...

ব্লগিং কি ? কীভাবে ব্লগিং করে টাকা আয় করা যায় Best Tips

203 views

অনেকে ব্লগিং করে টাকা আয় করা সম্পর্কে জানেন না। আজকের পোষ্টে আলোচনা করব ব্লগিং কী? কিভাবে শুরু করতে হয়? ব্লগিং করে কিভাবে টাকা আয় করা যায়। এসব বিষয় নিয়ে আজকের পোষ্টে বলা হবে। তাহলে চলুন শুরু করা যাক।

ব্লগিং কী

ব্লগিং হলো লেখালেখির পেশা।আপনার যদি লেখালেখি করতে ভাল লাগে। তাহলে আপনি ব্লগিং করতে পারেন।যেকোন একটি বিশয়ের উপর যেটা আপনার ভালো লাগে সেটার ওপর ওয়েবসাইট খুলে সেখানে লেখালেখি করাবে ইন্টারনেট বাসায় ব্লগিং বলা হয়।

মানুষের উপকারে আসে এমন বিভিন্ন ধরনের তথ্য শেয়ার। দেনন্দিক দিনের নানা দিক নিয়ে আলোচনা করার অন্যতম একটি জনপ্রিয় স্থান হচ্ছে এই ব্লগ। বর্তমানে এই ব্লগিং করে টাকা আয় করা যায় বলে এর চাহিদা দিন দিন বেড়েই চলেছে।

আরও পড়ুন : কিভাবে ইউটিউব চ্যানেল থেকে টাকা আয় করা যায়

যেকোনো শ্রেণি-পেশার মানুষ যে কোন জায়গা থেকেই ব্লগিং শুরু হতে পারে। আপনার যদি একটি কম্পিউটার এবং ইন্টারনেট কানেকশন থাকে তাহলে আপনিও এই ব্লগিং শুরু করতে পারেন।

ব্লগিং করে টাকা আয়

এখন জেনে নেই ব্লগিং করে টাকা আয় করা যায়। আপনি ব্লগিং করবেন কিন্তু ব্লগিং করে কিভাবে আয় করা যায় সেটা যদি না জানেন তাহলে কিন্তু এটা এই সেক্টরের প্রতি আপনার আগ্রহ কমে যাবে।

ব্লগিং করে আপনি তিন ভাবে আপনি আয় করতে পারবেন। নিজের ওয়েবসাইট খুলে সেখানে ভিজিটরদের অ্যাড দেখিয়ে। কোন কোম্পানির হয়ে বা অন্যার ওয়েবসাইটে লেখালেখি করে। ফ্রিল্যান্সিং করে

ভিজিটরদের অ্যাড

 ভিজিটরদের অ্যাড দেখিয়ে : নিজের ওয়েবসাইট খুলে সেখানে আপনি নিজের পছন্দের বিষয়গুলো নিয়ে ব্লগিং শুরু করে দিতে পারেন । এরপর যখন আস্তে আস্তে ভিজিটর আসবে আপনার লেখাগুলো পড়ার জন্য তখন আপনি সেই ভিজিটরদের বিভিন্ন উপায়ে মনিটাইজ করে আয় করতে পারবেন।

মনিটাইজ করার অনেক উপায় আছে তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে গুগল এডসেন্স, স্পনসর্শিপ। ওয়েব সাইটের বিভিন্ন জায়গায় এড বসিয়ে ভিজিটরদের সেই এড দেখে আয় করতে পারবেন।

এছাড়া আপনার যদি কোন প্রোডাক্ট থাকে তাহলে আপনি সেই প্রোডাক্ট ভিজিটরদের কাছে বিক্রি করে আয় করতে পারবেন ।

অন্যার ওয়েবসাইটে লেখালেখি করে

অন্যের কোম্পানি হয়ে লেখালেখি করা : এখন আসি অন্যের কোম্পানি হয়ে লেখালেখি করা । আপনার যদি নিজের কোন ওয়েবসাইট না থাকে তাহলে আপনি অন্যের কোম্পানিতে একজন কনটেন্ট রাইটার হিসেবে জয়েন দিতে পারেন ।

তাদের কোম্পানির হয়ে বিভিন্ন কন্টেন তাদের ওয়েবসাইটে লেখালেখি করতে পারেন। কনটেন্ট এর ওপর নির্ভর করে তারা আপনাকে মাসিক ভিত্তিতে অর্থ প্রদান করবে । এছাড়াও অনেক নিউজ পোর্টাল সাইট আছে যেখানে আপনি নিজের লেখাগুলো পাবলিশ করতে পারেন।

