আশা করি সবাই ভাল আছেন। স্বাগতম জানাচ্ছে ব্লগইনফো বিডি এর পক্ষ থেকে। আমাদের আজকের বিষয় ভিটামিন এ জাতীয় খাবার রয়েছে যেসব খাবারে। চলুন জেনে নেয়া যাক।
মানবদেহের জন্য অন্যান্য পুষ্টিকর উপাদান এর পাশাপাশি ভিটামিনে এ রয়েছে যথেষ্ট চাহিদা।
শরীর-স্বাস্থ্য ভালো সুন্দর রাখতে বিভিন্ন রোগ থেকে বেঁচে থাকতে চাইলে প্রতিদিন নির্দিষ্ট পরিমাণে ভিটামিন এ প্রয়োজন।
এ জন্য প্রতিদিনের চাহিদা অনুযায়ী শরীরের জন্য যতটুকু পরিমাণ ভিটামিন এর চাহিদা রয়েছে সে পরিমাণ চাহিদা পূরণ করা উচিত ।
কারণ শরীরে ভিটামিন এ এর অভাবে হতে পারে নানান ধরনের সমস্যা ও জটিলতা। শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ সুস্থ-সবল ও ভালো রাখতে। দৃষ্টিশক্তি স্বাভাবিক রাখতে।
দেহের অস্থির কাঠামো বৃদ্ধি করা সহ বিভিন্ন কাজ করতে ভিটামিন এ এর ভূমিকা অনন্য।
ভিটামিন কী
ভিটামিন বা খাদ্যপ্রাণ হল এক শ্রেণীর জৈব যৌগ যা বিভিন্ন খাদ্যের স্বল্পমাত্রায় থাকে এবং জীবের পুষ্টি সাধনের স্বাভাবিক বৃদ্ধি ও বিকাশে এবং প্রয়োজনে অত্যাবশ্যকীয় ভূমিকা রাখে ।
ভিটামিন বা খাদ্যপ্রাণ এর অভাবে বিভিন্ন রোগের প্রাদুর্ভাব হয়। যেমন ভিটামিন এ এর অভাবে চোখের দৃষ্টিশক্তি ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে থাকে ।
বন্ধুরা চলুন তাহলে ভিটামিন এ রয়েছে এমন সব খাবার সম্পর্কে বিস্তারিত ভাবে জেনে নেয়া যাক ।
দুধ
দুধ পানীয় খাবারের মধ্যে অন্যতম । আমরা জানি কিন্তু অনেকেই জানি না গরুর দুধের পুষ্টি উপাদান গুলো কি কি? গরুর দুধে কী আছে তাহলে জেনে নেয়া যাক।
পানি ৮৭.৭ মিলিগ্রাম, খাদ্যশক্তি ৬৪ কিলোক্যালরি, আমিষ গ্রাম ৩.৩,আশ 0.৭ গ্রাম, ফ্যাট 3.6 গ্রাম, কলেস্ট্রল ১১ মিলিগ্রাম, পটাসিয়াম ১৪৪ মিলিগ্রাম, ভিটামিন এ ১৪০ (সূত্র উইকিপিডিয়া)
গরুর দুধে অনেক উপাদান রয়েছে আর ভিটামিন এর মধ্যে এটাই সবচেয়ে বেশি রয়েছে।
অর্থাৎ যাদের ভিটামিন এ এর অভাবে দেখা দিবে তাদের উচিত প্রতিদিন এক গ্লাস করে গরুর দুধ খাওয়া।
যেহেতু প্রতিটা মানুষের নির্দিষ্ট ভিটামিন-এ প্রয়োজন তাই মাঝে মাঝে বিশুদ্ধ ও স্বাস্থ্যকর এক গ্লাস গরুর দুধ খাওয়ার চেষ্টা করুন।
গাজর
দুই নাম্বারের গাজর।প্রায় সবার কাছে প্রিয় সবজিগুলোর মধ্যে গাজর অন্যতম। একটি খাবার গাজর কে বলা হয় সুপারফুড।
গাজরে ভিটামিন এ রয়েছে যথেষ্ট পরিমাণে যা আমাদের শরীরের জন্য খুবই দরকারি ।
যেখানে একটা মানুষের জন্য দৈনিক ৫০০০iu পরিমাণ ভিটামিন প্রয়োজন । সেখানে একটা গাজরের রয়েছে তার প্রায় দ্বিগুণ।
এখন বুঝতে পারছেন এটি গাজরে কি পরিমান ভিটামিন এ রয়েছে ।গাজরের মধ্যে থাকা বেটা ক্যারোটিন দৃষ্টিশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে ।
চোখের অন্যান্য সমস্যা দৃষ্টিশক্তির ইত্যাদির মতো সমস্যায় বাধা দেয় । আরো বিভিন্ন ধরনের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে ।
পালং শাক
পালং শাকের যথেষ্ট ভিটামিন এ রয়েছে। আমরা অনেকেই পালং শাক খায় না। যা দেহের শক্তি বৃদ্ধি করতে ও বিভিন্ন ধরনের রোগ থেকে মুক্তি পেতে যথেষ্ট সাহায্য করে।
