এমন অনেকে স্টুডেন্ট আছে যারা প্রতিদিন আট থেকে দশ ঘণ্টা করে পড়ালেখা করেও পরীক্ষায় একটা ভালো নম্বর করতে পারে না । অপরদিকে এমন কিছু স্টুডেন্ট থাকে যারা দিনে শুধু মাত্র তিন থেকে চার ঘন্টা করে পড়াশোনা করেই এক্সামে একটা ভালো নম্বর পাওয়ার মাধ্যমে ক্লাসের টপার হয় ।
এমনটা কেন হয়? কীভাবে তারা কম পড়েও পরীক্ষায় সর্বোচ্চ নম্বর পায় । যদি আপনি এই বিষয়ে কনফিউজ থাকেন এবং এ ব্যাপারে বিস্তারিত জানতে চান তবে এই পোষ্টটি প্রথম থেকে একটানা একেবারে শেষ পর্যন্ত দেখতে থাকুন ।
দ্রুত সিলেবাস শেষ করার উপায়
আজ এই পোষ্টটে আমি আপনাদের সাথে এমন কিছু স্পেশাল টিপস শেয়ার করব। সেগুলো ফলো করে নিয়মিত পড়াশোনা করলে আপনি কম পড়ে পরীক্ষায় তুলনামূলক বেশি নম্বর করতে পারবেন ।
তাছাড়া আপনার পরীক্ষার জন্য হাতে খুবই কম সময়ে থাকলেও সিক্রেট টিপস গুলো ফলো করে আপনি খুব দ্রুত আপনার সম্পূর্ণ সিলেবাস কমপ্লিট করতে পারবেন তো চলুন শুরু করা যাক.
ইম্পরট্যান্ট অধ্যায় পড়ুন
নাম্বার ওয়ান আপনি হয়তো লক্ষ্য করেছেন আমরা যখনই কোন এক্সাম নেই সেই এক্সামের কোশ্চেন পেপার এ থাকা সকল প্রশ্ন গুলো কিন্তু বইয়ের সকল অধ্যায় থেকে সমানভাবে আসেনা বরং সব সময় দেখা যায় যে কোন বোর্ড পরীক্ষায় বইয়ের কিছু কিছু ইম্পরট্যান্ট অধ্যায় থেকে সব চাইতে বেশি পরিমানে এবং বেশি নম্বরের প্রশ্ন আসে ।
অপরদিকে একটু কম ইম্পরট্যান্ট এমন অধ্যায়গুলো থেকে তুলনামূলক খুবই কম প্রশ্ন আসে । এক্ষেত্রে আপনি যদি আগে থেকেই এসমস্ত ইম্পর্টেন্ট অধ্যায় খুব ভালোভাবে পারেন তবে পরীক্ষার হলে আপনি তখন খুব সহজেই আপনার বেস্ট পারফরমেন্স দিতে পারবেন।
ফলে আপনার পরীক্ষার রেজাল্ট ভালো হবার সম্ভাবনাও তখন অনেকটাই বৃদ্ধি পাবে । এক্সামের জন্য আপনার হাতে যদি খুবই কম সময় থাকে সে ক্ষেত্রে আপনার উচিত প্রথমে সিলেবাসের সেই সমস্ত টপিক গুলো কে আগে কমপ্লিট করা।
যেখান থেকে এক্সাম এ সবচেয়ে বেশি পরিমাণ এবং বেশি নম্বরের প্রশ্ন আসে। তারপর এই টপিক গুলোকে খুব ভালোভাবে পড়া কমপ্লিট হয়ে গেলে শুধুমাত্র তবে তুলনামূলক একটু কমে গুরুত্বপূর্ন প্রশ্ন পড়বেন ।
খাতায় লিখে রাখা
যে কোন টপিক পড়ার পর সেটিকে অনেক বেশি দিন পর্যন্ত মনে রাখার জন্য সে গুলোকে মাঝেমধ্যে খাতায় লিখে প্র্যাকটিস করবেন। কারণ যে কোন টপিক নিয়মিত লিখে প্র্যাকটিস করলে সেটি পরীক্ষার হলে লেখার সময় খুব দ্রুত মনে পড়ে যায় । ফলে তখন সেটিকে নির্ভুলভাবে খাতায় লেখা অনেক বেশি সহজ হয়।
প্রশ্নগুলো স্টাডি করুন
নাম্বারে দুই লাস্ট ফাইভ ইয়ার্স কোশ্চেন পেপার দ্রুত সম্পন্ন সিলেবাস কমপ্লিট করার জন্য আপনি চাইলে গত পাঁচ বছরের প্রশ্নগুলো স্টাডি করতে পারেন । এতে করে খুব অল্পসময়ের সম্পূর্ণ বই সম্পর্কে আপনার ব্রেইনে একটা স্পষ্ট ধারণা ক্রিয়েট হবে।
তাছাড়া একটু কষ্ট করে হলেও একবার প্রশ্নগুলোকে পরে কমপ্লিট করতে পারলে পরীক্ষায় কিভাবে প্রশ্ন আসে এবং আপনার বইটি কোন কোন অধ্যায় থেকে তুলনামূলক একটু বেশি প্রশ্ন আসছে এই বিষয়টি আপনি খুব পরিষ্কারভাবে বুঝতে পারবেন।
