নামাজে তেলাওয়াতের ৭টি সুন্নাত: আসসালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহি ওয়াবারাকাতুহ। ব্লগইনফো বিডি এর পক্ষ থেকে আপনাদেরকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা। আজ আমি মাসাআলা অধ্যায়ে আলোচনা করব নামাজে ক্বিরাত সুন্নত ৭ টি। এর আগে আমি নামাজের দাঁড়ানো অবস্থায় ১১ নিয়ে আলোচনা করেছিলাম।
নামাজে তেলাওয়াতের ৭টি সুন্নাত
তার আগে নামাজের বিভিন্ন মাসআলা এবং অন্যান্য মাসআলা আলোচনা করেছি । সামনে একাকী আমি আরো নামাজের যে বাকি রুকু এবং সিজদা এবং বৈঠকের মাসআলাগুলো আছে বা সুন্নত গুলো আছে সেগুলো নিয়ে আলোচনা করব । আজকে বিষয়ে আলোচনা হল নামাজে ক্বিরাত সুন্নত ৭ টি ।
পূর্ণ আউযুবিল্লাহ পড়া
এক নম্বর প্রথম রাকাতে সানা পড়ার পর পূর্ণ আউযুবিল্লাহ পড়া । আউজুবিল্লাহি মিনাশ শাইত্বনির রজীম এইটা পুরোটা পড়ার পর নামাজের ছানা পড়া সুন্নত। আমরা এর আগের পর্বে দেখেছি যে ছানা পড়া হলো সাধারণ অবস্থায় সুন্নাত। প্রথম রাকাতে ছানা পড়ার পর পুরো আউযুবিল্লাহি মিনাশ শাইত্বনির রজীম পড়া হলো সুন্নত ।
বিসমিল্লাহ পড়া সুন্নত
দুইনাম্বার প্রতি রাকাতে সূরা ফাতিহা ও সূরা মিলানোর পূর্বে বিসমিল্লাহ পড়া সুন্নত। বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম পড়া সুন্নত । প্রতি রাকাতে সূরা ফাতিহা আগে এবং সূরা মিলানো পূবের্ বিসমিল্লা পড়া সুন্নত ।
আমিন বলা সুন্নত
তিন নাম্বার সূরা ফাতিহার পর সকলের জন্য আমিন বলা সুন্নত। সূরা ফাতিহার পর সকলের জন্য আমিন বলার জন্য এখানে অনেক মতনৈক্য আছে তো এটা নিয়ে আসলে আমি বিস্তারিত বলতে পারছিনা। এর বিভিন্ন মতবাদ বা বিভিন্ন মাজহাবের বিভিন্ন রকমের মাসালা আছে ।
ইমাম আবু হানিফার হানাফী মাযহাবের কথা এখানে আমি আছি যে সূরা ফাতিহার পরে সকালের জন্য নিরব আমিন বলা সুন্নত । হানাফী মাযহাবে নিরবে আমিন বলার সুন্নত । অন্যান্য মাযহাব অন্যান্য যে ইমামদের সেটা ভিন্ন জোরে বলা বা বিভিন্ন ভাবে বলা সেটা অন্য বিষয়। আমি এখানে হানাফী মাযহাবের কথা উল্লেখ করেছি।
ক্বিরাত লম্বা করা
চার নাম্বার ফজর এবং জোহরের নামাজের তেলাওয়াত ক্বিরাত লম্বা করা। অর্থাৎ সূরা হুজুরাত থেকে সূরা বুরুজ পর্যন্ত। ফজর এবং জোহরের নামাজের তেলাওয়াত লম্বা করা। অর্থাৎ সূরা হুজরাত থেকে সূরা বুরুজ পর্যন্ত পড়া এবং এশার নামাজে মধ্যম কেরাত পড়া।
অর্থাৎ ত্বরিক থেকে সূরা নাস পর্যন্ত পড়া এবং মাগরিবের নামাজের সুরা-কেরাত পড়া অর্থাৎ সূরা যিলযাল থেকে সূরা নাস পর্যন্ত পড়া । এই সূরার সব পড়তে হবে এমন নয় অল্পকিছু পড়েন তাহলে সুন্নত আদায় হয়ে যাবে ।
ফজরের প্রথম রাকাত দ্বিতীয় রাকাত অপেক্ষা লম্বা করা
পাচ নাম্বার ফজরের প্রথম রাকাত দ্বিতীয় রাকাত অপেক্ষা লম্বা করা। ফজরের নামাজ প্রথম রাকাত লম্বা করা দ্বিতীয় রাকাতে তুলনায়। তার মানে দ্বিতীয় রাকত ছোট হবে প্রথম রাকাত লম্বা হবে । অন্যান্য ওয়াক্ত উভয় রাকাতের কেরাত পরিমাণ সমান রাখা।
তাড়াতাড়ি অথবা ধীরগতিতে না পড়া
নামাজে তেলাওয়াতের ৭টি সুন্নাত ছয় নাম্বার কেরাত অত্যন্ত তাড়াতাড়ি অথবা একেবারে ধীরগতিতে না পড়া। বরং মধ্যম গতিতে পড়া । ক্বিরাত খুবই দ্রুত খুবই আস্তে আস্তে না পড়ার বরং মধ্যম বলতে পড়া হলো সুন্নত ।
তৃতীয় এবং চতুর্থ রাকাতে শুধুমাত্র সূরা ফাতিহা পড়ে
সাত নাম্বার ফরজ নামাজের তৃতীয় এবং চতুর্থ রাকাতে শুধুমাত্র সূরা ফাতিহা পড়া। অর্থাৎ ফরজ নামাজের ক্ষেত্রে যে ফরজ নামাজ চার রাকাত বা তিন রাকাত বিশিষ্ট সে ফরজ নামাজে প্রথম দুই রাকাতে সূরা ফাতিহা পড়ে সূরা মিলাবো ।
নামাজে তেলাওয়াতের ৭টি সুন্নাত তৃতীয় এবং চতুর্থ রাকাতে শুধুমাত্র সূরা ফাতিহা পড়ে রুকুতে চলে যাব । সেখানে সুরা ফাতেহার পর সূরা মিলানো দরকার নাই এুট সুন্নত। শুধুমাত্র ফরজ নামাজের ক্ষেত্রে।
নামাজে তেলাওয়াতের ৭টি সুন্নাত সর্বশেষ
এই হলো ৭ টি সুন্নাত পরবর্তীতেও আমি ইনশাআল্লাহ আলোচনা করবো। আপনারা অবশ্যই পড়বেন। আমার জন্য দোয়া করবেন আমিও দোয়া করি আল্লাহ পাক যেন সুস্থ রাখে আসসালামু আলাইকুম ।