্রাইভ করেন তাদের ক্ষেত্রে যদি ডায়াবেটিস যদি থাকে তাহলে কিন্তু একটা বাড়তি একটা সতর্কতার প্রয়োজন আছে।

আর নয় তো দেখা যাচ্ছে যে ড্রাইভ করার সময় যদি হাইপোগ্লাইসেমিয়া পায় যখন শুরু হয় তখন কিন্তু মারাত্মক ধরনের একসিডেন্ট ঘটার সম্ভাবনা থাকে । সেজন্য আমাদের যেটা করা উচিত সেটা হচ্ছে ওই ধরনের যদি কোন লং ড্রাইভ যদি থাকে তাহলে হচ্ছে অবশ্যি জার্নির পূর্বে সুগার লেভেল মেপে নিতে হবে।

সাথে সাথে অবশ্যই মিষ্টি জাতীয় খাবার যেমন আমরা আগেই বলেছি জন্য পাউডার বা অন্য কোন মিষ্টি খাবার বানিয়ে নিতে হবে তারপর গ্লুকোমিটার থাকলে খুবই ভালো খুবই উত্তম। সাথে রেখে দিতে হবে।

তো জানি শুরুর আগে একবার সুগার মাখতে হবে এবং প্রতি দুই ঘণ্টা অন্তর অন্তর জানিতে সুগার তা মাপতে হবে। নির্দিষ্ট বিরতিতে ২৪ ঘন্টা তিন ঘন্টা পর পর হালকা স্ন্যাক্স জাতীয় খাবার যেগুলো আছে সেগুলো খেয়ে নিতে হবে।

মনোযোগের কোন বিঘ্ন ঘটবে না বা হাইপোগ্লাইসেমিয়া আক্রান্ত হওয়ার কোন সম্ভাবনা থাকবে না। দেখা যাচ্ছে যে ড্রাইভিং হাইপোগ্লাইসেমিয়া আক্রান্ত হওয়ার পর এবং প্রাথমিক চিকিৎসার পর উনি অসুস্থ হওয়ার সাথে সাথে কিন্তু আবার ড্রাইভিং শুরু করা যাবে না। এ ক্ষেত্রে বলা হচ্ছে যে সাজেস্টেড যেটা সেটা হচ্ছে কমপক্ষে এক ঘন্টা বিশ্রাম নিয়ে তারপর আবার  শুরু করতে হবে।

ডায়াবেটিস কমে যাওয়ার লক্ষণ খুব অল্প সময়ের মধ্যে দ্রুত অনেক কিছু ঘটে যায় সেটার জন্য একটা জীবন বিপন্ন হয়ে যেতে পারে। এ জন্যই মূলত এই বিষয়টা নিয়ে একটু কথা বলা।

ডায়াবেটিস কমে যাওয়ার লক্ষণ সর্বশেষ

এ বিষয়ে আসলে আরো ডিটেইলস জানতে চাইলে হচ্ছে আপনার চিকিৎসক জানিয়েছেন তার সাথে পরামর্শ করা যায় । ডায়াবেটিস চিকিৎসা কেন্দ্র যেগুলো আছে সেগুলাতে লিফলেট থাকে এবং সেখানে শিখানো হয়।

ডায়াবেটিস কমে যাওয়ার লক্ষণ পরবর্তীতে নতুন টপিক আপনাদের সাথে আবার দেখা হবে সে পর্যন্ত সবাই সুস্থ থাকুন ভালো থাকুন আল্লাহ হাফেজ।

BloginfoBD

আমি মোঃ সজিব মিয়া । কাজ করছি Bloginfobd, FST Bazar, FST IT , FST Telecom ওয়েবসাইটে ।


Leave a Comment

Seraphinite AcceleratorOptimized by Seraphinite Accelerator
Turns on site high speed to be attractive for people and search engines.