তাছাড়া এ ভাবে পড়লে আপনার নিজের মধ্যেও পরীক্ষা সম্বন্ধে একটা কনফিডেন্স ক্রিয়েট হবে যেটি আপনাকে পরবর্তীতে পরীক্ষায় একটা ভালো নম্বর পেতে অনেক বেশি হেল্প করবে ।
তাই আজই বিগত পাঁচ বছরের প্রশ্ন গুলো কে কালেক্ট করে সেগুলো কে পড়া করাই স্টার্ট করুন এক্ষেত্রে প্রশ্নগুলোকে সংগ্রহ করার জন্য আপনি চাইলে আপনার হোম টিউটরের হেল্প নিতে পারেন ।
পড়ুন : কি খেলে স্মৃতিশক্তি বাড়ে?স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধির মন্ত্র
কিংবা চাইলে অনলাইন থেকেও প্রশ্নগুলোকে ডাউনলোড করে নিতে পারেন অথবা লাইব্রেরী থেকে প্রশ্ন সম্বলিত যেকোনো একটি বই কিনে নিতে পারেন। বোর্ডের প্রশ্ন গুলো স্টাডি করার আরেকটি সুবিধা হলো আপনি যখন পরীক্ষার হলে প্রশ্নপত্র হাতে পাবেন।
তখন দেখবেন সেখানকার প্রায় ৫০ থেকে ৬০ শতাংশ প্রশ্ন বিগত বছরের প্রশ্নগুলো থেকে রিপিট হয়েছে। তাই আপনার যদি সেগুলো আগে থেকেই পড়া থাকে তবে আপনি তখন খুব সহজেই সেগুলো উত্তর লিখতে পারবেন ।
ভালো প্রস্তুতি গ্রহণ করুন
নম্বর তিন যেকোনো এক্সাম ট্র্যাক করার জন্য প্রয়োজন সে পরীক্ষার জন্য পূর্বেই একটা ভালো প্রস্তুতি গ্রহণ করা। আর ভালো প্রস্তুতি নেবার জন্য যেটি সবচেয়ে বেশি দরকার তা হলো প্রতিদিন একটা নির্দিষ্ট টাইম ফিক্স করে সেই অনুযায়ী রেগুলার স্টাডি করা।
আর এজন্য আমাদেরকে যে জিনিসটা সবচেয়ে বেশি হেল্প করতে পারে তাহলে একটা পারফেক্ট স্টাডি টাইমটেবল কারণ একমাত্র রুটিন মেনটেন করে স্টাডি করলে পরীক্ষার পূর্বে হাতে থাকা এই সীমিত সময়কে সঠিকভাবে পড়াশোনার জন্য কাজে লাগানো যায়।
তাছাড়া দ্রুত সিলেবাস কমপ্লিট করার জন্য এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ । আপনি সারাদিনে কোন সময় কোন কোন সাবজেক্টে স্টাডি করতে চান সে গুলোকে ইনক্লুড করে আপনার জন্য একটা পারফেক্ট স্টাডি টাইমটেবল করবেন।
ব্রেক নিয়ে পড়ুন
এই ক্ষেত্রে একটা নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত একটানা পড়ার পর পর অবশ্য অল্প কিছু সময়ের জন্য হলেও ব্রেক নিবেন। যেমন আপনি চাইলে তখন প্রতি ৫০ মিনিট একটানা পড়ার পর পর দশ মিনিট করে ব্রেক নিতে পারেন।
এছাড়া আপনার টাইম টেবিল টিতে স্টাডি করার পাশাপাশি পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুমের জন্য সময় রাখবেন ।কারণ আমাদের নিজেদের শরীরকে সুস্থ রাখার পাশাপাশি স্টাডি করার জন্য এটি অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ ।
দ্রুত সিলেবাস শেষ করার উপায় শেষ কথা
যদি পোষ্টটি আপনার ভালো লাগে তবে অবশ্যই পোষ্টটি কে লাইক করুন এবং শেয়ার করে আপনার সকল বন্ধুদের কেউ এই পোষ্টটি দেখার সুযোগ করে দিন ।
আর এই ধরনের স্টাডি রিলেটেড পোষ্ট নিয়মিত দেখতে চাইলে এখনি আমাদের সাইটটি ভিজিট করতে পারেন ।
ধন্যবাদ
আরও পড়ুন : পড়াশোনায় মনোযোগ আনার উপায় – Best Tips