পড়ালেখার পাশাপাশি আয় করতে সবারই ইচ্ছা হয় । সবাই পড়ালেখার পাশাপাশি আয় করার জন্য অনেকে অনেক রকমের চেষ্টা করে।
কেউবা সফল হয় আবার কেউবা ব্যর্থ হয়ে চেষ্টা ছেড়ে দেয়। আজকের পোষ্টে আপনাদের সাথে আলোচনা করব।
পড়ালেখার পাশাপাশি আয়
কিভাবে আপনি পড়ালেখার পাশাপাশি আয় বাড়িতে বসে অনলাইনে আয় করতে পারেন।
অনলাইনে আয় করার জন্য প্রথমে আপনাকে আপনার ধৈর্য শক্তি বাড়াতে হবে। কারণ হঠাৎ করেই একটি কাজ আপনার দ্বারা সম্ভব হবে না।
আবার আপনি করছেন সাথে পড়াশোনা তাই দুটিকে একত্রে করলে কোনোটিতেই ভালো করা সম্ভব না।
তাই আপনাকে পড়ালেখাকে অগ্রগতি দিয়ে পাশাপাশি যার হাত খরচ যাতে আপনি নিজেই উপার্জন করতে পারেন এটি চেষ্টা করতে পারেন।
ব্লগিং(Blogging)
বর্তমান ইন্টারনেটের মধ্যে আপনি যা কিছুই সার্চ দেন কিছু না কিছু ওয়েবসাইট থেকে তথ্য সংগ্রহ করেন।
এই তথ্যগুলো ওয়েবসাইটে প্রদান করে ওয়েবসাইটের যিনি পরিচালনা করেন বা যিনি লিখালিখি করেন।
আপনি যদি লেখালেখি করে আয় করতে চান তাহলে আপনাকে আজ থেকেই ব্লগিং করা শুরু করতে পারেন।
ব্লগিংয়ের মাধ্যমে আপনি যা শিখেছেন তা আপনার দক্ষতা অনুযায়ী আপনি আপনার ভিজিটরদের তথ্য দিয়ে সহায়তা করতে পারে।
বর্তমানে ইন্টারনেটে ব্লগিং এর চাহিদা দিন দিন বেড়েই চলেছে। তাই আপনি যদি ইচ্ছা করেন একটি কম্পিউটার বা ল্যাপটপ দিয়ে নিজে নিজেই ব্লগিং করা শুরু করতে পারেন।
ডোমেইন কি (Domain)
ব্লগিং করার জন্য আপনার যে বিষয়গুলো লাগবে সেটি হল আপনার একটি ডোমেইন। এখন প্রশ্ন হল ডোমেইন কি?
ডোমেইন হল আপনার ওয়েবসাইটের একটি নাম জেটির মাধ্যমে আপনার ওয়েবসাইটটি কে ইন্টারনেট বা গুগোল এ সার্চ দিলে ভিজিটর দের সামনে দেখাবে।
পৃথিবীতে ডোমেইন এক ও অদ্বিতীয় হয়ে থাকে। যেটির মাধ্যমে আপনার সাইটটিকে অন্য সাইট থেকে আলাদা করবে।
হোস্টিং কি (Hosting)
ব্লগিং করার জন্য আরেকটি বিষয় প্রয়োজন সেটি হল হোস্টিং। হোস্টিং কি? হোস্টিং হলো আপনার ওয়েবসাইটের যে ফাইল গুলো থাকবে সেটি হোস্টিং এ বিদ্যমান থাকবে।
তাই আপনার ডোমেইন এর পাশাপাশি হোস্টিং ক্রয় করতে হবে যেটির মাধ্যমে আপনি আপনার সাইটটি বিভিন্ন রকম ফাইল নিরাপদে সংরক্ষণ করতে পারবেন।
ব্লগিং করার জন্য আরেকটি বিষয় হলো একটি সুন্দর থিম নির্বাচন করা। পড়ালেখার পাশাপাশি আয় করতে ব্লগেই থিমের কোন বিকল্প নেই।
থিম মূলত একটি ডিজাইন যা আপনার ওয়েবসাইটটি কে আরও আকর্ষণীয় করে তুলবে।
