নতুনরা যখন ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে কাজ শিখে নিজের ক্যারিয়ারের কথা চিন্তা করে ও কাজ শিখার জন্য প্রপারলি মাইন্ডসেট ফিক্স করে তারপরে সবাই সবচেয়ে বড় যে প্রবলেমটা ফেস করে সেটি হল কোথা থেকে ফ্রিল্যান্সিং এর কাজগুলো শেখা যায়।
ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ গুলো শেখার জন্য কোন ট্রেনিং সেন্টার সবচেয়ে ভালো । অনেকে আবার নিজে নিজে ট্রাই করে কাজগুলো শেখার চেষ্টা করছে। কিন্তু সঠিক গাইড লাইনের খুব বেশিদূর এগোতে পারছে না। তাছাড়াও অনেকে আবার বিভিন্ন ট্রেনিং সেন্টারে গিয়ে প্রতিনিয়তই প্রতারিত হচ্ছে।
আবার অনলাইনে বিভিন্ন জায়গা থেকে বিভিন্ন অনলাইন কোর্স কিনে হাজার হাজার টাকা খরচ করেছি। কিন্তু সেরকম কোন আউটপুট পাচ্ছেনা। সুতরাং এই পোষ্টে আমি বনর্না করব যে কোথা থেকে বা ট্রেনিং সেন্টার থেকে ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ গুলো আপনি ভালভাবে শিখতে পারবেন।
একটি ট্রেনিং সেন্টার সিলেক্ট করার আগে যে বিষয়গুলো অবশ্যই চেক করে নেবেন। যদি পোষ্টটি একটু বড় হবে তারপর আমি সবাইকে ধৈর্য ধরে পুরো পোষ্টটি দেখার অনুরোধ করবো।কোথা থেকে কাজগুলো শিখবেন সে সম্বন্ধে আপনাদের খুব ভাল একটি ধরনে এসে যাবে ইনশাআল্লাহ।
ইন্টারনেট থেকে আয় এই বিষয়গুলো জনপ্রিয় হওয়ার সাথে সাথে বাংলাদেশ প্রতিনিয়ত হাজার হাজার ট্রেনিং সেন্টার চালু হচ্ছে । তার সাথে সাথে কিছু অসাধু ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান ফ্রিল্যান্সিং এর নাম নিয়ে ট্রেনিং সেন্টার গুলোকে এমন ভাবে মার্কেটিং করছে যে সমস্ত স্কুল ট্রেনিং সেন্টার গিয়ে কোর্স না করেন।
তাহলে আপনি কখনো ফ্রিল্যান্সার হতে পারবেন না। যে নতুনরা সবসময় চিন্তা করে দেখুন ট্রেনিং সেন্টারের না গেলে আপনি কখনো ভালভাবে শিখতে পারবেন না। তাদের কাছে আমার একটি প্রশ্ন আপনি কি ট্রেনিং সেন্টারে যাওয়ার পর যে ট্রেনের বা ব্যক্তির কাছে শিখবেন সেও তো কারো না কারো কাছ থেকে শিখে এসেছে।
সে যার কাছ থেকে শিখেছি সেও কিন্তু কারও না কারও কাছ থেকে শিখেছি যদি এরকম করে একটু চিন্তা করেন তাহলে একেবারে প্রথমে যে শিখেছে সেই কিন্তু অবশ্যই কোনো ট্রেনিং সেন্টারে শেখেনি বা নিজে নিজে ট্রাই করে শিখিয়ে সাকসেস ফুল হয়েছে।
অন্যদেরকে শিখিয়েছে সেহেতু এই বিষয় মাথায় রাখবেন যে, আপনার যেকোন ট্রেনিং সেন্টারে গিয়ে শিখতে হবে এমন কিন্তু কোন কথা নেই। আপনি এই ফ্রীলান্সিং সাকসেসফুল হবেন। আপনি কি পরিমান একজন স্কিল হবেন তার হান্ডেট পার্সেন্ট ডিপেন্ড করে আপনার উপরে ।
কিন্তু কিছু কিছু নতুন ছেলে মেয়েরা এভাবে চিন্তা করে যে ট্রেনিং সেন্টার গুলোকে তাদেরকে সবগুলো জিনিস হাতে ধরে মুখে তুলে একেবারে খাওয়াবো। অবশ্য তাদের এরকম কি ঐ সমস্ত সকল ট্রেনিং সেন্টার গুলো এবং তাদের ফলস মার্কেটিং।
সবচেয়ে বড় রিলায়েবল ফ্রী মাধ্যম হলো ইউটিউব । হয়তো আপনি জানেন না যে , ইউটিউব থেকে কিভাবে প্রপারলি ব্যবহার করতে হয়। আপনার শেখার কোনো আগ্রহই নেই। বর্তমানে আপনি পাবেন না এমন কিছু ইউটিউবে নেই বললেই চলে। এ থেকে জেড পর্যন্ত সবই পেয়ে যাবেন।
যদি আপনার শিখার আগ্রহ ইউটিউবে সার্চ করে কোন জিনিস প্রপারলি বের করার সিস্টেম আপনার জানা থাকে ইউটিউবে বাংলাতে ফ্রিল্যান্সিংয়ের কাজ সম্বন্ধে হাজার হাজার টিউট্রিয়াল ভিডিও কনটেন্ট রয়েছে।
ইংলিশে এত পরিমান হাই কোয়ালিটি ফুল ভিডিও টিউট্রিয়াল রয়েছে যে যেগুলো আপনি কখনো টাকা দিয়েও পেড কোর্স এর মধ্যে পাবেন না। আর তার সাথে সাথে কিছু ই লার্নিং প্লাটফর্ম রয়েছে। শুরু করে আরো কিছু ই লার্নিং প্ল্যাটফর্ম রয়েছে যেগুলোতে এত পরিমান হাই কোয়ালিটি পেড কোর্স রয়েছে যে সেটি আপনি কখনো কল্পনাও করতে পারবেন না।
আমি কিন্তু বাংলাদেশে কোন ট্রেনিং সেন্টারে এগেনস্টে না বরং প্রতিটি ভালো ট্রেনিং সেন্টার যারা ছেলেমেয়েদেরকে ফ্রিলেন্সিং শেখানোর নামে শুধু বিজনেস না করে মানুষকে সাহায্য করছে। তাদেরকে অবশ্যই রেসপেক্ট করি ও তাদের জন্য মন থেকে দোয়া ও আসে ।
সব নতুন ছেলেমেয়েদের জন্য আমার একটা সাজেশন সেটি হল শুরুর দিকে যারা ফ্রিল্যান্সিং শেখার জন্য আসতেছেন । তারা প্রথমেই কোন জিনিস জেনে না বুঝে ট্রেনিং সেন্টারে ভর্তি না হয়ে। 2 টা মাস নিজেই নিজেকে টাইম দেয়ার ইউটিউব থেকে ইনফর্মেশন কালেক্ট করে আপনার নলেজ লেভেল প্রসারিত করেন।
ধন্যবাদ