নামাজ ভঙ্গের কারণ আসসালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহি ওয়াবারাকাতুহু। ব্লগইনফো বিডি এর পক্ষ থেকে আপনাদেরকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছ । আজ আমি মাসালা আলোচনা করব বিষয় নামাজ ভঙ্গের কারণ ১৯ টি।
এই গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় এর আগে আমি নামাজের ফরজ এবং নামাজর ওয়াজিব আলোচনা করেছি। তার আগে ওযু নিয়ে আলোচনা করেছি অযুর নিয়ম ও ভঙ্গের কারন। আজ আমি নামাজ ভঙ্গের কারণ ১৯ টি আলোচনা করব ইনশাআল্লাহ। এর পরের নামাজের সুন্নতগুলো আছে সে বিষয়ে আলোচনা করব ।
নামাজ ভঙ্গের কারণ
আর একটি কথা বলে রাখি আমি এখানে যে নামাজ ভঙ্গের কারণ ১৯ টি আপনাদেরকে দেখাচ্ছি এটা বিভিন্ন মতামত থাকতে পারে। এটা শেখার পরে নামে প্রসিদ্ধ ১৯ টি কারণ।
এর পরেও আপনারা অবশ্যই যদি আপনার মনে কোন সন্দেহ থাকে আমাকে কমেন্ট করে জানাবেন আর যদি কমেন্টের উত্তর দিতে পারি তাহলে আমি অবশ্যই সব বলে দেব।
নামাজে অশুদ্ধ পড়া
এক নাম্বার হল নামাজে অশুদ্ধ পড়া। আসলেই নামাজে অশুদ্ধ পড়া নামাজ ভঙ্গের প্রধান কারণ । আপনি যদি কোরাআন ও শুদ্ধ করে পড়তে পারেন তো আলহামদুলিল্লাহ ।আর যদি অশুদ্ধ পড়েন অশুদ্ধ বলতে ভুল পড়েন। আপনি নিজেই চিন্তা করুন পড়া উচ্চারণটা পডা হয়ে যায় তাহলে কি ঠিক হবে ।
একই রকমভাবে আরবিতে এরকম ভিন্ন আছে। আমরা কোরআন তেলওয়াত সহীহি করে পড়ব । অন্ততপক্ষে দশটা-পাঁচটা সূরা অবশ্যই আমরা সহি করে নিব। এ জন্য আমরা চেষ্টা করব নামাজও অশুদ্ধ যেন না হয়। শুধু নামাজে কিরাত না যে তার দুরুদ শরীফ আমরা পড়ি দোয়া করি এগুলো সব ইনশাল্লাহ শুদ্ব করে নিব।
নামাজের ভিতর কথা বলা
নামাজের ভিতর কথা বলা। আমরাটা অধিকাংশ লোকই জানি যে নামাজের ভিতরে কথা বললে নামাজ নষ্ট হয়ে যাবে।
কোন লোককে সালাম দেওয়া
তিন নাম্বার কোন লোককে সালাম দেওয়া । আপনি যদি নামাজ রত অবস্থায় কোন লোককে সালাম দেন তাহলে অবশ্যই আপনার নামাজ নষ্ট হয়ে যাবে।
সালামের উত্তর দেওয়া
চার নাম্বার সালামের উত্তর দেওয়া । সালাম দিলেও নামাজ ভেঙে যাবে সালামের উত্তর দিলো নামাজ ভেঙে যাবে। আমরা যারা একটু জানি তার আমরা অবশ্যই মানি । কিছু কিছু নিয়ম আছে আমরা মানি না।
নামাজ ভঙ্গের কারণ এখানে আপনারা অবশ্যই জানবেন জিনিসগুলো আপনি মুখস্ত করার কোন প্রয়োজন নেই। যে আপনাকে মুখস্ত করতে হবে তা না মুখস্থ করলে মনে থাকবে না কিন্তু আপনাকে এটা জেনে রাখতে হবে।
ওহ আহ শব্দ করা
পাচ নাম্বার ওহ আহ শব্দ করা । একটি মশা কামড়িয়েছে আপনাকে ওহ আহ আওয়াজ করলে আপনার নামাজ নষ্ট হয়ে যাবে । এটা অনেকেই জানি না অনেকের মুখ থেকে আওয়াজ বের হয়ে যায়। কষ্টের কারণে বা ব্যথার কারণে এরকম আওয়াজ বের হয়ে যায়। এরকম আওয়াজ বের হয়ে গেলে কিন্তু নামাজ নষ্ট হয়ে যাবে।
কাশি দেওয়া
ছয় নাম্বার হল বিনা ওজরে কাশি দেওয়া। বিনা ওজরে কাশি দিলে কিন্তু আপনার নামাজ নষ্ট হয়ে যাবে । আমরা অনেকেরই কাশি লাগে না । আমরা জোর করে ইমাম কি ইঙ্গিত করার জন্য বা একটু কোন সংকেত দেওয়ার জন্য একটু কাশি দিই ।
নামাজ ভঙ্গের কারণ ওই জিনিসটা করলে কিন্তু নামাজ নষ্ট হয়ে যাবে। আর যদি আপনার ঠান্ডা লেগে থাকে বা কাশির রোগ থাকে তাহলে কোন সমস্যা নাই। নামায হয়ে যাবে।
আমলে কাসীর করা
সাত নাম্বার আমলে কাসীর করা । আমরা অনেকেই জানিনা আমলে কাসীর যে কিভাবে কি করতে হয়। আমলে কাসীর হলো আপনি নামাজে দাঁড়ানোর পরে যদি বাহির থেকে কোন মুসল্লী বা কোন লোক যদি দেখে বুঝতে পারে যার নামাজ পড়তেছেন না। এমন অঙ্গভঙ্গি বা এমন অলসতায় এমনভাবে দাঁড়ানো আর একজন লোক বা দ্বিতীয় ব্যক্তি আপনাকে দেখে মনে করবে.