পরবর্তীতে যদি তারা আপনার কনটেন্ট এর কোয়ালিটি ভালো দেখে তাহলে আপনাকে একজন নিয়মিত রাইটার হিসেবে নিয়ে নেবে।

ফ্রিল্যান্সিং করে

 ফ্রিল্যান্সিং করে : এরপর আসি ফ্রিল্যান্সিং নিয়ে । আপনার যদি রাইটিং এর দক্ষতা থাকে আপনি যদি একজন কনটেন্ট রাইটার এক্সপার্ট হয়ে থাকেন তাহলে আপনি ফ্রিল্যান্সিং করে আয় করতে পারবেন। বর্তমানে এই কনটেন্ট রাইটিংয়ের মার্কেটে অনেক বড়। প্রতিটা কনটেন্ট এর উপর ৫০ থেকে ১০০ ডলার পর্যন্ত পাওয়া যায়।

কনটেন্ট রাইটিং এর জন্য অনেক ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস আছে যেখানে আপনি এই দক্ষতাকে সার্ভিস হিসেবে বিক্রি করতে পারবেন । যেমন ফাইবার, ফ্রিল্যান্সার আপনার কনটেন্ট রাইটিং এর জন্য আলাদা কিছু মার্কেটপ্লেস আছে যেমন আই রাইটার, পিপল পার আওয়ার অন্যতম ।

আরও পড়ুন : ফেসবুকে কিভাবে টাকা আয় করা যায় জেনে নিন

এখানে আপনি একজন প্রফেশনাল কনটেন্ট রাইটার হিসেবে জয়েন করতে পারেন ।নিজের জন্য ভালো মানের একটি পোর্টফোলিও তৈরি করে সেখানে আপনার বেস্ট লেখা গুলো আপলোড করে দিয়ে বিভিন্ন জব এপ্লাই করতে পারেন।

কিভাবে ব্লগিং শুরু করবে ?

এখন চলুন জেনে নেই কিভাবে ব্লগিং শুরু করবেন। একজন নতুন হিসেবে কিভাবে ব্লগিং শুরু করতে পারেন।জানা অজানা বিভিন্ন বিষয়গুলো অথবা সাম্প্রতিক কোন বিষয় সমূহ সহজ করে জানানো। কিংবা নিজের মতামত ও চিন্তা কখনো প্রকাশ করার একটি অন্যতম মাধ্যম হলো এই ব্লগিং।

বিভিন্ন স্পনসর্শিপ, অ্যাফিলিয়েট ও অ্যাডভার্টাইজমেন্ট থেকে আয় সোর্স সৃষ্টি হওয়ার কারণে সারা বিশ্বে তথা বাংলাদেশের ব্লগিং এর চাহিদা দিন দিন বেড়েই চলেছে । আপনি যদি ব্লগিং শুরু করতে চান তাহলে অবশ্যই প্রাথমিকভাবে আপনার কিছু জিনিস প্রয়োজন হবে।

আরও পড়ুন : অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং কি-What is affiliate marketing

একটি ডিজিটাল ডিভাইস যেমন এটা কোন ল্যাপটপ বা ডেস্কটপ হতে পারে ।ইন্টারনেট কানেকশন ও প্রফেশনাল ব্লগিং ওয়েবসাইট যেখানে আপনি লেখালেখি করবেন। প্রথমে আপনাকে একটি প্রফেশনাল ব্লগিং ওয়েবসাইট তৈরি করতে হবে। এর জন্য প্রথমেই একটি ডোমেইন কিনতে হবে।

ডোমেন নাম নির্বাচন

যেকোনো একটি ব্লগ সাইট তৈরি করার জন্য শুরুতে প্রথম কাজটি হলো একটি ব্র্যান্ড এবং সহজে উচ্চারণ করা যায় এবং সবার মনে থাকবে এমন একটি ডোমেইন নাম নির্বাচন করতে হবে । এতে করে ব্লগ সাইটটি দ্রুত জনপ্রিয় হয়ে উঠবে এবং ভিজিটর বৃদ্ধি পাবে।

ভালো মানের হোস্টিং

ডোমেইন নাম নির্বাচন করার পর একটি ভালো মানের হোস্টিং আপনাকে ক্রয় করতে হবে। হোস্টিং সার্ভিস করার আগে অবশ্যই তাদের কাস্টমার রিভিউ এবং নাসারি সাপোর্টার কেমন সেটা দেখে তারপরে কিনতে হবে। হোস্টিং যদি ভাল হয় তাহলে আপনার ওয়েবসাইটের পারফরমেন্স অনেক ভাল হবে ।

