অনেকের মনে প্রশ্ন রাষ্ট্রবিজ্ঞান কাকে বলে? রাষ্ট্রবিজ্ঞানের জনক কে? ।
আজকের পোস্টের আলোচনার বিষয় হল কিভাবে আপনি রাষ্ট্রবিজ্ঞান কি এবং এর ইতিহাস সম্পর্কে জানতে পারবেন।
রাষ্ট্রবিজ্ঞান মূলত একক ব্যক্তির জীবন ,পরিবার, সামাজিক, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ইত্যাদি সম্পর্কে বিভিন্ন রকম তথ্য নিয়ে গঠিত হয়ে থাকে।
রাষ্ট্র কাকে বলে
রাষ্ট্রবিজ্ঞান সম্পর্কে জানার আগে অবশ্যই আপনাকে রাষ্ট্র সম্পর্কে জানতে হবে। অনেকে হয়তো জানেন না রাষ্ট্র কি রাষ্ট্র কাকে বলে?
রাষ্ট্র কাকে বলে তাই রাষ্ট্র সম্পর্কে নিচে সংক্ষিপ্তভাবে আলোচনা করা হলো।
রাষ্ট্র এমন একটি সংগঠনকে বুঝায় যা কোনো একটি ভৌগলিক এলাকা বা জনগণের নিয়ন্ত্রণ করার সার্বভৌম ক্ষমতা রাখে।
রাষ্ট্র সাধারণত অনেকগুলো প্রতিষ্ঠান সমন্বয়ে গড়ে ওঠে যেটি সংশ্লিষ্ট ভৌগোলিক সীমা ভিতরে বসবাসকারী সমাজের সদস্যদের জন্য বিভিন্ন নিয়ম কানুন তৈরি করে থাকে।
আধুনিক রাষ্ট্রবিজ্ঞানের জনক কে
রাষ্ট্রবিজ্ঞান হল এমন একটি বিজ্ঞান যার মাধ্যমে রাষ্ট্র সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে বিভিন্ন আলোচনা করা হয়ে থাকে এবং রাষ্ট্রের কার্যাবলী ও জনগণ এর অধিকার নিয়ে আলোচনা করা হয়ে থাকে তাকে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বলে।
অনেকেই গুগলে সার্চ করেন রাষ্ট্রবিজ্ঞানের আধুনিক জনক কে? রাষ্ট্রবিজ্ঞানের আধুনিক জনক হচ্ছে নিকোলো ম্যাকিয়াভেলি।
তিনি রাষ্ট্রবিজ্ঞান সম্পর্কে বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে প্রথম রাষ্ট্রের বিভিন্ন সমস্যার সমাধান করেন।
এরিস্টটল এর মতে রাষ্ট্রবিজ্ঞান কাকে বলে
অ্যারিস্টোটল রাষ্ট্রবিজ্ঞানের সুনির্দিষ্ট এবং পরিষ্কার মতবাদ দিয়েছেন। তার প্রখর এবং রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি এবং বিষয় এর পদ্ধতিগত ভাগ করার মাধ্যমে বাস্তবে রাষ্ট্রবিজ্ঞানের একটি ভিত্তি স্থাপন করেছিলেন।
তাহারেই দূরদর্শিতার কারণেই তাকে রাষ্ট্রবিজ্ঞানের জনক বলা যেতে পারে।
রাষ্ট্রবিজ্ঞান কে বিজ্ঞান বলা হয় কেন
বিজ্ঞান শব্দের অর্থ হলো বিশেষ জ্ঞান। এই জ্ঞান যেকোনো বিষয় হতে পারে যেমন পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন বিজ্ঞান। আবার হতে পারে কোন নির্দিষ্ট বিষয়ে সুসংবদ্ধ যেমন রাষ্ট্রবিজ্ঞান এবং অর্থনীতি।
কিংবা হতে পারে সঙ্গীত বিষয়ক জ্ঞান যেমন সঙ্গীত বিজ্ঞান। কিংবা মন বিষয়ের বিশেষ জ্ঞান যেমন মনোবিজ্ঞান।
উপরের কথাটি বিশ্লেষণ করলে বুঝা যায় কোন নির্দিষ্ট বিষয়ে বিশেষ জ্ঞান লাভ করা হল বিজ্ঞান।