বর্তমানে ব্লগিং করে অনেক ব্লগার প্রতিমাসে এক লক্ষ টাকা থেকে শুরু করে আরো বেশি টাকা আয় করছে যেটি আপনি পড়াশোনার পাশাপাশি আরেকটি উৎস হিসেবে তৈরি করতে পারেন।
এ সম্পর্কে আরো যদি বিস্তারিত জানার থাকে আমাদের কমেন্ট বক্সে যোগাযোগ করতে পারেন আর কোন প্রশ্ন থাকলে তাও করতে পারেন। চলুন দ্বিতীয় পদ্ধতি সম্পর্কে আলোচনা করি।
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং (Affailate Marketing)
অনলাইন বা ইন্টারনেট ব্যবহার করেন এই রকম লোক যারা আছেন তারা সবাই কমবেশি এফিলিয়েট মার্কেটিং এই সম্পর্কে একটা ধারণা আছে।
কারণ এফিলিয়েট মার্কেটিং অনলাইনে আয় করার জন্য বিশাল একটি ক্ষেত্র যেটি আপনাকে কোনরকম বিনিয়োগ ছাড়াই অর্থ উপার্জনের রাস্তা তৈরি করে দিবে।
এখন প্রশ্ন হলো অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করব? এফিলিয়েট মার্কেটিং করার জন্য আপনাকে বেশি কিছু করতে হবে না বরং আপনার বুঝতে হবে আপনি কি সম্পর্কে কাজ করতে যাচ্ছেন।
উদাহরণস্বরূপ আপনি যদি মোবাইল কি করতে ভালোবাসেন তাহলে আপনি যেকোনো অনলাইন ই-কমার্স স্টোর থেকে আপনি একটি পণ্য নিয়ে ব্যবসা শুরু করতে পারেন।
বর্তমানে অ্যামাজন, আলীএক্সপ্রেস, আলিবাবা ইত্যাদি অনেক বড় ওয়েবসাইট রয়েছে যেখান থেকে আপনি আপনার যেকোনো পছন্দনীয় পণ্য।
আপনি বিক্রি করতে পারেন এবং তা বিক্রি করে অর্থ আয় করতে পারেন।
এফিলিয়েট মার্কেটিং এর বিস্তারিত জানতে আমাদের আরও একটি বস্তু রয়েছে এফিলিয়েট মার্কেটিং সম্পর্কে বিস্তারিত বলা হয়েছে।
ব্যবসা (Busisness)
পড়ালেখার পাশাপাশি আয় করার জন্য আরো একটি পদ্ধতি হলো নিচে একটি ব্যবসা তৈরি করা। ব্যবসাগুলো একটি স্বাধীন পেশা যেখানে আপনাকে কোনরকম সময় বাধ্যবাধকতা নেই।
এখানে আপনি আপনার বস। তাই আপনি যদি পড়ালেখার পাশাপাশি ব্যবসা করতে পারেন তাহলে আপনার ব্যবসা ক্রমশ বৃদ্ধি পাবে এবং আয় বৃদ্ধি পাবে।
আপনি যদি কোন পণ্য উৎপাদন করতে পারেন তাহলে আপনিও এই পণ্য বাজারে বিক্রি করার মাধ্যমে আয় করতে পারেন।
এছাড়াও আপনি যদি পণ্য উৎপাদন নাও করতে পারেন কোন পণ্য পাইকারি বা খুচরো মার্কেট থেকে এনে তা আপনি লোকাল মার্কেটে বিক্রি করার মাধ্যমেও আয় করতে পারেন।
যে আমি মনে করি পড়ালেখার পাশাপাশি আর একটি ভালো উৎস।
পড়ালেখার পাশাপাশি আয় (Earn along with studies)
আজকের পোস্টে আলোচনা করা হয়েছে কিভাবে আপনি পড়ালেখার পাশাপাশি আয় করবেন
যদি ভালো লাগে তাহলে বন্ধুদের সাথে শেয়ার করবেন এবং নতুন নতুন পোস্টের জন্য ব্লগইনফো বিডির সাথে থাকবেন।
ধন্যবাদ