হ্যালো বন্ধুরা ব্লগইনফো বিডির হেলথ টিপস এর পক্ষ থেকে সকলকে স্বাগতম। আজকে আমরা আলোচনা করব ড্রাগন ফলের উপকারিতা ও অপকারিতা।
চলুন আর কথা না বাড়িয়ে আলোচনা শুরু করা যাক। ড্রাগন ফল এক ধরনের ফনিমনসা প্রজাতির ফল । ডিম্বাকৃতি উজ্জ্বল, গোলাপী রঙের এই ফলের নাম শুনলে কেমন জানি অদ্ভুত মনে হয়।
এটি আবার কেমন হল? এটা কি আদৌ খাবার উপযোগী কিনা মনে সন্দেহ জাগে। কিন্তু এই ফল আমাদের দেশে অনেক জনপ্রিয়তা লাভ করছে। এই ফল চাষ করে অনেকেই কোটিপতি হচ্ছে।
ড্রাগন ফলের উপকারিতা ও অপকারিতা
চীনের লোকেরা এটিকে ফায়ার ড্রাগণ ফ্রুট এবং ড্রাগন পাল ফ্রুট বলে। ভিয়েতনামে নামে সুইট ড্রাগণ। ইন্দোনেশিয়া ও মালয়েশিয়াতে ড্রাগণ ফ্রুট নামে পরিচিত।
অন্যান্য দেশের দেশীয় নাম হল স্ট্রবেরি নাশপাতি ড্রাগন গাছ দেখতে একদম কেকটাসের মত গাছ ১.5 থেকে ২.৫ মিটার লম্বা হয় । গাছ দেখে অনেকেই একে চিরসবুজ ক্যাকটাস বলেই মনে করেন ।
ডিম্বাকৃতির উজ্জ্বল গোলাপী রঙের এশিয়ার মানুষের কাছে এই ফল অনেক জনপ্রিয় ।হালকা মিষ্টি মিষ্টি ফলের খোসা নরম ।
এটা কাটলে ভিতরটা দেখতে লাল বা সাদা রঙের হয়ে থাকে এবং ফলের মধ্যে কালোজিরার মতো ছোট ছোট নরম বীজ থাকে। নরম শাঁস মিষ্ট গন্ধযুক্ত গোলাপি বর্ণের এই ফল খেতে অনেক সুস্বাদু।
ড্রাগন ফল দেখতে খুবই সুন্দর ও অত্যন্ত আকর্ষণীয়। পাতাবিহীন এই ফলটি দেখতে ডিম্বাকার এবং উজ্জ্বল গোলাপী বা লাল রঙের।
সবচেয়ে মজার ব্যাপার হলো এই ফলের বাইরের খোসা দেখতে রূপকথার ড্রাগন এর পিঠের মত। এই রূপকথার ড্রাগন এর মতো কিছুটা মিল থাকার জন্য একে ড্রাগন ফল বলে।
চলুন আর কথা না বাড়িয়ে এবার আসুন জেনে নেওয়া যাক ড্রাগন ফলের উপকারিতা সম্পর্কে ।
হজম শক্তি বৃদ্ধির
প্রতিদিনের জীবনে সুস্থ থাকতে হলে হজম প্রক্রিয়া ঠিক রাখা খুব প্রয়োজন। হজম প্রক্রিয়া.
