রমজানে রোজা রাখার মানসিক উপকারিতা সম্পর্কে নতুন একটি পোষ্ট নিয়ে হাজির হয়েছে ।এই পোস্টে আমি মানসিক উপকারিতা সম্পর্কে আলোচনা করব ।
রোজার মানসিক উপকারিতার কথা যদি বলতে হয়। রোজা রাখলে আমাদের ধৈর্য বাড়বে। আমাদের অধ্যবসায় বাড়বে।
রোজা রাখলে আমাদের আত্মসংযম বাড়বে।আত্বসচেতন হবেন। রোজা রাখলে মানসিকভাবে আরও নমনীয় হবেন। এ সময় আত্ম প্রশিক্ষণ ও নিয়ম-শৃঙ্খলা উন্নত হয়।
১. ইচ্ছাশক্তি বাড়ায়
রমজান মাসে রোজা রাখার জন্য মানসিক দৃঢ়তা অর্জনের জন্য ভোগ ত্যাগ করার ইচ্ছা প্রয়োজন হয়। পুরো এক মাস আত্মনিয়ন্ত্রণের অনুভূতি জাগায়। এই বৈশিষ্ট্যগুলি জীবনের বিভিন্ন সময়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
২. সতর্কতা বাড়ায়
যারা রোজা রাখে তাদের সতর্কতা এবং মনোযোগের উচ্চ স্তর রয়েছে বলে মনে হয়। খাদ্য মানবদেহ দ্বারা গ্লুকোজে রূপান্তরিত হয় এবং এর অত্যধিক পরিমাণ অলসতা এবং ক্লান্তি সৃষ্টি করে।
রোজা শরীরকে গ্লুকোজের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে। অলসতা হ্রাস করে এবং শক্তি বাড়ায়।
৩. মেজাজ
রোজা রাখার মাধ্যমে আমরা অর্জন, পুরষ্কার, গর্ব এবং নিয়ন্ত্রণের অনুভূতি অনুভব করি। রোজা আত্মমর্যাদা এবং কৃতিত্বের অনুভূতি বাড়িয়ে তুলতে পারে।
একই সময়ে, উপবাস এবং একটি চ্যালেঞ্জিং কার্যকলাপ শেষ করার পরে অনুভূত আনন্দ মস্তিষ্কে একটি শক্তিশালী উদ্দীপক হিসাবে কাজ করে।
ধৈর্য আর অধ্যবসায়
রোজা রাখার সবচেয়ে বড় মানুষ উপকৃত হচ্ছে আমাদের ধৈর্য আর অধ্যবসায় বাড়বে। আর সাধারণত যে কথা বলে যে আমি এটা পারবোনা । রোজা রাখলে সে বলবে আমি পারবো।
রোজা রাখলে আমাদের শরীর মন এবং আত্মার উন্নত হয়ে উঠবে। রোজা রাখলে একজন সামগ্রিকভাবেই উন্নত হবে। আর রোজা হল এক ট্রেনিং ।
ব্যবহার বদলানো
রোজার মাধ্যমে ব্যবহারও বদলে যেতে পারে। ব্যবহার বদলানো খুবই কঠিন। একটা মানুষ যে ধরনের ব্যবহারে অভ্যস্ত সেটা পাল্টানো খুবই কঠিন।
এজন্য বলা হয় যে সবচেয়ে সেরা জেহাদ হচ্ছে নিজের আত্মার বিরুদ্ধে সংগ্রাম করা। তাহলে ব্যবহার বদলানো এটা সবচেয়ে কঠিন কাজ গুলোর একটা রোজা রাখলে সম্ভব।
আত্মার সাথে জিহাদ
আর প্রয়োজন হলে জিহাদ করা মানে যুদ্ধক্ষেত্রে গেল রায় করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু যদি আপনি আপনার নিজের আত্মার সাথে জিহাদ করতে না পারেন তাহলে শত্রুর সাথে জিহাদ করবেন কিভাবে?
এজন্য রোজা রাখলে আপনি আত্মসংযমী হবেন আর সেজন্যই জিহাদের আগে এই রোজাকে ফরজ করা হয়েছে। রোজাকে ফরজ করা হয়েছে নবুওতের ১৫ বছর পরে দ্বিতীয় হিজরীতে ফরজ ঘোষণা করা হয়।
তাহলে আল্লাহ সুবহানাতায়ালা প্রথমে মুসলিমদের মানসিকভাবে প্রস্তুত করেছেন রোজা পালনের মাধ্যমে । তারপরে কিতাবকে ফরজ করা হয়েছে আগে ছিল মানসিক প্রস্তুতি।
সাধারণ একজন মানুষ দিনে তিনবার খাওয়া-দাওয়া করে থাকে সপ্তাহে একুশবার খাওয়া-দাওয়া এবং বদলে যায় রোজার সময় বদলে দিনে দুইবার হয়।
একটা হচ্ছে সন্ধ্যা শেষ হলে বা রাতের প্রথম। আর অন্যটা ভোর হওয়ার আগে। আমাদের এই মানসিক প্রশিক্ষণে অনেকভাবে উপকার করে।
এখনও বিজ্ঞানীরা বলেন যদি ক্ষুধা নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন প্রায় সবগুলো আকাঙ্ক্ষাকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন।
রমজানে রোজা রাখার মানসিক উপকারিতা সর্বশেষ
রমজানে রোজা রাখার মানসিক উপকারিতা পোষ্টটি সম্পূর্ন পড়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ । পরবতী যেকোন পোষ্ট পড়ার জন্য ব্লগইনফো বিডির সাথে থাকবেন ।
ধন্যবাদ
আরও পড়ুন : হযরত মুহাম্মদ সাঃ এর জীবনী । Biography of Prophet Muhammad