ব্রেইন হেমারেজ: হ্যালো বন্ধুরা নতুন এক পোষ্ট এ আপনাকে স্বাগতম । আজ আমরা আলোচনা করব মানবদেহের সবথেকে গুরুত্বপূর্ন ব্রেইন। মানব মস্তিষ্কের সমস্যা সম্পর্কে যাকে আমরা ব্রেন হেমারেজ বলে থাকি। এই রোগটি যেসব ব্যক্তিদের হয়ে থাকে তাদের মধ্যে মাত্র কুড়ি শতাংশ ব্যক্তি ভালোভাবে সুস্থ হয় ।
ব্রেইন হেমারেজ
আর হ্যাঁ একটি রিসার্চ দেখা গিয়েছে যে মহিলাদের তুলনায় পুরুষ ও বয়স্কদের ব্রেন হেমারেজ হওয়ার সম্ভাবনা বেশি । অতিতে বর্তমানে যদি আপনার বা আপনার পরিচিত কোন ব্যাক্তি মস্তিষ্কে ছোটখাটো আঘাত লেগে থাকে। তবে ভালো একটি চিকিৎসকের সাথে প্রথমেই পরামর্শ করে নেওয়া খুবই জরুরি ।
আর সেটি যদি কোনভাবে সম্ভব না হয়ে থাকে তাহলে আপনাকে খেয়াল রাখতে হবে সেই ব্যক্তির দুর্বলতা, মাথা ব্যাথা, বমি ভাব, কিছুই হার্ট শক্ত হয়ে যাওয়া বা চেতনা শক্তি হ্রাস পাওয়ার মতো ঘটনা ঘটছে কিনা। মনে রাখবেন ব্রেন হেমারেজের প্রভাবে জ্বর আসা একটি স্বাভাবিক লক্ষণ।
এই বিষয়গুলি তো হলো ব্রেন হেমারেজ এর কিছু লক্ষণ। তবে এই ব্রেন হেমারেজ আসলে কেন হয়? মানব মস্তিষ্কে কি এমন ঘটে যার ফলে ব্রেন স্ট্রোক বা প্রাণসংশয় হবার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। তা জেনে নেওয়া যাক ।
ব্রেইন হেমারেজ প্রকারভেদ
প্রথমেই জানিয়ে রাখি ব্রেন হেমারেজ চার প্রকার হয়ে থাকে এপিডিউরাল হেমারেজ, সাপডিউরাল হেমারেজ, সাবাসেনিয়ড হেমারেজ, ইন্টার প্যারানসিমাল হেমারেজ। এই স্তর গুলির মধ্যে ইন্টারসিটি ব্রেন হেমারেজ কিস্তি বেশিরভাগ অভিব্যক্তি হয়ে থাকে।
মানব শরীরে আর যেসব অঙ্গ গুলি রয়েছে তা ক্ষতিগ্রস্ত হলে চিকিৎসা করলেও করা যেতে পারে। তবে মানব মস্তিষ্কের সামান্য কোন সমস্যা হলে তা আমাদের প্রাণের ঝুঁকি বাড়িয়ে তোলে। এমনই একটি সমস্যা হলো ব্রেন হেমারেজ।
এই সমস্যা প্রধানত হয়ে থাকে মানব মস্তিষ্কের কোন ব্লাড ভেসেলস বা রক্তের ধমনী ফেটে যাওয়ার ফলে। মস্তিষ্কে আঘাতের ফলে রক্ত যখন সেই স্থানের টিস্যু কে প্রভাবিত করে তখন তা খুলে যায়। এইরকম অবস্থায় সেরিবারেল ইডামা বলা হয়।
সেই স্থানের জমা রক্ত হিম তোমা তৈরি করে। যা মস্তিষ্কের টিস্যুর ওপরে চাপ বাড়ে। ফলে মস্তিষ্কের কোষগুলোকে অক্সিজেন সরবরাহ কমে যায় তার ফলে মস্তিষ্কের কোষগুলির মৃত্যু ঘটে ।
আর এমন তুই যদি সত্যিই ঘটে তবে সেই ব্যাক্তিটির কোমা ও প্রাণের সংশয়ের মতো মারাত্মক ঘটনা ঘটতে পারে। মানব শরীরের কোন অঙ্গ যদি আঘাতপ্রাপ্ত হয় তবে সেই সংকেত আমরা মস্তিষ্কের মাধ্যমে পেয়ে থাকি। কিন্তু ব্রেন হেমারেজে এক মস্তিষ্কের মধ্যে কোন ধমনী ফেটে রক্ত বের হয়।