ঠিক রাখতে ড্রাগন ফল সেবন করুন। এই ফলে উপস্থিত ফাইবার খাদ্য হজম করতে সাহায্য করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা হতে দেয় না।
ক্যান্সার প্রতিরোধে
ড্রাগন ফলে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার ক্যালসিয়াম ফসফরাস আর ভিটামিন b2 পাওয়া যায়।এই ফলে এমন উপাদান থাকে যা শরীরের বিষাক্ত টক্রিন পদার্থ গুলি অপসারণে সহায়তা করে ।
যার ফলে এই ফল সেবন করলে ক্যান্সার রোগ শরীরের জন্মাতে পারে না।
চুলের জন্য ড্রাগন ফল
ড্রাগন ফল চুল ঝরে পড়া কমায় এতে এমন অনেক পুষ্টি উপাদান রয়েছে যা আমাদের চুলের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে সাথে সাথেই চুলের ডগা মজবুত বানাতে সাহায্য করে।
কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে
কোষ্ঠকাঠিন্য তে মল খুব শক্ত হয়ে যায় ড্রাগন ফলে জলের মাত্রা প্রচুর হওয়ায় এই ফল ব্যক্তিকে হাইড্রেট রাখতে সাহায্য করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে।
এছাড়াও শরীরের বিপাকীয় ব্যবস্থা এবং হজম শক্তি বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে।
ত্বকের সৌন্দর্যে ড্রাগন ফল
ত্বকের যত্নের অনেক প্রক্রিয়া চারদিকে ছড়িয়ে আছে। তবে সেই গুলো কতটা লাভ দায়ক তা বলা মুশকিল ।
তবে ড্রাগন ফল এমন একটি ফল জেটিতে উচ্চমাত্রার ভিটামিন পাওয়া যায়। যা ত্বকের ব্রণ দূর করতে সহায়তা করে।
ডায়াবেটিস
ডায়াবেটিস একটি মারাত্মক রোগ এই রোগ কে নিয়মিত চেকআপ রাখা উচিত। এই রোগে রক্তের সুগারের পরিমাণ যত কম রাখা যায় রোগীর জন্য ততোই ভালো।
ড্রাগন ফলে অনেক ধরনের ভিটামিন ও খনিজ থাকে। যা রক্তের সুগারের স্তরকে নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে এবং শরীরে ইনসুলিন বাড়াতে সহায়তা করে । ড্রাগন ফল কে প্রতিদিনের আহারে রাখার চেষ্টা করুন ।
হাঁপানি
হাঁপানি সর্দি কাশি এবং স্নায়ুজনিত রোগ আমাদের জীবনে মারাত্মক আঘাত হানতে পারে এবং আমাদের প্রতিদিনের ক্রিয়া-কলাপ এ প্রভাবিত করতে পারে।
এই রোগ ফেলে রাখা উচিত নয় এবং এই রোগের চিকিৎসা সময়মতো করা উচিত। ড্রাগন ফলে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এর উপস্থিতি থাকে । যেই কারনে এই ফল হাঁপানি রোগ সারাতে লাভ দায়ক।
ওজন কমাতে
ড্রাগন ফল খাওয়ার ফলে শরীরের মেদ কম হয়। ড্রাগন ফলে প্রচুর মাত্রায় প্রোটিন থাকে যেই কারনে শরীরের ওজন বাড়ে না। সুস্থ থাকতে চাইলে সালাদে ড্রাগন ফল খাওয়া ভুলবেন না।
আমরা এতক্ষন ধরে ড্রাগন ফলের অনেক সুবিধার কথা জানলাম কিন্তু ড্রাগন ফলে কিছু সমস্যা আছে । যেগুলোর ব্যাপারেও আমাদের জন্য জানা দরকার চলুন জেনে নিই ড্রাগন ফলের পার্শপ্রতিক্রিয়া সম্বন্ধে।
কিছু ব্যক্তির ড্রাগন ফল খাওয়ার কারণে ডায়রিয়া হয়। ড্রাগন ফল সেবন করার অনেক সুবিধে তবে অধিক মাত্রায় এই ফলের সেবন শরীরের পক্ষে ক্ষতিকারক হতে পারে।
ড্রাগন ফল খাওয়ার কারণে যদি আপনি কোন ধরনের স্বাস্থ্য সমস্যায় পড়েন। তবে তাৎক্ষণিকভাবে ড্রাগন ফল খাওয়া বন্ধ করুন এবং আপনার নিকটস্থ কোনো সাধারণ চিকিৎসকের সাথে যোগাযোগ করুন।
ড্রাগন ফলের উপকারিতা ও অপকারিতা সর্বশেষ
আজকের মতো এই পর্যন্তই আপনাদের কোন মতামত থাকলে কমেন্ট বক্সে জানাতে ভুলবেন না আমাদের সাথে থাকতে আমাদের সাইটে নিয়মিত ভিজিত করুন এবং শেয়ার করে সাথে থাকুন ।