কোমর ব্যথার ঘরোয়া চিকিৎসা: আসসালামু আলাইকুম আজকের আলোচনার বিষয়বস্তু হচ্ছে কোমর ব্যাথা । কোমর ব্যথায় অপারেশন বিহীন চিকিৎসা। প্রতি বছরে দ্বিগুণ হারে বেড়ে চলছে ।
কোমর ব্যথার কারণ
ব্যথা বিভিন্ন কারণে হতে পারে যেমন মানুষের দুর্বলতার কারণে হতে পারে। গবেষণায় দেখা গেছে প্রায় ৮০% লোক জীবনের কোন না কোন সময় কোমর ব্যথায় ভুগে থাকেন। কোমর ব্যথা হওয়ার অনেক কারণ আছে।
- মাংস খাটো বা টাইট হলে হতে পারে।
- জয়েনটে ডিসফাংশনের জন্য হতে পারে।
- লিগামেন্ট সমস্যার জন্য হতে পারে।
- ডিস্কে সমস্যার কারণে হতে পারে ।
- ডুরা মেটার এর অসুস্থতা হতে পারে।
- স্পাইন বাঁকা হতে পারে।
- ইলিয়াম উঁচু-নিচু হলে হতে পারে।
এছাড়াও লাম্বার স্পাইন এর জেনেটিক কার্ড থাকে সে কারব অধিকাংশ সময় কমে যায় কিন্তু খুব কম রোগীর কোনো কোনো সময় বেড়ে যায়। এ কারণে কোমর ব্যথা হতে পারে। কোমর ব্যথার ঘরোয়া চিকিৎসা পদ্বতি ।
পড়ুন: অশ্বগন্ধা খেলে কি লম্বা হওয়া যায় । Ashwagandha increase height
যেমন ম্যাকানিকেল ৭%, ডিজেনারেশন ১৩%, ডিস্কের অসুবিধার জন্য ৪%, অস্টিওপোরেসিস ৪%,স্পাইনাল ক্যানাল স্তেনোসিস ৩% স্পন্ডিলোলিস্থেসিস ২ শতাংশ এবং অন্যান্য কারণের জন্য ৭% এছাড়াও সমাজের প্রাপ্ত বয়স্ক লোকদের মধ্যে ১০% ক্রনিক পেনিক ভুগে থাকেন।
কোমর ব্যথার প্রভাব
ব্যথার জন্য ৭৭ শতাংশ মানুষ ডিপ্রেশনে ভুগছি থাকেন। ২০ শতাংশ মানুষ ব্যথার কারণে ঘুমাতে পারেন না। ৫১ শতাংশ লোকের ব্যথার উপর কোনো নিয়ন্ত্রণ থাকে না। গবেষকদের মধ্যে কোমর ব্যথার কারণে কর্মস্থলে অনুপস্থিতির সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলছে ।
ফলে প্রতিবছর কোমর ব্যথার জন্য বার্ষিক আয় ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। আজকে আমি কিভাবে অপারেশন ছাড়া কোমর ব্যথা থেকে মুক্তি পাওয়া যায় সে বিষয় নিয়ে আলোচনা করছি।
কোমর ব্যথার খাবার
তারপর আসে যে খাদ্য তালিকার কি ধরনের খাবার খেতে হবে প্রথমত খাবার খেতে হবে । এমন অনেক খাবার আছে যে খাবারগুলো ব্যথা কমায় সে খাবার খাবেন।
নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ব্যথা নিরাময় কিছু প্রাকৃতিক ওষুধের কথা বলেছেন। যেমন মধু । মধুর সাথে ভিনেগার মিশিয়ে লাগালে ব্যথা অনেকটা কমে আসে । খেজুর, কালোজিরা, অলিভ অয়েল, তরমুজ ইত্যাদি খাবার ব্যথা কমাতে সাহায্য করে ।
এছাড়াও লাল চালের ভাত, লাল আটার রুটি , প্রচুর পানি পান করতে হবে, গরু খাসি ও মহিষের মাংস এড়িয়ে চলতে হবে। প্রতিদিন ৩০ মিনিট গায়ে রোদ লাগাতে হবে । ধূমপান বর্জন করতে হবে।
কোমর ব্যথার ঘরোয়া চিকিৎসা
কোমরের যেসব অংশে ব্যথা সেখানে নারকেল তেল লাগিয়ে ঠান্ডা বা গরম সেঁক দিতে হবে । দিনে দুই থেকে তিনবার ১০ থেকে ১৫ মিনিট করে। নিয়মিত এক্সারসাইজ করতে হবে। আপনার রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি করে যা কোমর ব্যথা কমায়।
কোমর ব্যথার ঘরোয়া চিকিৎসা নিয়মিত এক্সারসাইজ হাড়ের ডেনসিটি বাড়িয়ে জয়েন্ট এর সাথে সম্পৃক্ত বিভিন্ন সমস্যা প্রতিরোধ করে।
উল্লেখ্য চিকিৎসা ব্যথার জন্য নয় চিকিৎসা করতে হবে কারণ এর। অর্থাৎ যে কারণে ব্যথা তৈরি হচ্ছে সে কারণ। সেই কারণ আগে বিবেচনা করে বের করতে হবে তারপর চিকিৎসা করতে হবে।
ফিজিওথেরাপি কোমর ব্যথার জন্য একটা ভালো চিকিৎসা ।
কোমর ব্যাথায় খুবই ফলপ্রসূ এবং যারাই দিয়েছেন অনেকেই বেশিরভাগ ৯৯ পারসেন্ট ইন ফিজিওথেরাপি হিজামা থেরাপি দিয়ে আরাম পেয়েছেন।
কোমর ব্যথার জন্য ব্যায়াম
এমন একটি গবেষণায় বলা হয়েছে যে যাদের বয়স ৬০ এর উপরে তারা যদি সপ্তাহে ৫ দিন ৩০ মিনিট এগুলোর এক্সারসাইজ করেন। তাহলে বছরে যে টাকা তিনি চিকিৎসার জন্য ব্যয় করবেন তা অনেকাংশেই কমে আসবে।
এছাড়াও এক্সারসাইজ ডিপ্রেশন কমিয়ে মানসিক প্রশান্তি এনে দেয় । সুতরাং নিয়মিত এক্সারসাইজ করুন সঠিক ফিজিওথেরাপি হিজামা, কাপিং, থেরাপি চিকিৎসা নিন । কোমর ব্যথার কষ্ট থেকে নিজেকে মুক্ত রাখুন।
কোমর ব্যথার ঘরোয়া চিকিৎসা সর্বশেষ
আশা করি আমার কথাগুলো এবং আমার পোষ্টটা দেখে আপনারা উপকৃত হবেন। আগামীতে নতুন রোগ সম্পর্কিত পোষ্ট নিয়ে হাজির হচ্ছে আপনাদের মাঝে ভাল থাকুন সুস্থ থাকুন G
পড়ুন: মাথাব্যথা দূর করার উপায় | মাথাব্যথা লক্ষন এবং চিকিৎসা