...

জেনে নিন সালাতের ওয়াজিব কয়টি ও কী কী

105 views

সালাতের ওয়াজিব কয়টি ও কী কী আসসালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহি ওয়াবারাকাতুহু ব্লগইনফো বিডির পক্ষ থেকে আপনাদেরকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা। আজ আমি মাসালা অধ্যায়ের সালাতের ওয়াজিব ১৪টি নিয়ে আলোচনা করবো।

এর আগে আমি সালাতের ফরজ নিয়ে আলোচনা করেছি বাহিরে ৭ ফরজ এবং ভেতরের ৬ ফরজ। তার আগে ওযু নিয়ে আলোচনা করেছি। সামনে একে একে নামাজে প্রতিটি মাসালা সালাতের ভঙ্গের কারণ ।

আজকের বিষয় : hide
1 সালাতের ওয়াজিব কয়টি ও কী কী

সালাতের ওয়াজিব কয়টি ও কী কী

নামাজের সুন্নত এবং প্রতিটি মাসালা যেগুলো জানা আমাদের জন্য ফরয। সে মাসালা নিয়ে আলোচনা করব ইনশাআল্লাহ। তাহলে আজকের বিষয় হল নামাজের ওয়াজিব ১৪ টি।

প্রত্যেক নামাজে  সূরা  ফাতিহা পড়া।

সালাতের ওয়াজিব কয়টি ও কী কী এক নাম্বারে হলো সূরা ফাতিহা পুরোটা পড়া । সুরা ফাতেয়া পুরোটাই পড়া ওয়াজিব। প্রত্যেক নামাজে সুরা ফাতিহা পড়া ওয়াজিব ।

সূরা মিলানো

দুই নাম্বারে সূরা ফাতিহার পরে আমরা যে সূরা সুরা মিলানো হলো ওয়াজিব। কমপক্ষে তিন আয়াত পরিমাণ তেলাওয়াত করা। এখানে তিন আয়াত বলতে অনেক বড় বড় আছে এখানে অনেক ওলামা একরাম বলে যে ইন্না কয় না অর্থাৎ সূরা কাউসার এর পরিমাণ শতকরা সূরা মিলানো অর্থাৎ কমপক্ষে তিন আয়াত সূরা কাউসার এর পরিমাণ তেলাওয়াত করা।

ফরজ নামাজের প্রথম দুই রাকাতকে কিরাতের জন্য নির্ধারিত করা।

তিন নাম্বার হল এখানে বিষয়টি হলো ফরজ সালাতের প্রথম দুই রাকাতে সুরা ফাতেহার পর এসে মিলিত হবে এবং দ্বিতীয় দুই রাকাত বা পরের তৃতীয় রাকাত বা চতুর্থ রাকাতে সূরা মিলানোর প্রয়োজন নাই। ফরজ সালাতের প্রথম দুই রাকাতে গিয়ে কেরাতের জন্য নির্ধারিত করা।

রুকু এবং সিজদায় দেরি করা

চার নাম্বার সালাতের ওয়াজিব কয়টি ও কী কী এই জিনিসটা আমাদের অনেকেরই হয় না। কারণ আমার রুকু-সিজদা খুবই দ্রুত করি। খুবই দ্রুত করে যে একটুখানি বলে উঠে যায়। তিনবার বলি কিন্তু আমাকে দেরি করা হলো ওয়াজিব ।

রুকু থেকে সোজা হয়ে দাঁড়ানো

পাঁচ নাম্বার আমরা অনেকে রুকু থেকে সোজা হয়ে দাঁড়িয়ে সেজদায় চলে যায়। কিন্তু এখানে ওয়াজিব হলো সোজা হয়ে দাঁড়াতে হবে যেন আমার পিঠ মাথা সবকিছু সমাধান হয়ে যায়। স্বাভাবিকভাবে আমরা সুন্দরভাবে দাঁড়াবো এবং তারপরে সেজদা যাব। রুকু থেকে সোজা হয়ে দাঁড়ানো হলো ওয়াজিব ।

দুই সিজদার মাঝখানে সোজা হয়ে বসা

ছয় নাম্বারে হলো দুই সিজদার মাঝখানে যে আমরা বসি এখানে দোাআ আছে। দোআ না পড়লেও কিন্তু সোজা হয় আপনাকে বসতে হবে । সোজা হয় না বসলে ওয়াজিব তরক হয়ে যাবে সালাত হবে না। এজন্য দুই সিজদার মাঝখানে আমরা সোজা হয়ে বসবো ।

শেষ বৈঠকে তাশাহুদ পড়া ।

 সালাতের ওয়াজিব কয়টি ও কী কী সাত নাম্বারে প্রতি বৈঠকে আত্তাহিয়াতু বা তাশাহুদ পড়া ওয়াজিব । তাই প্রতি সালাতে শেষ বৈঠকে তাশাহুদ পড়তে হবে ।

বিতরের নামাজে দোয়ায়ে কুনুত পড়া

নয় নাম্বার হল আমরা বিতর সালাত তৃতীয় রাকাতে তাকবীর বলে দোয়ায়ে কুনুত পরি। তাহলে অবশ্যই মুখস্ত করে নিবেন। কারণ দোয়ায়ে কুনুত না পড়লে সালাত হবে না। এটা অবশ্যই পড়া মুখস্ত করবেন কারণ দোয়ায়ে কুনুত পড়া ওয়াজিব।

