আসসালামু ওয়ালাইকুম / নমষ্কার। আশা করি সবাই ভালো এবং সুস্থ রয়েছেন। ব্লগ ইনফো বিডি’র আরো একটি তথ্যবহুল আয়োজনে আপনাকে স্বাগতম।
বিভিন্ন বিষয়ে দক্ষতা অর্জনের জন্য সর্বোত্তম মাধ্যম হলো কোর্স। একটি কোর্সে উক্ত বিষয়ের উপর সম্পূর্ণ এবং বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হয়ে থাকে।
বেসিক টু এডভান্স লেভেল পর্যন্ত প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়ে থাকে। এই কোর্স প্রধানত দুই প্রকার। যথা :
১. অনলাইন কোর্স এবং
২. অফলাইন কোর্স
অনলাইনে জনপ্রিয় কিছু ওয়েবসাইট
আজ আমাদের আলোচ্য বিষয় হলো অনলাইন কোর্স। অনলাইনে বিভিন্ন বিষয়ে কোর্স করিয়ে থাকে এমন অগনিত প্রতিষ্ঠান বিদ্যমান। তার মধ্যে কিছু হলো :
১. 10 Minute School
২. Shikho
৩. Bondi Pathshala
৪. Fahads Tutorial
৫. Unique Teaching Method
৬. Rifat Academy
৭. Educator Bro
৮. Multimedia it limited
৯. Bohubrihi
১০. Creative IT
১১. E-shikhon
১২. Softtech IT
১৩. Graphic School Bd
১৪. Problem ki Academy,
১৫. Khalid Farhan,
১৬. Jhanker Mahbub ।
অনলাইন কোর্সের জন্য উপরিক্ত প্রতিষ্ঠানগুলোসহ রয়েছে বহু প্রতিষ্ঠান। যাদের মাধ্যমে আপনারা একাডেমিক পড়াশোনা সম্পর্কিত কোর্স থেকে শুরু করে দক্ষতা অর্জনের সকল ধরনের কোর্সই করতে পারবেন।
ঘরে বসেই আত্মন্নয়ের জন্য অনলাইন কোর্স গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। যদিও এগুলো কিছু বছর আগেও ছিল বাংলাদেশের মানুষের কাছে কল্পনাতীত ।
যা বর্তমানে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির উন্নয়নে বাস্তবে রূপ নিয়েছে। তাহলে আর বেশি দেরি না করে মূল আলোচনায় ফেরা যাক।
অনলাইন কোর্স মূলত দুই প্রকার। যথা :
১. পেইড কোর্স এবং
২. নন-পেইড বা ফ্রি কোর্স
★ পেইড কোর্স :
“পেইড” অর্থ “অর্থ প্রদান করা”। অর্থাৎ, যে কোর্স অর্থ প্রদানের মাধ্যমে ক্রয় করে করতে হয় তাকে “পেইড কোর্স”।
পেইড কোর্স সাধারণত দুই ধরনের। যথা :
১. পেইড লাইভ কোর্স এবং
২. পেইড রেকর্ডেড কোর্স
সকল জিনিসেরই রয়েছে ভালো-খারাপ দিক এবং সুবিধা-অসুবিধা। এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আমরা অনলাইন কোর্সের সুবিধা-অসুবিধাগুলো জানতে পারব।
পেইড কোর্সের সুবিধা :
১. পেইড কোর্সে রয়েছে কোয়ালিটিফুল কোর্স করার সুযোগ। অর্থাৎ, উন্নত প্রযুক্তির মাধ্যমে অত্যাধুনিক কলা-কৌশল ব্যবহার করে তৈরী করা হয় পেইড কোর্সগুলো।
২. পেইড লাইভ কোর্সে প্রশিক্ষক লাইভে এসে তার কোর্সের শিক্ষার্থীদেরকে প্রশিক্ষণ দিয়ে থাকেন।
