মোটা হওয়ার জন্য অনেকেই চেষ্টা করে থাকে। রোগা পাতলা শরীর দিকে অনেকে ব্যঙ্গ করে। এই ব্যঙ্গ থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য অনেক ধরনের পদ্বতি অবলম্বন করে থাকে।
সুস্বাস্থ্যই সকল সুখের মূল। এই শ্লোগানকে সামনে রেখে আজকের পোষ্ট শুরু করেছে। মোটা হতে চাইলে আপনাকে অবশ্যই কিছু নিয়ম নীতি অনুসরণ করতে হবে।
মোটা হওয়ার সহজ উপায়
মোটা হওয়ার অনেক উপায় রয়েছে। উপায় গুলো অনুসরণ করার মাধ্যমে আপনি সহজেই মোটা হতে পারেন। যেমন ঔষধ ব্যবহার করার মাধ্যমে বা পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ করার মাধ্যমে।
আপনি যদি স্থায়ী ভাবে মোটা হতে চান। তাহলে আমাদের মোটা হওয়ার যে পদ্ধতি বলা হয়েছে সেটি নিয়মিত ভাবে অনুসরণ করুন। অনেকে বিভিন্ন ঔষধ সেবন করে। পরবর্তীতে দেখা যায় তার শরীরে অনেক রোগ দেখা দেয়।
চলুন জেনে নেই মোটা হওয়ার সহজ উপায়গুলো
মোটা হওয়ার কয়েকটি সহজ উপায়গুলো অনুসরণ করার মাধ্যমে। আপনি সহজ মোটা হতে পারেন।
-
মোটা হওয়ার খাবার
-
মোটা হওয়ার সহজ প্রাকৃতিক উপায়
-
মোটা হওয়ার জন্য খাদ্য তালিকা
মোটা হওয়ার খাবার
সুষম খাদ্য: সুষম খাদ্য বলতে ওই খাদ্যকে বুঝি যে খাদ্য সব রকম পুষ্টি উপাদান বিদ্যমান থাকে। আপনি যদি মোটা হতে চান। তাহলে আপনাকে সুষম খাদ্য গ্রহণ করতে হবে।
আলু: কার্বোহাইড্রেট এবং কমপ্লেক্স সুগারে পরিপূর্ণ উপাদান হল আলু।মোটা হতে যা আপনাকে সহজে সাহায্য করে। এজন্য আপনাকে দুবার সিদ্ধ আলু খেতে হবে।
এছাড়াও আপনি আলুর চিপস অলিভ অয়েল দিয়ে ভেজে নিয়মিত খেলে ওজন বাড়াতে শুরু করবে। ওজন বাড়ার পাশাপাশি আপনার শরীরের স্বাস্থ্য বৃদ্ধি পাবে।
ডিম: লম্বা এবং ওজন বাড়ানোর জন্য ডিম একটি ভালো উৎস। ডিমে থাকে ফ্যাট, প্রোটিন, ক্যালোরি। যা দেহের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাই তিন থেকে চারটি ডিমের সাদা অংশ খান।
বাদাম:বাদাম গ্রহণ করার মাধ্যমে আপনার শরীরের ওজন বাড়াতে পারেন। বাদাম একটি খুবই উপকারী খাদ্য। রাত্রে শোয়ার আগে এক গ্লাশ পানিতে কিসমিস ও বাদাম ভিজিয়ে রাখুন। এটি সকালে নিয়মিত খান।
পি-নাট বাটার:পিনাট বাটার ক্যালোরি যুক্ত একটি খাবার। প্রতিদিন একবার করে টির বিস্কুট এর সাথে পি নাট বাটার খান। তাই তাড়াতাড়ি ওজন বাড়াতে নিয়মিত পি নাট বাটার খান।
ক্ল্যারিফায়েড বাটার:ক্লারিফাইড বাটার দিয়ে শুধু যে ওজন বাড়ানো যায়। সেটি নয় বরং এটি আপনার শরীরে ভিটামিন বাড়াতে ও কার্যকর ভূমিকা রাখে।