ফলে সেখানে কোনো রকম অনুভূতি হয় না। কারণ আমাদের মস্তিষ্কের কোষ সেই স্থানের কোন রকম অসুবিধা উপলব্ধি করতে পারে না । তবে হ্যাঁ যদি সেই আঘাতপ্রাপ্ত স্থানটি মেনিনজেস ও মস্তিষ্কের আচরণের মধ্যে হয় তখন সেখানে তীব্র মাথা ব্যথা আরম্ভ হয়।
ব্রেইন হেমারেজ কেন হয়
আপনাদের জানিয়ে দিন হেমারেজ হবার সম্ভাবনা বেড়ে যায় । সেইসব ব্যক্তিদের যারা অত্যাধিক মাদকদ্রব্য সেবন করে, যারা মানসিক আঘাত ও যখম পায়, যাদের মস্তিষ্কে ভবনে কি পেটে বা দুর্বল হয়ে যায়। এছাড়াও ব্রেন টিউমার হাই ব্লাড প্রেসার , রক্তে প্লাটিলেট এর মাত্রা কমে যাওয়া হেমারেজ হবার সম্ভাবনা বেশি হয় ।
এই রোগটি থেকে বেঁচে ফিরে আসতে পারে। সাধারণত এই সমস্যাটি হয়ে থাকে মস্তিষ্কের কোন স্থানে আঘাতের ফলে । অতিরিক্ত চিন্তা-ভাবনার ফলে মস্তিষ্কের ভেতর বেড়ে ওঠা টিউমার এর প্রভাবে। এই রোগটি যেকোন সুস্থ ব্যক্তির হওয়াটাই স্বাভাবিক।
আরে না না আমি আপনাকে চিন্তা না করতে বা ঘর বন্দী হয়ে থাকতে এরমধ্যে কোনোটিই করতে বলছিনা। চিন্তাভাবনাও হল মানব জীবনের অঙ্গ। তাই কোন মানুষের থেকে বিরত থাকতে পারবে না। তবে আমাদের প্রত্যেকেরই একটি সতর্ক থাকতে হবে ।
ব্রেইন হেমারেজ লক্ষন
এমন অবস্থা যে সেই ব্যাক্তিটির কথা বলার অসুবিধা হওয়া, অজ্ঞান হয়ে যাওয়া ,শারীরিক ভারসাম্যহীনতা, দুর্বলতা, শিহরণের মত কিছু শারীরিক অবস্থা ছাড়াও খিঁচুনি, দৃষ্টি হারিয়ে যাওয়া মত কিছু বড় অসুবিধা গুলি ও হতে পারে। এমন অবস্থায় রোগীর রক্তচাপ ও শ্বাসক্রিয়া কে স্থিতিশীল অবস্থায় রাখা খুব দরকার।
ব্রেইন হেমারেজ চিকিৎসা
এই শারীরিক লক্ষণ গুলি কে ভিত্তি করে চিকিৎসকেরা হেমারেজের স্থানটি শনাক্ত করতে এমআরআই সিটিস্ক্যান করানোর জন্য বলে থাকে। আরও দু’রকম পরীক্ষা করানো হয়।ব্রেইন সার্জারির জন্য হেমারেজ রোগের নতুন একটি কার্যকরী চিকিৎসা পদ্ধতি হলো ব্রেইন পেথ সার্জারি ।
এই চিকিৎসা পদ্ধতি আগের সব সার্জারি তুলনায় অনেক বেশি কার্যকরী। সাধারণত ব্রেন সার্জারি ফলে যে দাগ হয় এই দাগের পরিমাণ কম হয় ব্রেইন পেথ সার্জারিতে।
ব্রেইন হেমারেজ সর্বশেষ
আজকের পোষ্টটি এই পর্যন্ত । যদি ভাল লাগে অবশ্যই আপনার মূল্যবান একটি কমেন্ট করবেন । আর ব্লগইনফো বিডির পাশে থাকবেন।
ধন্যবাদ
আরও পড়ুন: ভালো ঘুমের জন্য কি করা উচিত । ঘুমের আগে ১০ টি কাজ করুন
খুবি গুরুত্বপূর্ণ ও তথ্য বহুল আলোচনা 👌💖