মোনাজাত করার নিয়ম আসসালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহি ওয়াবারাকাতুহু । ব্লগইনফো বিডি এর পক্ষ থেকে আপনাদেরকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা। মাসালা অধ্যায়ের নামাজের সুন্নত নিয়ে একটি পোষ্ট করেছি।
মোনাজাত করার নিয়ম
আজ নামাজ শেষ করার পর যে মোনাজাত করি আমরা বা অন্যান্য সময় মোনাজাত করি। যেকোনো সময় যেকোনো জায়গায় সে মোনাজাতের ১০ টি সুন্নত আলোচনা করব। আমরা সবাই আল্লাহর কাছে কিছু চাইতে মোনাজাত করতে পারি। তো এজন্য আমরা এই ১০ টি সুন্নত জেনে নিলে ভাল হয়। আল্লাহপাকের কাছে চাইবো অবশ্যই তাহলে আমাদের এই মোনাজাত কবুল করবেন ।
কেবলামুখী হয়ে মোনাজাত করা
এক নাম্বারে হল ওযুর সাথেই কেবলামুখী হয়ে মোনাজাত করা। ওযু ছাড়া মোবাইলে করা যায় জায়েজ আছে। কিন্তু ওযুর সাথে কিবলামুখী হয়ে মোনাজাত করা হলো সুন্নাত। আর মোনাজাতে শুরুতেই আল্লাহর প্রশংসা করা এবং নবী করীম সাল্লাল্লাহু ওয়া সাল্লাম এর উপর দুরুদ শরীফ পাঠ করা সুন্নাত।
উভয় হাত সিনা বরাবর সামনে রাখা
মোনাজাত করার নিয়ম দুই নাম্বার উভয় হাত সিনা বরাবর সামনে রাখা ।আমরা মোনাজাতের সময় আমাদের হাত দুটি সিনা বরাবর রেখে মোনাজাত করতে হবে।
হাতের তালু আসমানের দিকে প্রশস্ত করে রাখা
তিন নাম্বার হাতের তালু আসমানের দিকে প্রশস্ত করে রাখা। হাতের তালু আসমানের দিকে প্রশস্ত করে রাখা অর্থাৎ এমন ভাবে রাখা যেন কেউ কিছু হাতের দিলে যেন নিচে না পড়ে যায় । সেভাবে আসমানের দিকে করে রাখা এটি সুন্নতের আমল ।
হাতের আংগুল সমূহ স্বাভাবিকভাবে ফাঁকা রাখা
মোনাজাত করার নিয়ম চার নাম্বার হাতের আংগুল সমূহ স্বাভাবিকভাবে ফাঁকা রাখা। হাতের আঙ্গুল সমূহ স্বাভাবিক ফাঁকা রাখা বেশি বেশি ফাঁকা না রাখা। আবার একদম গুটিসুটি করেও না রাখা স্বাভাবিকভাবে হাত যেভাবে থাকে সেভাবে রাখা ।
দুই হাতের মাঝখানে সামান্য পরিমাণ ফাঁকা রাখা
পাঁচ নাম্বার দুই হাতের মাঝখানে সামান্য পরিমাণ ফাঁক রাখা । দুই হাতের মাঝখানে সামান্য পরিমাণ ফাঁক রাখা। আপননি যদি ফাক না রাখেন তাহলে কোন সমস্যা নাই। এটা সুন্নতের আমল। আমি আগেও বলেছি মানলে সওয়াব আর না নামলে কোন গোনাহ নাই। যেহেতু আল্লাহ কাছে তবে একটা জিনিস তো অবশ্যই চেষ্টা করব সুন্নত আমল গুলো মেনে আল্লাহর কাছে চাওয়ার জন্য।
কাকুতি-মিনতি করে দোয়া করা