আপনি ক্লারিফাইড বাটার ও চিনি মিশিয়ে রাতে খাবারের ৩০ মিনিট আগে খেতে হবে। একমাস করে প্রতিদিন নিয়মিত খান। দেখবেন আপনার ওজন বাড়ার পাশাপাশি মোটা হয়ে যাচ্ছেন।
বারবার খাওয়া:অনেকেই মনে করেন বারবার খেলে। শরীরের ওজন ও মোটা হওয়ার পরিমাণ খুবই বৃদ্ধি পাবে। কিন্তু বাস্তবের এটি নয়। কেননা বার বার খেলে মেটাবলিজম বেড়ে যায়। ফলে আরো ওজন কমে যায়। তাই আপনাকে বারবার খাওয়া বন্ধ করতে হবে।
মোটা হওয়ার সহজ প্রাকৃতিক উপায়
মোটা হওয়ার সহজ কিছু প্রাকৃতিক উপায় রয়েছে। যেগুলো অনুসরণ করলে আপনি সহজেই আগের চেয়ে মোটা হতে পারেন। মোটা হওয়ার জন্য শুধু খাবারের উপর নির্ভর করলে চলবে না ।
প্রাকৃতিক ভাবে মোটা হতে চাইলে আপনাকে যে পদ্ধতি গুলো অনুসরণ করতে হবে তা নিচে দেয়া হল।
- ব্যায়াম করা
- টেনশনমুক্ত থাকুন
- পরিমিত ঘুমান
ব্যায়াম করা: ব্যায়াম আমাদের প্রতিদিনের একটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ। অনেকে মনে করে ব্যায়াম করার মাধ্যমে ওজন শুধু কমানো যায়। কিন্তু ধারণাটি একেবারেই ভুল।
আপনি ব্যায়ামের মাধ্যমে শারীরিক গঠন ও আপনার ওজন বৃদ্ধি করতে পারেন। সে ক্ষেত্রে নাকি অবশ্যই কিছু ব্যায়াম করতে হবে। এইজন্য আপনাকে আপনার কাছে জিমনাস্টিক সেন্টারে যোগাযোগ করতে পারেন। ইউটিউবে সার্চ করার মাধ্যমে আপনি কিছু ব্যায়াম দেখতে পারেন।
টেনশনমুক্ত থাকুন: শারীরিক সমস্যার বড় কারণ হচ্ছে টেনশন থাকা। ওজন বৃদ্ধিতে টেনশন মুক্ত থাকা প্রয়োজন। তেমনি ওজন কমাতেও টেনশন মুক্ত থাকতে হবে। তাই যতটা সম্ভব টেনশন মুক্ত থাকুন।
পরিমিত ঘুমান:শরীর ঠিক রাখতে ঘুম খুবই প্রয়োজন। আমরা সারাদিন কাজ করে রাতে ঘুমানোর জন্য অতিবাহিত করে। তাই রাতে কোন কাজ না থাকলে জেগে না থেকে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ঘুমিয়ে পড়ুন।
ঘুম থেকে উঠে নিয়মিত কিছু ব্যায়াম করুন। এতে আপনার ওজন দ্রুত বৃদ্ধি পেতে থাকবে ।
সর্বশেষ
মোটা হওয়া আমাদের যেমন গুরুত্বপূর্ণ। তেমনি অধিক মোটা হওয়া আমাদের জন্য মোটেই কল্যাণকর নয়। তাই আপনি মোটা হওয়ার আগে জেনে নিন আপনি সুস্থ আছেন কিনা।
সুস্থতা আল্লাহ তাআলার বড় নেয়ামত। সুস্থ থাকার মাধ্যমেই আপনি আপনার প্রতিদিনের কার্যক্রমগুলো সুষ্ঠুভাবে সম্ভব হয়। তাই আপনি সুস্থ হওয়ার চেষ্টা করুন।
পোস্টটি ভাল লাগে অবশ্যই কমেন্টে বলবেন। কোন কিছু জানার থাকলে আমাদের পেইজে যোগাযোগ করতে পারেন। ব্লগইনফো বিডিতে বিডিতে নিয়মিত ভিজিট করার মাধ্যমে নতুন পোস্ট গুলো পড়তে পারেন।
ধন্যবাদ