এক কাপ পরিমান পালং শাকে ভিটামিন এর পরিমাণ ২৮১৩। পালংশাকে আছে উচ্চমাত্রার ম্যাগনেসিয়াম রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে ।
এছাড়াও এতে পর্যাপ্ত ভিটামিন এ থাকার কারণে লিম্ফোসাইট বা রক্তের শ্বেতকনিকা দেহকে বিভিন্ন সংক্রামক রোগ থেকে রক্ষা করেন।( সূত্র উইকিপিডিয়া)
মিষ্টি কুমড়া
মিষ্টি কুমড়া এক প্রকার ফল জাতীয় সবচেয়ে এটি মিষ্টি লাউ নামেও পরিচিত। ভিটামিন এ এর অভাবে পূরণ করতে চাইলে মাঝে মাঝে মিষ্টি কুমড়া ভাজি সবজি রান্না করে খেতে পারেন।
মানুষের শরীরের প্রায় ১৭০ ভাগ ভিটামিন এ এর অভাবে অনায়াসে পূরণ হয়ে যায় মাত্র ১০০ গ্রাম মিষ্টি কুমড়া খাওয়ার মাধ্যমে।
এর পাশাপাশি রয়েছে আরও অনেক পুষ্টি উপাদান যা সুস্থ সুন্দর ও বিকাশের জন্য খুবই দরকার।
যেমন শক্তি, শর্করা, চিনি খাদ্যে ফাইবার, স্নেহপদার্থ ,প্রোটিন, বেটা, ক্যারোটিন এটি হতে পারে বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধের একমাত্র মাধ্যম।
মিষ্টি আলু
মিষ্টি আলুর সাথে আমরা সবাই পরিচিত আছি । হাত পায়ের আঙুল ফোলা কমানো প্রসাবের সমস্যা দূর করা সহ বিভিন্ন রোগের চিকিৎসার জন্য এর পাতা ও মূল ব্যবহার করা হয়ে থাকে ।
ভিটামিন এ এর অভাব হলে বা প্রয়োজন হলে মিষ্টি আলু খেতে পারেন একটি মাঝারি সাইজের মিষ্টি আলুতে ভিটামিন এ এর পরিমাণ ২১৪ % ।
শুধু ভিটামিন এই নয় মিষ্টি আলুতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি, ই এবং বিটা ক্যারোটিন যা শরীরে বলিরেখা দূর করতে এবং শরীরের রক্ত পরিশোধনের কাজ করে ।
টমেটো
টমেটো তে আকর্ষণীয়তা ভাল সাদ , উচ্চ পুষ্টিমান এবং বহুবিধ উপায় ব্যবহারযোগ্য তার কারণ সর্বত্রই জনপ্রিয় একটি ফল।
প্রায় সারা বিশ্বে এর চাহিদা রয়েছে রয়েছে। অনেক পুষ্টিগুণ টমেটোতে ক্যালোরি কম থাকলেও এর মিনারেল কনটেন্টের প্রচুর ভিটামিন এ রয়েছে ।
একটি মাঝারি আকারের টমেটো আপনার দৈনন্দিন চাহিদা ২০ শতাংশ পূরণ করতে সক্ষম।
এ সবজিতে প্রচুর পরিমাণে আমিষ, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, পটাসিয়াম ভিটামিন সি রয়েছে ।
যাদের রাতকানা সমস্যা রয়েছে তাদের উচিত প্রতিদিন নিয়মিত দু-তিনটি টমেটো সালাদ বানিয়ে খাওয়া এবং রান্না করে খেতে পারেন।
লাল মরিচ
ভিটামিনের জন্য আরও একটি জনপ্রিয় খাবার হচ্ছে লাল মরিচ। এটিতে পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন এ রয়েছে।
লাল মরিচের ভিটামিন এ তো থাকেই পাশাপাশি এতে থাকে ক্যারোটিনয়েডস অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টস। এটি খাদ্যতালিকায় রাখলে এটি আপনার দৈনন্দিন ভিটামিন এর শতাংশ পূরণ করবে ।
যদিও লাল মরিচ অনেকেই পছন্দ করেনা। ঝাল হওয়ার কারণে কিন্তু এর মধ্যে যে পরিমাণ উপাদান রয়েছে যা সকলের খাওয়া দরকার।
ভিটামিন এ জাতীয় খাবার সর্বশেষ
এই ছিল আমাদের আজকের পোষ্টটি। পোষ্টটি কেমন লাগলো তা অবশ্যই কমেন্টে লিখে জানাবেন আর হ্যাঁ নিয়মিত স্বাস্থ্য সংস্থার বিষয়ক যেকোন টিপস পেতে ব্লগইনফো বিডির সাথে থাকবেন।
ধন্যবাদ
আরও পড়ুন: চোখের এলার্জি দূর করার উপায় জেনে নিন