ছয় নাম্বার মন দিয়ে কাকুতি-মিনতি করে দোয়া করা। এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ মন দিয়ে কাকুতি-মিনতি অর্থাৎ একজন মানুষের কাছে চাইতে গেলে আমরা অনেক লজ্জিত হয়ে বা ছোট হয়ে আপনার কাছে চায় । কিন্তু মোনাজাতে আমরা আল্লাহ রব্বুল আলামীন যিনি সবকিছুর মালিক দুনিয়ার মালিক সমস্ত কিছুর মালিক তার কাছে চাচ্ছি। সে ক্ষেত্রে আমরা খুবই তার কাছে কাকুতি-মিনতি করে কান্না কান্না ভাব করে চাইলে সে দিবে। সেভাবে চাওয়া যেভাবে চাইলে আল্লাহ পাক দিবে। সেভাবে আল্লাহ কাছে কাকুতি-মিনতি করে চাওয়া।
বারবার চাওয়া
সাত নাম্বার আল্লাহর নিকট দোয়ার বিষয়টি বিশ্বাস ও দৃঢ়তার সাথে বারবার চাওয়া। আমরা অনেকেই একবার দোয়া চেয়ে সেটাকে মনে করি কবুল না হলে যেটা আমাকে দিলো না ।
এমনটি না করা অবশ্যই আল্লাহ পাকের কাছে দোয়া করলে সে বিষয়টির উপর অবশ্যই বিশ্বাস রাখতে হবে এবং দৃঢ়তার সাথে বারবার চাইতে হবে। আল্লাহর কাছে বারবার চাইতে হবে। একবার দিচ্ছে না আমারও চাইতে হবে। আণ্ণাহ অবশ্যই অবশ্যই দিবে এজন্য আপনার চেষ্টা করতে হবে। হাল ছাড়া যাবে না।
নিঃশব্দে দোয়া করা
আট নম্বার এখলাসের সাথে নিঃশব্দে দোয়া করা মুস্তাহাব। এখলাসের সাথে নিঃশব্দ দোয়া করা মুস্তাহাব তবে দোয়া সম্মিলিতভাবে হলে এবং কারো নামাজে বিঘ্ন সৃষ্টি না হলে সশব্দে দোয়া করা জায়েজ আছে।
এখানে একসাথে সম্মিলিতভাবে দোয়া করা নিয়ে অনেকেই বিভিন্ন কথাবার্তা বলেন এজন্য এখানে বলা হয়েছে যে তবে দোয়া করলে আরো নামাজে বিঘ্ন সৃষ্টি না হলে সশব্দে দোয়া করা জায়েজ আছে। কিন্তু এক রাতের সাথে নিঃশব্দে দোয়া করা হলো মুস্তাহাব বা সুন্নত।
আল্লাহ তা’আলার প্রশংসা করা
নয় নম্বর হলো আল্লাহ তা’আলার প্রশংসা ও দরুদ সালাম যেমন সুবহানা রব্বিকা রব্বিল ইজ্জাতি আম্মা ইয়াসিফুন শেষ পর্যন্ত পড়া। আমিন বলে দেওয়া শেষ করা। আল্লাহপাকের যে প্রশংসা করবো সেগুলো পুরোটাই পড়বেন। যে দোয়া টা পুরোটা পড়ব চেষ্টা করব দুরুদ এবং শেষে আমিন বললে দেওয়া শেষ করা।
দুই হাত দিয়ে মুখমণ্ডল মুছে নেওয়া
মোনাজাত করার নিয়ম দশ নাম্বার মোনাজাতের পর দুই হাত দিয়ে মুখমণ্ডল মুছে নেওয়া। আমরা সবাই করি অনুরোধের পর দুই হাত দিয়ে মুখমণ্ডল মুছে দেওয়া ।
মোনাজাত করার নিয়ম সর্বশেষ
এই ছিল ১০ টি সুন্নত । আমরা চেষ্টা করব আর অপরকে আমরা জানানোর চেষ্টা করব ।যেভাবে দোয়া করা হলো সুন্নাত। আমার জন্য অবশ্যই দোয়া করবেন আমি যেন আপনাদের কারো ভালো ভালো জিনিস শিখাতে পারি ।
আর আমিও দোয়া করি আল্লাহ পাক যেন আমাদের সবাইকে সঠিকভাবে এলেম শেখার তৌফিক দান করে ।আসসালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহি ওয়াবারাকাতুহু ।