হিমোগ্লোবিন বাড়ে কোন খাবারে রক্ত মানব দেহের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উপাদান গুলোর একটি। যা দেহের সকল অংশে অক্সিজেন এবং সব ধরনের পুষ্টি উপাদান সরবরাহ করে। দেহে রক্তের কোন উপাদান কম থাকলে সুস্থভাবে বাঁচা সম্ভব নয়।
রক্ত আছে লাল রক্ত কণিকা, সাদা রক্ত কণিকা এবং প্লাটিরেট । লাল রক্ত বসে আছে বিশেষ আয়রন কোম্পাউন্ড । মেডিকেল টামের্ যাকে বলা হয় হিমোগ্লোবিনের। এর প্রধান কাজ হলো হৃৎপিণ্ড থেকে দেহের সব অঙ্গে অক্সিজেন সরবরাহ করা।
হিমোগ্লোবিনে উপস্থিত কার্বন-ডাই-অক্সাইড ও সংগ্রহ করে এবং তা পুনরায় ফুসফুসের কাছে পৌঁছে দেয়। যাতে তার নিঃশ্বাসের সঙ্গে দেহ থেকে বের হয়ে যেতে পারে।
সুতরাং রক্তে হিমোগ্লোবিন কমে গেলে দেহ অক্সিজেনের অভাবে দুর্বল হয়ে পড়ে। এর ফলে রক্তশূন্যতার মত রোগ হয়। এই থেকে বাঁচার উপায় হল হিমোগ্লোবিনে পরিমাণ বাড়ায় এমন কিছু খাবার খাওয়া।
হিমোগ্লোবিন বাড়ে কোন খাবারে
দশটি খাবারের তালিকা দেয়া হলো এগুলো নিয়মিত খেলে রক্তের হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ বাড়বে বা রক্ত বাড়ায় । হ্যালো বন্ধুরা স্বাগতম আপনাকে ব্লগইনফো বিডির আরেকটি নতুন পোষ্টে ।
পোষ্টটি শুরু করার আগে আপনাদের একটি কথা বলতে চাই । আমাদের পোষ্ট গুলো আপনাদের জন্য তৈরি করা হয় অনেক কষ্ট করে । চলুন শুরু করা যাক
মাংস
রক্তে হিমোগ্লোবিন পরিমাণ দ্রুত বাড়াতে প্রয়োজন পর্যাপ্ত প্রাণিজ প্রোটিন। সকল ধরনের লাল মাংস যেমন গরুর মাংস, খাসির মাংস এবং কলিজা আয়রনের সবচেয়ে ভালো উৎসগুলোর একটি।
আয়রন হিমোগ্লোবিন উৎপাদনের জন্য জরুরী। মুরগির মাংস লাল মাংস না হলেও তা হতে হতে বিশাল পরিমাণে আয়রন সরবরাহ করতে পারে।
রসালো সাইট্রিক ফল
সব ধরনের রসালো সাইট্রিক ফল রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বাড়ায়। আম , লেবু এবং কমলা ভিটামিন সি এর সবচেয়ে ভালো উৎস। ভিটামিন সি এর অভাবে হিমোগ্লোবিন কমে যেতে পারে।
তাছাড়া ভিটামিন-সি ছাড়া আয়রন পুরোপুরিভাবে শোষণ হয় না। পেপে ,কমলা, লেবু, গোলমরিচ, ব্রকলি, আঙ্গুর, টমেটো ইত্যাদি প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন সি থাকে।
দেহের আয়রন শুষে নেয়ার জন্য ভিটামিন সি সব থেকে জরুরি তাছাড়া স্ট্রবেরি, আপেল, তরমুজ এবং বেদানা তেও প্রচুর পরিমাণে আয়রন রয়েছে।
তিন সামুদ্রিক খাদ্য
সামুদ্রিক খাদ্য সামগ্রী এবং অন্যান্য পুষ্টি উপাদান আছে প্রচুর পরিমাণে । এনিমিয়া বা রক্ত শূন্যতার রোগীদের প্রতিদিন খাদ্য তালিকার অন্যান্য সামুদ্রিক খাদ্য রাখতে হবে। সয়াবিন বা ছোলা জাতীয় খাদ্যে প্রচুর পরিমাণে আয়রন থাকে ।
