...

আপনার সন্তানের হাতে স্মার্টফোন না দেওয়ার ৬ টি কারণ

65 views

ব্লগইনফো বিডিতে আপনাকে স্বাগতম । আজকের পোস্টের বিষয়বস্তু হলো যে সাতটি কারণে আপনার হাতের থাকায় স্মার্টফোনটি আপনার সন্তানদের দেওয়া উচিত নয়। তবে চলুন শুরু করা যাক।

সন্তানের হাতে স্মার্টফোন না দেওয়ার ৬ টি কারণ

বর্তমানে বাচ্চাদের উপর স্মার্টফোন বা হ্যান্ডসেট ডিভাইসের অনেক প্রভাব পড়ছে। ফলে এই সম্পর্কে মানুষের উদ্বেগ ক্রমে বৃদ্ধি পাচ্ছে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন স্মার্ট ফোন শিশুদের মস্তিষ্ক, স্বাস্থ্য এবং সামাজিক দক্ষতার ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে।

স্মার্ট ফোন বা কম্পিউটার বর্তমানে এ শৈশবের যে স্মৃতিগুলো মানুষের মধ্যে আটকে থাকে তা সম্পূর্ণরূপে বদলে দিয়েছে।

আজ এবং গত ২০ বছরের আগের মত বাচ্চাদের রাস্তায় বা খেলার মাঠে দেখতে পাওয়া যেত। কিন্তু এখন তারা ইলেকট্রিক ডিভাইসে ভিডিও গেম খেলার কারণে ঘরে বসে থাকছে।

ফলে বাড়িতে আর আগের মত কোন কোলাহল বা কারো সাথে কোন মিল নেই যে যার মত তাদের কাজ করছে।

পিতা-মাতা তাদের বাচ্চাদের কাছে স্মার্ট ফোন দেওয়ার আগে একটু সতর্ক হওয়া উচিত কেননা এটি তার ওপর খারাপ প্রভাব ফেলবে।

নিচে স্মার্টফোনের খারাপ প্রভাব গুলো সম্পর্কে কিছু আলোচনা করা হলো যা জানার মাধ্যমে আপনি আপনার স্মার্টফোন বাচ্চার হাতে দেওয়ার আগে আরেকবার ভাববেন।

১.চোখের সমস্যা: স্মার্টফোনে অনেকক্ষণ তাকিয়ে থাকার ফলে অল্প বয়সে দৃষ্টিশক্তির সমস্যা হতে পারে। এটি চোখের স্ক্রীন বৃদ্ধির কারণ ঘটে।

যখন চোখে স্মার্টফোন থেকে আসে তখন তার চোখ সামঞ্জস্য করতে চেষ্টা করে। এর ফলে চোখে দূরের বস্তু দেখা প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়ে বাদশা দেখতে পাওয়া যায়।

এছাড়াও বাচ্চারা স্মার্টফোনের পর্দা এত বেশি ফোকাস করে রাখে ফলে চোখের পলক ভুলে যায়। এটি চোখের  সৃষ্টি করে এবং চোখের লাল ভাব, অশ্রু এবং বালির মত  অনুভূতি সৃষ্টি করতে পারে।

২. বিকিরণ: স্মার্টফোন বা অন্যান্য গেজেট থেকে এক প্রকার বিকিরণ নির্গত করে যা মস্তিষ্কের কার্যকলাপ এবং শরীরের কোষগুলোকে প্রভাবিত করে।

এর ফলে টিউমার বা ক্যান্সার হতে পারে। যদি রেডিয়েশন প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য এতটা ক্ষতিকর হয় তাহলে ছোট শিশুদের জন্য এটা কতটা ক্ষতিকর তা আপনি নিজেই একবার ভাবুন।

৩. ঘুমের সমস্যা: একটি গবেষণায় দেখা গেছে, শিশুদের মোবাইল ফোন কম্পিউটার ব্যবহার করাই ঘুমের মধ্যে নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। এই মোবাইল ফোন বা কম্পিউটারের প্রতি আসক্ত হয় বাচ্চারা রাতেও জেগে থাকে যা শরীরের জন্য মারাত্মক খারাপ।

৪. কোন কিছু শেখার সমস্যা: ইলেকট্রিক ডিভাইস শিশুদের মনোযোগের ঘাটতি সৃষ্টি করতে পারে। যা শেখার ক্ষেত্রে খুবই গুরুত্বপূর্ণ এর কারণ হলো মস্তিষ্কে ব্যস্ত গড়ে তোলা এবং অন্যান্য কার্যকলাপের দিকে অনীহা করে তোলা।

৫. সামাজিক দক্ষতা: বাচ্চারা স্মার্টফোন বা অন্যান্য গেজেটের সাথে অনেক সংযুক্ত হওয়ার কারণে বাইরের জগতের প্রতি অনীহা অনাগ্রহ প্রকাশ করে। এমনকি তাদের পরিবার বা বন্ধুদের সাথে খেলার সময়।

এটি তাদের অন্যান্য লোকদের সাথে যোগাযোগ এবং যোগাযোগ করার যে ক্ষমতা তা দিনে দিনে কমতে থাকে। ফলে তারা সমাজ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে।

ফলে পিতা-মাতার কেজি তার কাছ থেকে নিয়ে নেয় তা সে দিতে অস্বীকার করে এবং সে উত্তেজিত হয়ে যায়।

৬. স্থূলতা: বাচ্চাদের ক্যালোরি বৃদ্ধির জন্য ব্যায়ামের প্রয়োজন। তারা বাড়িতে বসে থাকার ফলে তাদের এই ক্যালোরি বৃদ্ধি হয় না।

এছাড়াও বাচ্চাদের বাড়িতে বসে থাকার ফলে খেলতে যাওয়া, সাইকেল চালানো, বা কোন জায়গায় যাওয়ার প্রবণতা দিন দিন কমতে থাকে।

অন্যান্য গেজেট গুলির সাথে স্মার্টফোনের শিশুদের অনেক ভালো প্রভাব পড়ে। এটির মাধ্যমে তাঁরা বিভিন্ন জিনিস শিখতে পারে।

কিন্তু এই সংকটময় পর্যায়ে যখন তাদের শারীরিক, মানসিক এবং মনস্তাত্ত্বিক বিকশিত হচ্ছে তখন তাদের পাশে থাকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

তাই তখন আপনার মনোযোগ তাদের প্রতি বেশি দেওয়া উচিত।

সন্তানের হাতে স্মার্টফোন না দেওয়ার ৬ টি কারণ সর্বশেষ

পোস্টটি ভাল লাগলে অবশ্যই বন্ধুদের সাথে শেয়ার করবেন এবং নিচে কমেন্ট বক্সে কমেন্ট করবেন । লিখব বিডির পাশে থাকবেন।

ধন্যবাদ

কীভাবে দারাজ অনলাইন শপিং করতে হয়

কম্পিউটার হ্যাং হলে করণীয়

BloginfoBD

আমি মোঃ সজিব মিয়া । কাজ করছি Bloginfobd, FST Bazar, FST IT , FST Telecom ওয়েবসাইটে ।


Leave a Comment

Seraphinite AcceleratorOptimized by Seraphinite Accelerator
Turns on site high speed to be attractive for people and search engines.