আমাদের মধ্যে এমন কেউ হয়তো নেই যার জীবনে কখনো মাথাব্যথা হয়নি । আবার এমন অনেকে আছেন যাদের মাথা ব্যথা থেকে জীবন হুমকির পথে। এজন্য আমাদের সবার মাথা ব্যাথা সম্পর্কে প্রাথমিক কিছু ধারণা থাকা প্রয়োজন।
মাথাব্যথা অনেক রকমের হয়ে থাকে আজকে আমি আপনার পোষ্টে অনেক ধরনের মাথাব্যথা সম্পর্কে প্রাথমিক কিছু ধারনা দিব । সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ যেটা সেটা হল মাথা ব্যথার সাথে আপনি কি কি উপসর্গ থাকলে দেরি না করে অবশ্যই ডাক্তারের কাছে চলে যাবেন।
মাথাব্যাথায় সব হিস্ট্রি নিয়ে আমরা দু’ভাবে ভাগ করার চেষ্টা করি। এখনও প্রাইমারি হেডেক ও সেকেন্ডারি হেডেক। এই ক্লাসিফিকেশন কেন জরুরী আর প্রাইমারি হেডেকে কোনাে ইনভেসটিকেশন যেমন সিটি স্ক্যান বা এমআরআই করার কোন প্রয়োজন নেই।
প্রাইমারি হেডেক
সেকেন্ডারি হেডেক ইনভেসটিকেশন করাটা খুবই আর্জেন্ট ।প্রাইমারি হেডেক অনেক রকমের হয়ে থাকে। আমি মূলত তিন রকমের মাথাব্যথা নিয়ে বলবো ।
১. টেনশন হেডেক
২. মাইগ্রেন
৩. ক্লাস্টার হেডেক
টেনশন হেডেক: প্রথমে আসি টেনশন হেডেক নিয়ে। আমরা যে বলছিলাম যে আমাদের সবার কখনও না কখনও মাথা ব্যথা হয়েছে টেনশন হেডেক আপনি ভুগেছেন। কখনো না কখনো কারণ এটি সবচেয়ে কমন টাইপ অফ হেডেক। এই মাথা ব্যথাটা কেমন হয় এ মাথাব্যথার ব্যান্ডের মত সারা মাথাজুড়ে হয়।
সাধারণত কাজের শেষে, দিনের শেষে আমাদের মাথাব্যাথাটা হয়ে থাকে। কিছু রিস্ক ফ্যাক্টর আছে মাথা ব্যাথার যেমন আপনার ঘুম কখন যখন কম হয়, আপনি যখন স্ট্রেস থাকেন, খাবার কোন কারনে সব মিস হয়ে গেছে, ডিহাইড্রেশনের ভুগছে তখনই হেডেক হয়ে থাকে।
মাইগ্রেন হেডেক : এরপর আসি মাইগ্রেন হেডেক। মাইগ্রেন হেডেক হয় মাথার একদিকে হয় । রোগীরা সাধারণত বলে দপ দপ ধরনের ব্যথা হয়। ব্যথা শুরু হওয়ার আগে পেশেন্ট বুঝতে পারেন কারণ অনেক সময় সে আলোর ছটা দেখতে পায় চোখে। মাথাব্যথা সাথে বমি বমি ভাব এমনকি বমিও হতে পারে।
ক্লাস্টার হেডেক : ক্লাস্টার হেডেক এটা খুব পেইনফুল একটা সিচুয়েশন। কোন একটা চোখের চারপাশের অথবা মাথার একপাশে হয় খুব পেইন হয়। যখন পেইন্টে হয় তখন দিনে বেশ কয়েকটি অ্যাটাক হয়ে থাকে । এই যনএনা কয়েকদিন থাকার পর আবারো রোগী একদম ভালো হয়ে যায়।
সেকেন্ডারি হেডেক
আপনার মাথায় যদি টিউমার , রক্তক্ষরণ প্রদাহজনিত কারণে , মাথায় কোন খানে প্রেসার বেড়ে যায় সেক্ষেত্রে হেডেক হয়ে থাকে। সাধারণত দেখা যায় দিনের প্রথম অংশে বেশি হয় পেশেন্ট এর সাথে বমি অথবা চোখে দেখতে সমস্যা বা চোখে ঘোলা দেখতে পারেন।
এছাড়া আরো কিছু হেডেক সম্পর্কে আমি বলতে চাই যেমন কিছু ড্রাগস আছে বিশেষ করে ব্লাড প্রেসারের ঔষধ অথবা হাটের ওষুধ ওষুধ যেটা থেকে আমাদের এই হেডেক হতে পারে ।
কখন ডাক্তারের সাথে দেখা করবেন
প্রথমত আপনার যদি ব্যাথাটা হঠাৎ করে শুরু হয় এবং খুব তীব্র ব্যথা হয় । রোগীরা বলে থাকে আমার এরকম হেডেক জীবনে আগে কখনো হয়নি । দুই আপনার যদি হেড একটা থাকে মনটা পারসিসটেন্ট কোনভাবে কমছে না এবং দিনে দিনে ব্যথাটা বাড়ছে।
প্যাটার্ন অফ হেডেক আগে একরকম ব্যথা ছিল এখন অন্য রকমের ব্যথা হচ্ছে এবং ব্যথার প্যাটার্ন টা চেঞ্জ হয়ে গেছে। চার আপনার বয়স যদি ৬০ বছরের উপরে হয় মুখ তখন নতুন করে ব্যাথাটা শুরু হয় ।
আপনার যদি মাথাব্যথা সাথে অতিরিক্ত ওজন কমে যাচ্ছে কোন কারণ ছাড়া সেটাও একটা ইনপরটেন সাইন হয় । মাথা ব্যথার সাথে যদি আপনার জ্বর অথবা আপনার বমি এ ধরনের জিনিস সমস্যা থেকে থাকে । আপনার যদি প্যারালাইসিস অর্থাৎ কোন একদিন অবশ অথবা অনুভূতি কম বুঝতে পারছেন ।
আরেকটি হলো আপনার বয়স্ক যারা আছেন তাদের যদি মাথাব্যথার সাথে চোয়ালে ব্যথা বিশেষ করে খাবার সময় যদি ব্যথা হয়ে থাকে চলে সেটা অফ ইম্পর্টেন্ট সাইন । এই উপসর্গগুলো দেখে আপনি অবশ্যই দেরি না করে ডাক্তারের শরণাপন্ন হবেন।
সর্বশেষ
আশা করি আমরা আমাদের মাথাব্যথা সম্পর্কে একটা আইডিয়া পেলাম এবং এতে আপনার হেল্প ফুল হবে যে কোন হেডেকে আপনি হতে ভুগছে এবং সে অনুযায়ী চিকিত্সা নিতে পারেন। আজ এ পর্যন্তই ধন্যবাদ ।
আমার সমস্যার সমাধানের জন্য ধন্যবাদ
Vare good information post
Vare good information post