...

সেহরি এবং ইফতারের রোজার খাবার তালিকা

171 views

রোজার খাবার তালিকা রমজান মাসে টানা ১৪-১৫ ঘণ্টা না খেয়ে থাকতে হয়। এসময় দিনের বেলা আমাদের শরীরের যকৃত পেশিতে জমানো শর্করা ও ফ্যাট থেকে শক্তি লাভ করেন।

শরীরে পানি জমা থাকে না। পানি ঘাম ও ঘন প্রস্রাবের সঙ্গে বের হয়ে যায়। পানিশূন্যতা হয় বলে মাথা ব্যথা, মাথা ঘোরা, দুর্বলতা দেখা দেয়। কাজে মনোযোগ দেয়া যায় না ।

এছাড়া এসিডিটি গ্লুকোজ কমে যাওয়ার মতো সমস্যা দেখা দেয় রোজার মাসে। ইফতারে আমরা অনেক বেশি খেয়ে ফেলি । ইফতারে ভাজাপোড়া খাবার বেশি থাকে।

এজন্য পেট ফাপা, গলা জলা বমি বমি ভাব হয়, পাকস্থলী ফাকা থাকার পর শুরুতেই অতিরিক্ত মিষ্টি জাতীয় খাবার তৈলাক্ত ও লবণাক্ত খাবার খেলে এসিডিটি তো বাড়বেই।

সঙ্গে পানির তৃষ্ণা এবং খিদে বাড়িয়ে দেয় । ইফতারের পর থেকে সেহরি পর্যন্ত তাই উচ্চ আশ যুক্ত খাবার ফল-সবজি বাদাম এবং পানি কে প্রাধান্য দিতে হবে।

ব্লগইনফো বিডির এর আজকের পোষ্টে আমরা আলোচনা করব রোজার খাবার তালিকা । সে সম্পর্কে বিস্তারিত ।

প্রথমে আলোচনা করা যাক ইফতারে কি কি খাবে? ইফতারে এমন খাবার রাখবেন যাতে প্রাকৃতিক চিনির যোগান থাকে এবং দ্রুত শক্তি যোগাতে সাহায্য করে।

পানি

পানি , ফলের শরবত , দুধ পানি এর অন্তর্ভুক্ত। দুধ ও ফল দিয়ে বানানো ড্রিংকস যেমন ধরনের প্রাকৃতিক ভাবে ও ক্যালরির ভালো উৎস।

অতিরিক্ত চিনি দেওয়া শরবত বা কৃত্রিম ফলের জুস খাওয়া যাবে না। ঘরে তৈরি ফ্রেশ ফলের জুস নিন।

খেজুর

খেজুর শর্করা ও পটাশিয়াম ম্যাঙ্গানিজ এবং আশের অনেক ভালো উৎস। ইফতারে কয়েকটি করে খেজুর রাখুন।

ফল

ইফতারে ফল ডিহাইড্রেশন দুর করে। বিশেষ করে পানি জাতীয় ফল যেমন তরমুজ, আনারস, বাঙ্গি, কমলা, মাল্টা ,নাশপাতি খান ।

স্যুপ

চিকেন দিয়ে তৈরি স্যুপ রাখা ভালো। মাঝেমধ্যে ছোলা পিয়াজু ও বেগুন এর বদলে আমরা স্যুপ রাখতে পারি।

দই

দই ক্যালসিয়াম আয়রন ও ভিটামিন ডি থাকে সহজে খাবার হজম করে। ইফতারের দই ,চিড়া, মুড়ি মাখানো খেতে পারেন। সেহরি তে খাওয়ার পরও দই খেতে পারেন।

কাচা ছোলা

রান্না ছাড়া কাচা ছোলা পুষ্টিগুণ বেশি। রান্না করলে যে তেল-মসলা খাওয়া হতো সেটা থেকে বাচা যায়।ছোলা ভিটামিন খনিজ লবণ ও উচ্চ প্রোটিন রয়েছে । শরীরে শক্তির জোগান দিতে এর কোন বিকল্প নেই।

এবার আলোচনা করা যাক রাতের খাবারে যা যা খাবেন সে সম্পর্কে বিস্তারিত । ইফতারের পর রাতের হালকা খাবার খাওয়াই উত্তম।

রাতে লাল আটার রুটি, পাস্তা ভাত, অল্প পরিমাণে খাবেন। প্রোটিনের উৎস হিসেবে এর আশ চাহিদা পূরণের জন্য সালাদ থাকতে পারে ।

এবার আলোচনা করা যাক সেহরিতে যা যা খাবেন। সে সম্পর্কে বিস্তারিত শষ্য যুক্ত খাবার রাখতে হবে। যেসব খাবার ধীরে ধীরে হজম হবে ও সারাদিন এনার্জি দেবে । যেমন কোন প্রাণী দুধ বা দই দিয়ে খাওয়া যায় সঙ্গে ফল বাদাম।

শবজি ও সালাদ

সাহরিতে খাবারের সঙ্গে ভিটামিন, মিনারেল, পানির উৎস, হিসেবে সারা রাত অব্দি থাকবে । মনে রাখবেন সাহারি আধাঘন্টা আগে শেষ করবেন।সাহরি শেষে তাড়াহুড়া করে বেশি পানি পান করবেন না ।

ভাজাপোড়া তৈলাক্ত ও মিষ্টি জাতীয় খাবার বর্জন করুন। বিশেষ করে মিষ্টি খাবেন না। এতে তৃপ্তি হরমোন কমে যায় ।

ফলে ক্ষুদা বেড়ে যায়। চা-কফি পানিশূন্যতা বাড়ায় । পরিশেষে খেজুর ও সাধারণ পানি দিয়ে রোজা ভাঙ্গা উচিত। আমাদের পোষইট আপনাদের কেমন লেগেছে কমেন্ট করে জানাতে ভুলবেন না ।

রোজার খাবার তালিকা

এছাড়া সকল ধরনের স্বাস্থ্য টিপস এবং পরামর্শ পেতে এর সাথেই থাকোন । পাশাপাশি আপনি কোন বিষয়ের উপর পেষ্ট চাচ্ছেন তা আমাদেরকে মেইল অথবা কমেন্ট করে জানাতে পারেন।

এছাড়া আপনাদের সুবিধার্থে আমাদের ওয়েবসাইট পোষ্ট গুলো বিষয়ভিত্তিক ভাবে আকারে সাজানো রয়েছে ভাল থাকবেন সুস্থ থাকবেন ব্লগইনফো বিডির এর সাথেই থাকুন ।

আরও পড়ুন : পবিত্র রমজান মাসের জন্য প্রস্তুতির সেরা টিপস

BloginfoBD

আমি মোঃ সজিব মিয়া । কাজ করছি Bloginfobd, FST Bazar, FST IT , FST Telecom ওয়েবসাইটে ।


Leave a Comment

Seraphinite AcceleratorOptimized by Seraphinite Accelerator
Turns on site high speed to be attractive for people and search engines.