ব্লগের ডিজাইন

ডোমেইন-হোষ্টিং নেয়ার পর এখন ব্লগের ডিজাইন করতে হবে। প্রথমেই ওয়েবসাইট বিল্ডার হিসেবে আপনি ওয়ার্ডপ্রেস সিএমএস বাছাই করবেন বর্তমানে ওয়ার্ডপ্রেস একটি জনপ্রিয় সিএমএস যার মাধ্যমে আপনি যেকোন ওয়েবসাইট কোডিং ছাড়াই তৈরি করে ফেলতে পারবেন ।

প্রফেশনাল ওয়েবসাইট তৈরি করার পর আপনার নিজের পছন্দের বিষয় নিয়ে কম্পিউটার লিখে সেটা আপনার ওয়েবসাইটে পাবলিশ করতে পারেন। কন্টেন্ট লেখার ক্ষেত্রে অবশ্যই তথ্যবহুল এবং সার্বিক ব্যবস্থা করতে হবে। ব্লগে যাতে ভিজিটররা খুব সহজে সেটা অনুধাবন করতে পারে।

সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ার

ব্লগে কনটেন্ট পাবলিশ করার পর সেগুলো বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ার করতে হবে এজন্য আগে থেকেই সে ব্লগের নামে সকল পপুলার সোশ্যাল মিডিয়া সাইট গুলো আছে সেখানে আপনার পেজ ক্রিয়েট করবেন একাউন্ট ক্রিয়েট করবেন ।

আপনার যে কনটের না আপনি ওয়েবসাইটে পাবলিশ করেছেন সেটা সেই সোশ্যাল একাউন্টের শেয়ার করে দিবেন । এরপর যখন আপনার ব্লগে অধিক সংখ্যক ভিজিটর আসে শুরু হবে তখন আপনি গুগল কোম্পানি থেকে এডসেন্স আবেদন করবেন।

আরও পড়ুন : অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে আয়-Affiliate Marketing

তারপর সেটা আপনার ব্লগ সাইটের সাথে কানেক্ট করে সেখান থেকে একটি নির্দিষ্ট করে রিভিনিউ আপনি প্রতিমাসে করতে আয় পারবেন

মোবাইল দিয়ে ব্লগিং করে টাকা আয় সম্ভব?

এখন এখানে একটি প্রশ্ন আসে যে ভাইয়া আমি আমার কোন ল্যাপটপ বা কম্পিউটার নেই এবং ডোমেইন হোস্টিং কেনার টাকা নেই। তাহলে আমি কি ব্লগিং করতে পারব না ।অবশ্যই পারবেন ব্লগিং করার জন্য কম্পিউটার বা ল্যাপটপ থাকার কোনও আবশিকতা নেই।যে স্মার্টফোন ব্যবহার করেন সেটা দিয়ে ব্লগিং শুরু করতে পারেন।

আমার অভিজ্ঞতা

আমার অনলাইনে যাচাই শুরু হয়েছিল এই স্মার্টফোনটি ব্লগিং করে । নিজের হাতে স্মার্টফোন দিয়ে বিভিন্ন বিষয়ে লেখালেখি করে সেটা বিভিন্ন ব্লগ সাইটে পাবলিশ করতাম। তারা লেখার ওপর ভিত্তি করে আমাকে অর্থ প্রদান করত । 

ব্লগিংকে যদি স্বাধীন পেশা হিসেবে বেছে নিতে চান। তাহলে অবশ্যই নিজের একটা ওয়েবসাইট থাকা অতি উত্তম। এর ফলে আপনার ইনকাম এর পরিমাণ বেড়ে যাবে। আশা করি এখন আপনি ব্লগিং কি? কিভাবে ব্লগিং শুরু করবেন?

আরও পড়ুন : ফাইবার কি | কিভাবে কাজ করে? What is Fiverr

 ব্লগিং করে টাকা আয় কিভাবে করা যায় ইত্যাদি সম্পর্কে ভালো একটি আইডিয়া পেয়েছেন। এ সম্পর্কে যদি আপনার কোন প্রশ্ন বা মতামত থাকে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন ।

আমি গুরুত্বসহকারে আপনার প্রশ্নের উত্তর চেষ্টা করব। আপনার জন্য অগ্রিম শুভকামনা রইল দেখা হবে আগামী পোষ্টে । সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন ধন্যবাদ সবাইকে ।

BloginfoBD

আমি মোঃ সজিব মিয়া । কাজ করছি Bloginfobd, FST Bazar, FST IT , FST Telecom ওয়েবসাইটে ।


Leave a Comment

Seraphinite AcceleratorOptimized by Seraphinite Accelerator
Turns on site high speed to be attractive for people and search engines.