রাত জাগার ক্ষতিকর দিক বেশ কিছু গবেষণায় দেখা গেছে টানা কয়েক দিন রাত জাগলে শরীর ভেতর থেকে ভাঙতে শুরু করে। ফলে এমন রোগ সব ঘাড়ে চেপে বসে আয়ু কমে যায়।
রাত জাগার ক্ষতিকর দিক
শুধু তাই নয় মাত্রাতিরিক্ত খাওয়া-দাওয়া সঙ্গে রাত জাগা এক হলে হঠাৎ করে হার্ট অ্যাটাক হওয়ার ভয় থাকে। তাই শরীরের এসব মারাত্মক ক্ষতি থেকে বাচতে রাত জাগবেন না। রাত জাগার ফলে শরীরের যে ৮টি মারাত্মক ক্ষতি হয়ি ।
১.উচ্চরক্তচাপ
বেশ কিছু গবেষণায় দেখা গেছে টানা দুই তিন দিন ঠিক করে না ঘুমালে শরীরের অন্তরে এমন কিছু পরিবর্তন হতে শুরু করেছে তার প্রভাবে রক্তচাপ বাড়তে শুরু করে। আর এমন পরিস্থিতিতে দ্রুত যদি ব্লাড প্রেসার কে নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসে না যায়। তাহলে শরীরের মারাত্মক ক্ষতি হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা বাড়ে।
২. ওজন বাড়ে
রাত জাগার ক্ষতিকর দিক ২০১৪ সালে হওয়া একটি স্টাডিতে দেখা গেছে টানা কয়েক দিন ৬ঘন্টা থেকে কম সময় ঘুমালে ওজন বৃদ্ধি পাওয়ার আশঙ্কা প্রায় ৩০ শতাংশ বৃদ্ধি পায়। স্বাভাবিকভাবেই খিদে বাড়তে থাকে ।
আর বেশি মাত্রায় খেলে যে স্বাভাবিক ভাবে ওজন বৃদ্ধির পথ প্রশস্ত হয় । আর ওজন যখন মাত্রাছাড়াই তখন স্বাভাবিকভাবেই একে একে শরীরে এসে বাসা বাঁধে ডায়াবেটিস , কোলেস্টেরল, উচ্চ রক্তচাপ এবং হার্টের রোগের মতো বড় রোগ গুলো ।
৩. ব্রেনের পাওয়ার কমে
আমরা যখন ঘুমায় তখন আমাদের মস্তিষ্ক নিজেকে নিয়নন করতে থাকে। সেই সঙ্গে সারাদিন ধরে চোখের সামনে ঘটে যাওয়া নানা ঘটনা এবং তথ্য ব্রেনের স্টার করার কাজটাও এই সময় করে থাকে। তাই তো ঠিকমতো ঘুম না হলে প্রথমেই স্মৃতি শক্তির উপর প্রভাব পড়ে।
সেই সঙ্গে কগনিটিভ ফাংশন কমে যাওয়ার কারণে মনোযোগ এবং বুদ্ধি কমে যাওয়ার মতো ঘটনাগুলো ঘটে থাকে। কিছু গবেষণায় দেখা গেছে আমাদের কোন কিছু শেখার ক্ষমতা সংঙ্গে ঘুমের সরাসরি যোগ রয়েছে। তাই তো ঠিকমতো ঘুম না হলে এই ক্ষমতাও কমে যেতে শুরু করে।
৪. আয়ু কমে
১০ হাজার ব্রিটিশ ছাত্রের উপর করা এক গবেষণায় দেখা গেছে। যারা ৫ ঘণ্টার কম সময় ঘুমায় তাদের হঠাৎ করে মৃত্যু হওয়ার আশঙ্কা সাধারণ মানুষদের তুলনায় কয়েকগুন বেড়ে যায় । ঘুমের সাথে হার্ট ও ব্রেনের স্বাস্থ্যের সরাসরি যোগ রয়েছে ।
৫. মানসিক অবসাদ
২০০৫ সালে হওয়ার বেশ কিছু গবেষণায় দেখা গিয়েছিল দিনের-পর-দিন ঠিকমতো ঘুম না হলে ধীরে ধীরে মস্তিকের অন্দরে ফিল্ড হরমোনের ক্ষরণ কমে যেতে শুরু করে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই ডিপ্রেশন এবং অ্যাংজাইটির মতো সমস্যায় আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বৃদ্ধি পায়। তাই হাজারে চাপের মাঝেও মনকে যদি চান না রাখতে চান তাহলে ভুলেও ঘুমের সঙ্গে আপোষ করবেন না ।
৬. সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা কমে
কেস স্টাডিতে দেখা গেছে মাসের-পর-মাস ঠিকমতো ঘুম না হলে ধীরে ধীরে মস্তিষ্কের বিশেষ কিছু অংশ এতটাই ক্লান্ত হয়ে পড়ে যে ঠিক মত কাজ করে উঠতে পারে না। ফলে স্বাভাবিকভাবেই কম সময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা কমে যায়। সেই সঙ্গে ক্যারিয়ারে দ্রুত উন্নতি করার সম্ভাবনা হ্রাস পায়।
৭. ত্বকের সৌন্দর্য কমে
দিনের-পর-দিন ঠিকমতো ঘুম না হলে হরমোনের ক্ষরণ বেড়ে যেতে শুরু করে। ফলে একদিকে যেমন মন মেজাজ খিটখিটে হয়ে যায় সেই সঙ্গে ত্বকের কোলাজেন এর মাত্রা কমতে শুরু করার কারণে সৌন্দর্য নষ্ট হয় ।
৮.হার্টের ক্ষতি হয়
একাধিক গবেষণার পর এই বিষয়ে আর কোনো সন্দেহ নেই যে ঘুমের সঙ্গে হাটের স্বাস্থ্যের সরাসরি যোগ রয়েছে। সেই কারণেই চিকিৎসকেরা দৈনিক কম করে সাত-আট ঘণ্টা ঘুমানো পরামর্শ দিয়ে থাকেন ।
রাত জাগার ক্ষতিকর দিক সর্বশেষ
আসলে এমনটা না করলে ধীরে ধীরে হার্ট দুর্বল হয়ে যেতে শুরু করে । ফলে স্বাভাবিকভাবেই হঠাৎ করে হার্ট অ্যাটাকের আশংকা বৃদ্ধি পায় । হার্ট ফেলিওর, ইরেগুলার হার্টবিট সহ আরও নানাবিধ হার্টের রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কাও মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে ।
আরও পড়ুন : ভালো ঘুমের জন্য কি করা উচিত । ঘুমের আগে ১০ টি কাজ করুন
সত্যিই আপনাদের পোস্টগুলো অনেক সুন্দর ও তথ্যবহুল। অনেক সুন্দর সুন্দর তথ্য অত্যন্ত সাবলিলভাবে উপস্থাপনা করা হয়েছে। অনেক অজানা তথ্য জানতে পারলাম।
অনেক ভালো লাগলো এবং উপকৃত হলাম। আসলেই এটি একটি সময়োপযোগী পোস্ট।
Ami Protidin A Rat Jagi🥺
Gum Ace Na R Aaje Baje Cinta Mathay ace