বর্তমানের রোগীদের জনপ্রিয় একটি খাবার।এই থেকে সুস্বাদু সব খাবার তৈরি হয় এবং রক্তের হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বাড়ায় । শরীরে লৌহের ঘাটতি হিমোগ্লোবিন কমে যাওয়ার অন্যতম সাধারণ কারণ ।
হিমোগ্লোবিনের উৎপাদনে লোহা গুরুত্বপূর্ণ একটি উপাদান। আয়রন সমৃদ্ধ কিছু খাবার হলো কলিজা, লাল মাংস, চিংড়ি ,পালংশাক, খেজুর, শতমূলী ইত্যাদি।
শস্য জাতীয় খাবার
চাল, গম, বার্লি এগুলো রক্তশূন্যতায় আক্রান্ত রোগীদের জন্য খুবই উপকারী। খাবার এসব খাবার প্রয়োজনীয় কার্বোহাইড্রেট সরবরাহ করে থাকে। বিশেষ করে লাল চাল সব বয়সের রোগীদের জন্য আয়রনের বিশেষ উৎস হিসেবে গণ্য করা হয়।
সবজি
তাজা সবজি খেলে আয়রন ও অন্যান্য পুষ্টি উপাদান এবং নানা ধরনের ভিটামিনের ঘাটতি মিলবে । আলু, কপি, টমেটো এবং লেবু আয়রনের ঘাটতি মেটাতে সক্ষম। সব ধরনের সবজি মোটামুটি আয়রনসমৃদ্ধ ।
ডিম
ডিম হলো আমিষ জাতীয় খাদ্য। যাতে রয়েছে উচ্চমাত্রার এবং অন্যান্য পুষ্টি উপাদান। ডিমের কুসুমে আছে প্রচুর পরিমাণে খনিজ পুষ্টি এবং ভিটামিন। এ কারণে দুর্বল রোগীদের প্রতিদিন সিদ্ধ ডিম খেতে বলা হয়।
শুকনো ফল
কিসমিস ও খেজুরে আছে প্রচুর পরিমাণে আয়রন , ভিটামিন এবং আশ । এসব খাবার খেলে রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বাড়ে দ্রুতগতিতে। যেকোনো ধরনের বাদাম এই মানব দেহের জন্য উপকারী বলে বিবেচিত হয়।
যে কারণে তরুণদের কাজু বাদাম বাদাম চিনাবাদাম এবং আখরোট খেতে বলা হয় । এতে রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বাড়ে।
কলাই শুটির জাতীয় খাদ্য
সয়াবিন, ছোলা বা ডিম জাতীয় খাদ্যে প্রচুর পরিমাণে আয়রন থাকে। বর্তমানে সবজি ভোজিদের জনপ্রিয় একটি খাদ্য ।
চকলেট
চকলেট প্রচুর পরিমাণে আয়রন। এমনকি ডাক্তাররাও ডার্ক চকলেট খেতে বলে। এই সবগুলোই দেহে আয়রনের ঘাটতি মেটায়। এ ধরনের খাবারগুলো রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা দ্রুতগতিতে বাড়িয়ে দেয়।
নিয়মিত খেলে দেহে রক্তের পরিমাণ জীবনীশক্তি এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করবে। এ পোষ্টের মাধ্যমে যদি আপনি উপকৃত হন তবে আমাদের সার্থকতা।
হিমোগ্লোবিন বাড়ে কোন খাবারে সর্বশেষ
হিমোগ্লোবিন বাড়ে কোন খাবারে আমাদের পোষ্ট গুলো ভাল লাগলে নিয়মিত ভিজিত করে পাশেই থাকুন। সবাই ভাল থাকবেন। সুস্থ থাকবেন। খুব তাড়াতাড়ি আবার নতুন পোষ্ট নিয়ে হাজির হব আপনাদের মাঝে ।
আরও পড়ুন : কিডনির কাজ । কিডনি রোগের লক্ষণ ও প্রতিকার