নামাজের নাই। এরকম যদি সে মনে করে ফেলে তাহলে কিন্তু আপনার নামাজ নষ্ট হয়ে যাবে । আমরা অনেক খেতাম না দুই হাত ছেড়ে দিয়ে মাথা চুলকায়। বাইরের লোকদের নামাজের নাই এটাকে বলা হয় আমলে কাছির করা। যেমন অঙ্গভঙ্গি করা যে বাইরের লোক দেখলে মনে হবে যে নামাজে না এজন্য তারা এরা করবেন না ।
বিপদে কিংবা বেদনায় শব্দ করিয়া কাদা
আট নাম্বার বিপদে কিংবা বেদনায় শব্দ করিয়া কাদা। বিপদে বেদনা এমন সংবাদ শুনছি বা এমন চিন্তা মাথার মধ্যে আসছে যে খুব কষ্ট পেয়েছি। আমার মনে খুব কষ্ট লাগলো এজন্য শব্দ করে কেঁদে উঠছে তাহলে আমার নামাজ নষ্ট হয়ে যাবে।
তিন তসবি পরিমাণ সতর খুলিয়া রাখা
নয় নাম্বার তিন তসবি পরিমাণ সতর খুলিয়া রাখা। পুরুষের সতর হলো নাভির উপর থেকে হাটুর নীচ পর্যন্ত। এইটুকু পরিমান জায়গা যদি আপনাদের এইটুকু জায়গায় যদি আপনাকে তিন তসবির সুবহানাল্লাহ সুবহানাল্লাহ সুবহানাল্লাহ এরকম তিন তসবির পরিমাণ সময় যদি আপনার সতর খুলে থাকে।
মুক্তাদির ছাড়া অন্য ব্যক্তির লোকমা লওয়া
দশ নাম্বার মুক্তাদির ছাড়া অন্য ব্যক্তির লোকমা লওয়া ভুল সংশোধন করা হয় সেটা গ্রহণ করা । মুক্তাদির ছাড়া অন্য ব্যক্তির লোকমা লওয়া। ইমাম সাহেব নামায পড়তেছে। তো ভুলে গেছে নামাজে তো বাইরের একজন লোক যে লোকটা নামাজে নাই যে লোকটা নামাজে নাই সে লোকটি হলো অন্য ব্যক্তি।
এজন্য যারা নামায আছে সে মুক্তাদী। মুক্তাদী ব্যতীত হতে বাহির থেকে লোকমা দেয়। কোরআন তেলাওয়াত, ওঠাবসা যদি কোন ভুল হয় তাহলে যদি বাইরের লোক মানে তাহলে কি হবে সেটা যদি মানুষের গ্রহণ করে তাহলে নামাজ নষ্ট হয়ে যাবে।
সুসংবাদ বা দুসংবাদের উওর দেওয়া
এগার নাম্বার সুসংবাদ বা দুসংবাদের উওর দেওয়া। সুসংবাদ পাইছি আলহামদুলিল্লাহ বলছি দুসংবাদের পাইছি ইন্নাল্লিলাহ বলে উঠেছি নামাজ নষ্ট হয়ে যাবে।
নাপাক জায়গায় সেজদা কর
বার নাম্বার নাপাক জায়গায় সেজদা করা । আমরা সবাই জানি যে নাপাক জায়গায় সিজদা করলে নামাজ হবে না। নামাজ নষ্ট হয়ে যাবে না অনেক মাসালা আছে।
কিবলার দিক থেকে সিনা বা বুক ঘুরে যাওয়া
তের নাম্বার কিবলার দিক থেকে সিনা বা বুক ঘুরে যাওয়া । কিবলার দিক নামাজ পড়ার জন্য কিন্তু হয়তোবা একটু অসুস্থ এ কারণে আমরা বুক ঘোরায় এরকম ঘুরে থাকে সে ক্ষেত্রে নামাজ নষ্ট হয়ে যাবে ।
কোরআন মাজীদ দেখে পড়া
চেীদ্দ নাম্বার নামাজে কোরআন মাজীদ দেখে পড়া। নামাজে কোন সূরা পড়লে কি নামাজ নষ্ট হয়ে যাবে । কিন্তু এখানে আবার আপনার অনেকে বলবেন যে সৌদি আরবে দেখে দেখে পরে । সেীদির সাথে যদি কথা ভিন্ন সৌদি আরবে অনেকের মতবাদ আছে। হানাফী মাযহাবে হলো নামাজে কোরআন শরীফ দেখে পড়লে নামাজ হবে না।
শব্দ করে হাসা
পনের নাম্বার নামাজের শব্দ করে হাসা। নামাজের শব্দ করে হাসলে নামাজ নষ্ট হবে ।এর নামাজ হাসা যাবেনা।
হাচির জবাব দেওয়া
ষোল নাম্বার হাচির জবাব দেওয়া। হাচি আসছে হাঁচি দিতে হবে। কিন্তু হাঁচি দেওয়ার পর আলহামদুলিল্লাহ বলা বা হাচির জবাব দেওয়া যাবে না । তাহলে নামাজ ভঙ্গ হয়ে যাবে ।
নামাজ ভঙ্গের কারণ সর্বশেষ
আর সব থেকে ভাল হয় আপনি যদি আশপাশে আপনারা মসজিদের কোন আলেম ওলামার শরনাপন্ন হন তাহলে আপনার জিনিসটা আরো ক্লিয়ার বা সুবিধা হয়ে যাবে।