রাষ্ট্রবিজ্ঞান পরলে রাষ্ট্রের উৎপত্তি, বিকাশ ও পরিচালনা করার জন্য জ্ঞান লাভ করা যায় তাই এটাকে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বলা হয়।
রাষ্ট্রবিজ্ঞান পাঠের প্রয়োজনীয়তা
রাষ্ট্রবিজ্ঞান একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় যা মানব সমাজ এবং রাষ্ট্রের সম্প্রসারণ, পরিবর্তন এবং বিকাশ নিয়ে বিস্তারিত ধারণা নিয়ে।
এটি রাজনৈতিক এবং সামাজিক প্রশ্নগুলির নিবেদন এবং বিশ্লেষণ নিয়ে কাজ করে এবং সরকার, প্রশাসন, নীতিমালা ও রাজনৈতিক সমাজ বিশ্লেষণ ও অনুশীলনে অস্ত্র হিসাবে ব্যবহৃত হয়।
রাষ্ট্রবিজ্ঞান এর প্রয়োজনীয়তা নিম্নলিখিত বিষয়গুলি উল্লেখযোগ্যঃ
১. সরকারি নীতি এবং পরিকল্পনা সম্পর্কে বিশ্লেষণ করার জন্য রাষ্ট্রবিজ্ঞান প্রয়োজন।
২. দলিত ও আদিবাসী সম্প্রসারণ ও তাদের নীতির উন্নয়নে রাষ্ট্রবিজ্ঞান একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।
৩. কর্মচারী ও সেবা দাতাদের সম্পর্কে আইন এবং বিধি বিষয়ক নীতি গবেষণার জন্য রাষ্ট্রবিজ্ঞান প্রয়োজন।
৪. রাজনৈতিক দলের বিভিন্ন মতামত এবং রাজনীতি প্রক্রিয়া নিয়ে বিশ্লেষণ করার জন্য রাষ্ট্রবিজ্ঞান প্রয়োজন।
৫. সমস্যা নিষ্পত্তি এবং সমাধানের জন্য রাষ্ট্রবিজ্ঞান প্রয়োজন। এটি বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক এবং আর্থিক সমস্যার সমাধান করতে সহায়তা করে।
৬. রাষ্ট্রবিজ্ঞান একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় যা স্বতন্ত্র সংস্থাগুলি ও অন্যান্য সামাজিক প্রতিষ্ঠানগুলি পরিচালনা এবং পরিকল্পনার সাথে সম্পর্কিত।
৭. আর্থিক নীতি ও ব্যবস্থাপনার জন্য রাষ্ট্রবিজ্ঞান প্রয়োজন। এটি রাষ্ট্রের আর্থিক উন্নয়ন ও বিকাশে একটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ হিসাবে কাজ করে।
৮. নিরাপত্তা প্রশাসন ও আইনগত বিষয়গুলি নিয়ে রাষ্ট্রবিজ্ঞান একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এটি বিভিন্ন নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠান এবং আইনগত
পোস্টটি সম্পূর্ণ পড়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ এরকম আরো পোস্ট পেতে আমাদের নিচে কমেন্ট বক্সে কমেন্ট করতে পারেন ।
বিভিন্ন সমস্যার সমাধান করার জন্য bloginfobd এর কন্টাক্ট পেইজে যোগাযোগ করতে পারেন।
ধন্যবাদ
যৌগিক সংখ্যা কাকে বলে । Composite Number
মেধাবী ছাত্র হওয়ার বৈজ্ঞানিক কৌশল – Good Student
- রাষ্ট্র কাকে বলে?
- আধুনিক রাষ্ট্রবিজ্ঞানের জনক কে?
- এরিস্টটল এর মতে রাষ্ট্রবিজ্ঞান কাকে বলে?
- রাষ্ট্রবিজ্ঞান অনার্স?
- রাষ্ট্রবিজ্ঞান কোন বিজ্ঞানের শাখা?
- রাষ্ট্রবিজ্ঞান ও অর্থনীতির সম্পর্ক কি?
- রাষ্ট্রবিজ্ঞান কে বিজ্ঞান বলা হয় কেন?