আজকের পোষ্টে সিজোফ্রেনিয়া রোগ থেকে মুক্তির উপায় সম্পর্কে আলোচনা করব ।
সিজোফ্রেনিয়া একটি গুরুতর মানসিক রোগের নাম এটি একটি মানুষের চিন্তার অসুখ। যেখানে মানুষের চিন্তা আবেগ আচরণ ইত্যাদি পরিবর্তিত হয়ে যায়।
গবেষণা বলে প্রতি ১০০ জনে প্রায় একজন মানুষ অসুখে ভোগে থাকেন এই অসুখটি সাধারণত 15 থেকে ৫৪ বছর মানুষের মাঝে বেশি লক্ষ্য করা যায় তবে ১৯ থেকে ২০ বছরের মধ্যে বেশি লক্ষ্য করা যায় ।
পুরুষদের ক্ষেত্রে একটু বেশি হয় এর অনেকগুলো লক্ষণ আছে একজন রোগীর সবগুলো লক্ষণ থাকবে এমন নয় তবে সব থেকে কিছু গুরুত্বপূর্ণ লোকের কথা আমি বলবো।
যদি বলতে হয় সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ লক্ষণ এর মধ্যে একটি হচ্ছে হেলুসিনেশন। বিশেষ করে অডিটরি হ্যালুসিনেশন ।
Read More : মানসিক চাপ কী। মানসিক চাপ কমানোর উপায়
যেখানে একজন মানুষ আশেপাশে কেউ না থাকলেও কানে পরিষ্কারভাবে কথা শুনতে পান এবং উনি চাইলে সেটাকে বন্ধ করতে পারেন না।
যাদেরকে আমরা অনেক সময়ই গায়েবী কথা বলে থাকে এই সময় রোগীর শুনতে পান কে তাকে উদ্দেশ্য করে সরাসরি কথা বলছে অথবা দুই বা ততোধিক মানুষ তাকে উদ্দেশ্য করে।
নিজেরা নিজেরা কথা বলছে অথবা তার কাজগুলো ধারাবাহিকভাবে করছে সময় রোগীর অনেক সময় একা একা কথা বলেন অথবা বিড়বিড় করে কথা বলেন।
অথবা একা একায় হাসেন সিজোফ্রেনিয়া অশোকের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ লক্ষণ হলো টেলিভিশন যেখানে একজন মানুষ একটি বিষয়কে খুব দৃঢ় বিশ্বাস করেন ।
যেমন একজন মানুষ মনে করতে পারেন তার আশেপাশের মানুষ অথবা তার কাছে কেউ তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছেন তার ক্ষতি করতে যাচ্ছেন তার সুনাম নষ্ট করতে চাচ্ছেন ।
অথবা খাবারে বিষ মিশিয়ে তাকে মেরে ফেলতে যাচ্ছেন তিনি বিশ্বাস করতে পারেন অন্য কেউ বা বাইরে কোন শক্তি তার কাজকর্ম নিয়ন্ত্রণ করছেন এবং থাকে সবসময়ই সিসি ক্যামেরা দিয়ে ফলো করছেন ।
তিনি বিশ্বাস করতে পারেন তার মনের চিন্তা করল অন্য কেউ চুরি করে নিয়ে যাচ্ছে বা যেকোনোভাবেই হোক প্রচার হয়ে যাচ্ছে।
সবাই জেনে যাচ্ছে অথবা তার চিন্তা গুলো তার নিজের নয় অন্য কেউ জোর পূর্বক তার মনের ভেতরে প্রবেশ করিয়ে দিচ্ছেন।
সিজোফ্রেনিয়া তে চেতনা বাবদ শক্তিতে পরিবর্তন হয় এখানে একজনের স্বাভাবিকভাবে চিন্তা করার ক্ষমতা লোপ পায় মানুষের আচরণের পরিবর্তন হয় কোন কিছু ভালভাবে বোঝার ক্ষমতা কমে যায়
মনোযোগ ও স্মৃতিশক্তি ক্ষতিগ্রস্ত হয় সিজোফ্রেনিক রোগী নিজের যত্ন ঠিকমতো নিতে পারেন না এখানে অনেক সময় রোগী একা একা থাকতে পছন্দ করেন।
অনেক সময় এলোমেলো কথাবাত্রা বলেন অর্থাৎ উনি ঠিক কি বলতে চাচ্ছেন তা ঠিকমত বোঝা যায়না উদ্ভট কিছু আচরণ করতে পারেন।
পারিবারিক সামাজিক ও ধর্মীয়ভাবে গ্রহণযোগ্য নয় এ অসুখে আত্মহত্যার ঝুঁকি অনেক বেড়ে যায় অনেক সময় অন্যকে আঘাত করার প্রবণতাও খুব বেড়ে যায় খুব বেশি রাগারাগি করতে পারে ।
অনেক সময় খুব বেশি ভায়োলেন্ট হয়ে যেতে পারে তার স্বাভাবিক কাজকর্মের ক্ষমতা দিন দিন লোপ পায় পারস্পারিক সম্পর্ক গুলো ঠিকমতো মেন্টেন করতে পারেন না।
কথা বলার গতি বাড়ছে কমে যায় আবেগ লোপ পায় অথবা আবেগের প্রকাশ পরিবর্তিত হয়ে যায় মজার বিষয় হচ্ছে সিজোফ্রেনিক প্রভিদে মনে করেন তার কোন মানসিকতা নেই
তিনি মানসিকভাবে একদম সুস্থ তার আশেপাশের মানুষজন বা আত্মীয় স্বজন ইচ্ছা করে তাকে মানসিক রোগী বানানোর চেষ্টা করছে ।
সিজোফ্রেনিয়া রোগ থেকে মুক্তির উপায়
আশা করি আজকের পোষ্টটি দেখার পর আপনি নিজের ও প্রিয়জনের সিজোফ্রেনিয়া রোগ থেকে মুক্তির উপায় জানতে পারবেন।
পোষ্টটি ভাল লেগে থাকে প্লিজ লাইক ও কমেন্ট করে আমাদেরকে উত্সাহ প্রদান করবেন ।