অর্থাৎ, Zomm, Google Meet বা এই ধরনের লাইভ মিটিং সফটওয়্যারের মাধ্যমে প্রাইভেটভাবে ক্লাস করানো হয় এই পেইড লাইভ কোর্সে। এর মাধ্যমে প্রশিক্ষকের সাথে আন্তরিক সম্পর্ক স্থাপন করা যায়।
ফলে দৃঢ়ভাবে শিক্ষা গ্রহন করা যায়।
৩. পেইড রেকর্ডেড কোর্সগুলো প্রশিক্ষক কতৃক পূর্বধারণকৃত ভিডিও গুলো সমষ্টিবদ্ধ করে তৈরী করা হয়ে থাকে। এখানে লাইভ প্রশ্নের সুযোগ না থাকলেও এই ধরনের কোর্সের ফি তুলনামূলক কম।
৪. পেইড কোর্সে কোর্স শেষ করার পর প্রদান করা হয় উক্ত প্রতিষ্ঠান কতৃক সনদপত্র। যা যেকারো চাকরির জন্য তার সার্টিফিকেট সংবলিত ফাইলে শোভা পায়।
★ নন-পেইড বা ফ্রি কোর্স :
“নন পেইড” অর্থ “অর্থ প্রদান না করা”। অর্থাৎ, যে কোর্স বিনামূল্যে করা যায় তাকে “নন-পেইড বা ফ্রি কোর্স”।
নন-পেইড বা ফ্রি কোর্স সাধারণত এক ধরনেরই হয়ে থাকে। যথা :
১. ফ্রি রেকর্ডেড কোর্স
নন-পেইড বা ফ্রি কোর্সের সুবিধা :
১. যারা টাকা খরচ না করেই কোনো বিষয়ে শিক্ষা গ্রহণ করতে চায় তাদের জন্য ফ্রি কোর্সই সেরা।
২. পেইড রেকর্ডেড কোর্সগুলো প্রশিক্ষক কতৃক পূর্বধারণকৃত ভিডিও গুলোকে সমষ্টিবদ্ধ করে তৈরী করা হয়ে থাকে।
এখানে লাইভ প্রশ্নের সুযোগ না থাকলেও এই ধরনের কোর্সের জন্য খরচ করতে হয় না কোনো প্রকার অর্থের।
অনলাইন কোর্সের অসুবিধা :
অনলাইন কোর্সের অসুবিধার লিস্টে পেইড মোর্স এবং নন-পেইড কোর্স উভয়ই অন্তর্ভুক্ত।
১. অনলাইন কোর্সে সাধারণত সাবলীলভাবে কোনো প্রশ্ন করা যায় না।
২. লাইভ ক্লাসে একসাথে অনেকে জয়েন করা যায় না।
৩. কোর্সের ক্লাস চলাকালীন সময়ে ক্লাস ফাঁকি দেওয়ার সম্ভাবনা বা ক্লাসে অমনোযোগিতা।
৪. লাইভ কোর্সের জন্য প্রয়োজন হয় বিরামহীন এবং শক্তিশালী ইন্টারনেট সংযোগ। যা দেশের সকল স্থানে এখনো পর্যন্ত পৌঁছায়নি।
৫. অনলাইন কোর্সে সাধারণত হাতে-কলমে শিক্ষা গ্রহণের সুযোগ থাকে না। যেকোনো বিষয়ে প্রশিক্ষণ নেওয়ার ক্ষেত্রে যেটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়।
অনলাইন কোর্স সর্বশেষ
আমাদের আজকের অনলাইন কোর্স পোষ্টটি যদি ভাল লেগে থেকে তাহলে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন। আর আরও কিছু জানার থাকলে সাপোর্ট বাটনে ক্লিক করবেন।
নতুন নতুন পোষ্ট পেতে ব্লগ ইনফো বিডি ওয়েবসাইটে নিয়মিত ভিজিট করুন।
ধন্যবাদ
লেখনী – পলক দাস
আরও পড়ুন:
অনলাইন ব্লগইনফো বিডি থেকে আয় করার নিয়ম
সেরা পিটিসি ওয়েবসাইট থেকে আয় করুন মাসে ১০ থেকে ১৫ হাজার !!
ফ্রিল্যান্সিং বলতে কি বুঝায়? নতুনদের জন্য ফ্রিল্যান্সিং 2023