আজকের টপিক হল বাস্তব সংখ্যার ই অন্তর্গত একটি সংখ্যা স্বাভাবিক সংখ্যা। আজ আমরা স্বাভাবিক সংখ্যা সম্পর্কে সম্পূর্ণ আলোচনা করবো চলো শুরু করার যাক।
স্বাভাবিক সংখ্যার আবিষ্কার ও সংজ্ঞা
আমাদের প্রথমেই জানতে হবে স্বাভাবিক সংখ্যার স্বাভাবিক সংখ্যার আবিষ্কার ও সংজ্ঞা। প্রাচীনকালে যখন মানুষের জীবিকা ছিল পশুপালন। তখন গৃহপালিত পশু গুলি গণনার ভাষার অভাবে মানুষ পাথরের টুকরো কার্ড ইত্যাদি তারা হিসাব রাখতে।
খামার থেকে যখন একটি করে পশু বাইরে যেত তখন ওই পশু পরিবর্তন করে পাথরের টুকরো রাখত । একের পর এক যখন পশু বাইরে যাচ্ছে তার পরিবর্তে একটি করে পাথরের টুকরো রাখছে ।
আরও পড়ুন: জেনে নিন পড়া মনে রাখার গোপন কৌশল ব্লগইনফো
আবার সেই পশু যখন ফিরে আসছে জমা হওয়া একটি পাথরের টুকরো পাশে সরিয়ে রাখছে। এইভাবে পশু সংখ্যা নির্দিষ্ট আছে কিনা তার হিসাব রাখত। কাল ক্রমে বিভিন্ন সাংকেতিক চিহ্নের আবিষ্কার ঘটে এই আবিষ্কারের ফলে গণনার ভাষার অভাব দূর হয়।
প্রাচীনকালের এই ধারণা থেকেই স্বাভাবিক সংখ্যার আবিষ্কারক ঘটে। বর্তমানে ১২৩৪৫৬৭৮৯০ এই দশটি প্রতীকি সংখ্যা দ্বারা সকল সংখ্যাকে প্রকাশ করা হয়। গণনার জন্য আমরা ১২৩৪৫৬….. এইভাবে অসীম অসীম পর্যন্ত বিস্তৃত সংখ্যাগুলিকে ব্যবহার করে থাকি।
গণনার উদ্দেশ্যে যে সংখ্যাগুলো ব্যবহৃত হয় সেই সংখ্যাগুলি কে বলা হয় স্বাভাবিক সংখ্যা।
চিহ্নিতকরন
এবার আমাদের জানতে হবে স্বাভাবিক সংখ্যাকে কোন চিহ্ন বা কোন ওয়ার্ড দ্বারা চিহ্নিত করা হয় । স্বাভাবিক সংখ্যাগুলোকে যদি মানের ক্রমানুসারে সাজেই তাহলে আমরা যে সংখ্যা গোষ্ঠী পায়।
সেটি হল ১২৩৪৫…. এইভাবে অসীম পর্যন্ত বিস্তৃত একটি সংখ্যা গোষ্ঠী। স্বভাবিক সংখ্যার এই সেট বা গোষ্ঠীকে থেকে আমরা “N” চিহ্নিত করে । এবার আমরা স্বাধীন সংখ্যা কে সংখ্যারেখায় স্থাপন করলেন যে চিত্রটি পাওয়া যায় সেটি দেখব ।
আরও পড়ুন: পড়াশোনায় মনোযোগ আনার ইসলামিক উপায়গুলো
স্বাভাবিক সংখ্যার প্রকারভেদ
এবার আমরা স্বাভাবিক সংখ্যার প্রকারভেদ জানব। একটি হলো মোলিক সংখ্যা আরেকটি হলো যৌগিক সংখ্যা । যে স্বাভাবিক সংখ্যার এক ছাড়া অন্য কোন উৎপাদক নেই সেই সংখ্যাকে মৌলিক সংখ্যা বলে যেমন ৩, ১৭, ১১ ইত্যাদি ।
যৌগিক সংখ্যা কাকে বলে যে স্বাভাবিক সংখ্যার কমপক্ষে একটি মৌলিক উৎপাদক আছে সেইসকল সংখ্যাকে যৌগিক সংখ্যা বলে যেমন ১৫,৮,১৪ ইত্যাদি ।
ধন্যবাদ