শরীরের চাকার মতো আঁকাবাঁকা সীমানা যুক্ত চুলকানি হয় নি এমন মানুষ সহজে খুঁজে পাওয়া মুশকিল । শুরুতে সরল হলেও হজব্রল চিকিৎসায় জটিল আকারে দেখা দিতে পারে এই রোগ। আজকের পোষ্টে কিভাবে দাদ থেকে সহজে মুক্তি পাবেন সেই বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব ইনশাআল্লাহ । তাহলে চলুন শুরু করা যাক।
দাদ বা দাউদ কী?
প্রথমে ছোট করে জেনে নিই দাদ বা দাউদ কী? দাউদ হলো ছত্রাকজনিত সংক্রমণ যেটা সাধারণত আমাদের পা থেকে একেবারে মাথা পর্যন্ত হতে পারে। সাধারণত আমাদের শরীরে যেখানে যেখানে ভাজ আছে সেইখানে বেশি হয়ে থাকে।
দাদ শরীরের কোথায় হয়
মহিলাদের ক্ষেত্রে কোমড়ের ভাজেঁ বেশি হয়ে থাকে । পুরুষের ক্ষেত্রে রানের মাঝে বেশি হয়ে থাকে পাশাপাশি বগলেও কিন্তু হতে পারে । যেসব জায়গায় প্রচুর পরিমাণে ঘাম হয় সেই সব জায়গায় হতে পারে।
পাশাপাশি আপনার ওজন যদি অনেক বেশি থাকে আপনি যদি অনেক মোটা হয়ে থাকেন সেক্ষেত্রে আপনার শরীরের বিভিন্ন জায়গায় ভাঁজ হবে না সেই ভাঁজগুলোতে ঘেমে সেতসেতে অবস্থা তৈরি হয় সেখানেও কিন্তু আপনার এই দাগ হতে পারে।
আরও পড়ুন: লিভার রোগের লক্ষণ । Symptoms of liver damage
পাশাপাশি আপনি যদি টাইট কাপড় চোপড় পড়েন এবং প্রচুর পরিমাণে ঘামেন সহজেই সেটাতে পরিষ্কার না করেন সেখানেও কিন্তু আপনার দাদ হতে পারে।
দাদ চিকিৎসা কিছু কমন ভুল
সাধারণত দাদ চিকিৎসা কিছু কমন ভুল করা হয়ে থাকে সেই ভুলগুলো সম্পর্কে প্রথমে বলিনি কারণ এই ভুলগুলো যদি না করেন তাহলে কিন্তু দাঁত অনেক সরল একটি সমস্যা কিন্তু ভুলের কারণে এটি জটিল আকার ধারণ করে।
সাধারণত দাদের চিকিৎসার স্টোরয়েড জাতীয় মলম ট্যাবলেট কিংবা ইনজেকশন ব্যবহার করা উচিত না। আর যদি ব্যবহার করা হয় বা প্রয়োজনে ব্যবহার করা হয় এক্ষেত্রে অবশ্য সতর্কতার সাথে ব্যবহার করতে হবে।
দাদের ক্ষেত্রে যদি আপনি স্টেরয়েড অতিরিক্ত মাত্রায় ব্যবহার করেন সে ক্ষেত্রে কিন্তু এই দাদ প্রাথমিকভাবে সেরে গেলেও কিছুদিন পরে আরো বড় আকারের হয়ে দেখা দেবে এবং সেটা আলটিমেটলি ওষুধে কাজ না করার মত দাদ হতে পারে ।
দাদ রোগের ঘরোয়া চিকিৎসা
আপনি যদি নিজে নিজেই দাদ এর চিকিৎসা করতে চান সে ক্ষেত্রে অপর্যাপ্ততার কারণে আপনার দাদ কিন্তু আরো বেড়ে যেতে পারে । তাহলে এক্ষেত্রে আপনাকে অবশ্যই সতর্ক থাকতে হবে । সেটা কিন্তু পরবর্তীতে অন্যান্য ওষুধের কাজ করে না।
সেই রকমের একটা দাদ হয়ে যেতে পারে পাশাপাশি কিছু ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া থাকতে পারে । এটা যখন রোগী খায় অনেকে কিন্তু কমপ্লেন করে থাকেন তাদের চোখ ঝাপসা হয়ে আসে, মাথা ঘুরায়।
আরও পড়ুন: কিডনির কাজ । কিডনি রোগের লক্ষণ ও প্রতিকার
তাহলে এই সমস্যা গুলো যদি আপনার থাকে এটা কিন্তু আপনি ব্যবহার করতে পারবেন না। তাহলে এক্ষেত্রে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নেবেন ।
কিছু সর্তকতা
আপনাকে কিছু সর্তকতা অবলম্বন করতে হবে । যদি না করেন তাহলে দাদ কিন্তু ওষুধে ভালো হবে না। আপনি যদি দাদ হয় আপনি কিন্তু সেই জায়গায় কোন ধরনের সাধারণ সাবান ব্যবহার করবেন না। কিংবা ডিটারজেন্ট ব্যবহার করবেন না।
আপনি চেষ্টা করবেন যতটা পারেন কম ঘামতে। যত কম ঘামবেন ততই কিন্তু ওষুধ ভালো কাজ করবে ।পাশাপাশি একটি ছোঁয়াচে রোগ তাই চেষ্টা করবেন দাদ দ্বারা আক্রান্ত রোগীর ব্যাবহারের জিনিস ব্যবহার না করতে ।
শেষ কথা
আজকের পোষ্টে যেসব পরামর্শ শেয়ার করেছে সেগুলো যদি ঠিকঠাক মেনে চলতে পারেন এবং সময়মতো ডাক্তারের পরামর্শে যদি সঠিক এবং মাত্রা মেনে চলে ঔষধে এবং ক্রিম লাগাতে পারেন সেক্ষেত্রে কিন্তু আপনার দাদ একেবারে একশো শতাংশ পর্যন্ত ভালো হওয়া সম্ভব। তাহলে আজকে এই পর্যন্তই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন।