শর্করা জাতীয় খাবার কি কি ? শর্করা জাতীয় খাবার হলো সাধারণত যেসব খাবারে কার্বোহাইড্রেট এর পরিমাণ বেশি থাকে এই ধরনের খাবারকে শর্করা জাতীয় খাবার বলা হয়ে থাকে।
আমাদের শরীরকে শক্তিশালী করার জন্য আমাদের শর্করা জাতীয় খাবারের প্রয়োজন হয়। আমাদের প্রতিদিনের খাবারের তালিকা শর্করার পরিমাণ অনেক বেশি থাকে।
তিনটি মৌলিক উপাদান নিয়ে শর্করা জাতীয় খাবার গঠিত হয়ে থাকে। হাইড্রোজেন, কার্বন, অক্সিজেন। এই জাতীয় খাবারের মধ্যে অন্যতম হলো রুটি ,মুড়ি ,চিড়া, আলু, পাউরুটি ইত্যাদি।
আমরা ছাড় ক্যালোরি শক্তি পেয়ে থাকে মাত্র ১ গ্রাম শর্করার করার মাধ্যমে। মানুষের শরীরে ৩০০ থেকে ৪০০ গ্রাম শর্করা জমা থাকে । আর এই শর্করা টি কি আমরা আমাদের শক্তির যোগান পেয়ে থাকি ।
এই জাতীয় খাবার খুব সহজে হজমযোগ্য। আমরা এর মাধ্যমে পর্যাপ্ত শক্তির যোগান পেয়ে থাকি। এটি আমাদের দেহের তাপমাত্রা বজায় রাখে। এই জাতীয় খাবার কোষ্ঠকাঠিন্য রোগ প্রতিরোধ করতে সক্ষম ।
শর্করা জাতীয় খাবার কি কি
কার্বোহাইড্রেট তিনটি প্রধান ম্যাক্রোনিউট্রিয়েন্টের মধ্যে একটি (প্রোটিন এবং চর্বি সহ) এবং এটি শরীরকে শক্তি সরবরাহ করে। এখানে কিছু সাধারণ কার্বোহাইড্রেট সমৃদ্ধ খাবারের একটি তালিকা রয়েছে:
শস্য: গম, চাল, ওটস, বার্লি, কুইনোয়া, কর্ন ইত্যাদি।
রুটি: পুরো গম, সাদা, রাই, পিটা, নান, ব্যাগেল ইত্যাদি।
পাস্তা: স্প্যাগেটি, ম্যাকারনি, ফেটুসিন, লাসাগনা ইত্যাদি।
সিরিয়াল: ওটমিল, মুয়েসলি, কর্নফ্লেক্স ইত্যাদি।
আলু এবং অন্যান্য মূল শাকসবজি: মিষ্টি আলু, ইয়াম, গাজর, বীট ইত্যাদি।
লেগুস: মসুর ডাল, ছোলা, কিডনি বিন, কালো মটরশুটি ইত্যাদি।
ফল: আপেল, কলা, কমলা, বেরি, আঙ্গুর ইত্যাদি।
দুগ্ধজাত দ্রব্য: দুধ, দই, পনির ইত্যাদি।
চিনি এবং মিষ্টি: টেবিল চিনি, মধু, ম্যাপেল সিরাপ, অ্যাগাভ নেক্টার ইত্যাদি।
স্ন্যাক খাবার: ক্র্যাকার, চিপস, পপকর্ন, প্রিটজেল ইত্যাদি।
এটা মনে রাখা গুরুত্বপূর্ণ যে সমস্ত কার্বোহাইড্রেট সমানভাবে তৈরি হয় না। পুরো শস্য, ফল, শাকসবজি এবং লেবুগুলি স্বাস্থ্যকর পছন্দ কারণ এতে ফাইবার, ভিটামিন এবং খনিজ রয়েছে।
চিনিযুক্ত পানীয়, ক্যান্ডি এবং সাদা রুটির মতো উচ্চ প্রক্রিয়াজাত কার্বোহাইড্রেটের পুষ্টির মান কম থাকে এবং অতিরিক্ত পরিমাণে খাওয়া হলে স্বাস্থ্য সমস্যায় অবদান রাখতে পারে।
শর্করার অভাব রয়েছে কিনা
এবার আমরা জানাতে চলেছি কিভাবে বুঝবেন আপনার শর্করার অভাব রয়েছে কিনা । প্রথমত ক্ষুধা অনুভব করা এবং বমি বমিভাব হওয়া।
শরীর থেকে অতিরিক্ত ঘাম বের হওয়া, হাটের কম্পন বেড়ে যাওয়া, ক্লান্তি এবং বিভ্রান্তিকর অনুভূতি। সেইসাথে মাথা ঘোড়া । এমন সম্ভাবনা দেখা দিলে এটি শর্করার অভাব বলে চিহ্নিত করা হয়।
একজন পূর্ণবয়স্ক মানুষের জন্য প্রতিদিন ২৭৬ গ্রাম শর্করা গ্রহণ করা উচিত । এবার আমরা জানতে চলেছি রক্তে শর্করা কমে গেলে প্রতিরোধে কি কি করতে হবে।
এইসব লক্ষণ যদি আপনার দেখা দেই তাহলে দেরি না করে রক্তের শর্করার পরীক্ষা খুব দ্রুত করিয়ে নিন। রক্তে শর্করার পরিমাণ কমে গেলে দ্রুত ডাক্তারের শরণাপন্ন হন ।
শর্করা নিয়ন্ত্রণ করার উপায় গুলি
এবার আমরা জানতে চলেছি রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণ করার উপায় গুলি কি কি । নিয়মিত ব্যয়াম করুন । খাবার গ্রহণ করুন। নিয়মিত রক্তের শর্করা পরীক্ষা করান অনেকেই সকালের খাবার দুপুরে খেয়ে থাকেন এই বদ অভ্যাস দূর করুন ।
আজকের আয়োজনে পোষ্টটি কেমন লাগলো তা অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন । ভালো লাগলে লাইক এবং শেয়ার করতে পারেন আপনার বন্ধুদের সাথে । স্বাস্থ্য সচেতনতা এবং সকল তথ্য পেতে আমাদের ওয়েবসাইটের সাথে থাকুন ।
ধন্যবাদ
আরও পড়ুন : অলিভ অয়েল তেলের উপকারিতা কি । জাইতুনের তেল