ইমামের জন্য কিরাত আস্তে পড়া

দশ নাম্বার হলো  ইমামের জন্য কিরাত জায়গায় আস্তে যেমন জোহরের সালাত এবং আসরের নামাজের কিরাত আস্তে পড়তে হবে । জোরের জায়গায় জোরে পড়া যেমন ফজরের নামাজ, মাগরিবের নামাজ, এশার নামাজে কিরাত জোরে পড়তে হয়। 

প্রত্যেক রাকাতের ফরজ এবং ওয়াজিব গুলির তরতীব ঠিক রাখা।

এগার নাম্বার হলো অর্থাৎ সালাতের ধারাবাহিকতা ঠিক রাখা। নামাজের প্রত্যেকটি ফরজ একটি ধারাবাহিকতা আছে । যেমন রুকুর আগে সেজদা করা যাবে না, আগের রুকু তারপরে সেজদা । এজন্য প্রত্যেক রাকাতের ফরজ এবং ওয়াজিব এর ধারাবাহিকতা ঠিক রাখা ।

দুই ঈদের সালাত অতিরিক্ত ৬ টি তাকবীর বলা

বার নাম্বার হলো দুই ঈদের নামাজে অতিরিক্ত ৬ টি তাকবীর বলা। প্রথমে আমরা যে ঈদের সালাত পড়ি অনেকে জানি যে ইমাম সাহেব অতিরিক্ত তাকবীর বলে। প্রথম তাকবীরে পরে ছানা পড়তে হয় তবে তিনি তাকবীর পড়তে হয় এবং দ্বিতীয় রাকাতে রুকু যাবার আগে আরো তিন তাকবীর বলতে হয় এই ছয় তাকবীর বলা হলো ওয়াজিব ।.

মুক্তাদীগণ কে ইমামের অনুসরণ করা

তের নাম্বার হল মুক্তাদীগণ ইমামের অনুসরণ করা । ইমাম রুকুতে গেছে আমি অনেক দেরি করে গেলাম । ইমামের আগে রুকুতে গেলাম এসব ক্ষেত্রে আবার সালাত হবে না। যারা মুক্তাদী অর্থাৎ মুসল্লিগণ ইমামের অনুসরণ করবে ।

আসসালামু আলাইকুম ওরাহমাতুল্লাহ বলে নামাজ শেষ করা।

চেীদ্দ  নাম্বার আসসালামু আলাইকুম ওরাহমাতুল্লাহ বলে নামাজ শেষ করতে হবে । অর্থাৎ সালামের মাধ্যমে সালাত শেষ করা। এই হলো চৌদ্দটি ওয়াজিব । সর্বশেষে সালাতের ওয়াজিব কয়টি ও কী কী

সাহু সেজদা কী

নামাজের ওয়াজিব ১৪ টি ভিতরে যদি কোন একটি ওয়াজিব ছুটে যায় ভুলক্রমে বা অনিচ্ছাকৃতভাবে যদি ছুটে যায়। তাহলে সাহু সিজদা করতে হয়। সাহু সেজদা করতে হবে? কিভাবে করতে হয় সাহু সেজদা নামাজের শেষে শেষ বৈঠকে সালাম ফেরানোর আগে সালাম ফিরানোর আগে।

কখন সালাত কবুল হবে না

ওয়াজিব ভুলক্রমে ছুটে যায় তবুও একটি সাহু সেজদা যোগ করলে নামায হয়ে যাবে। ইচ্ছাকৃতভাবে যদি সালাত ওয়াজিব ছুটে যায় তাহলে নামায হবে না । নামাজ ছেড়ে দিতে হবে এজন্য আপনার খেয়াল রাখবেন এবং এই মাসআলাগুলো ১৪ টি ওয়াজিব আপনার অবশ্যই জেনে রাখবেন ।

আপনার অবশ্যই জেনে রাখবেন শেষে একটি কথা বলে রাখি সেটা হলো যদি এখানে আপনার অনেক দ্বিধাদ্বন্দ্ব বা মতভেদ থাকে অবশ্যই আলেম-ওলামা শরণাপন্ন হবেন। সেখান থেকে জেনে নেবেন।

সালাতের ওয়াজিব কয়টি ও কী কী সর্বশেষ

আমি এখানে শুধুমাত্র যে মুখস্ত করার বিষয়টি বা জানার বিষয়টি সেটা আমি বলছি। এর বাহিরে অনেক মাসালা থাকতে পারে বা এর মতবাদ থাকতে পারে । আরো বেশি জটিল মনে হয় আপনার কাছে তাহলে অবশ্যই আলেম-ওলামার শরণাপন্ন হবেন ।

আজকে এ পর্যন্তই পরবর্তী পোষ্টটি পড়ার আমন্ত্রণ রইল। আমার জন্য দোয়া করবেন সবাই। আমিও দোয়া করি আপনারা যেন সবাই ভাল থাকেন । সুস্থ থাকেন । আসসালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহি ওয়াবারাকাতুহু ।

BloginfoBD

আমি মোঃ সজিব মিয়া । কাজ করছি Bloginfobd, FST Bazar, FST IT , FST Telecom ওয়েবসাইটে ।


Leave a Comment

Seraphinite AcceleratorOptimized by Seraphinite Accelerator
Turns on site high speed to be attractive for people and search engines.