হাটের রোগীর লক্ষণ সুস্থ-সবল লোকটা হার্ট অ্যাটাকে মারা গেল এই ধরনের কথা আমরা প্রায়ই শুনি।
কারণ ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশন এর হিসাব অনুযায়ী বাংলাদেশের প্রতি ছয়জনের একজন মারা যাচ্ছে হার্টের অসুখ।
এই সংক্রান্ত জটিলতায় আজকের পোষ্টে হার্টের অসুখের ১২ টি লক্ষণ যা দেখে আপনি বা আপনার কাছের মানুষদের সাবধান করতে পারেন ।
এসব লক্ষন দেখা দিলে হার্টের অসুখের চিকিৎসা নিতে পারেন।আজকের টপিক হার্টের অসুখের কিছু ক্লাসিক্যাল ইন্সপেক্টর।
আরও পড়ুন : হার্ট অ্যাটাক কী?এর লক্ষন আর প্রতিকারের উপায় কী?
যা থাকলে আপনার আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায়। যেমন পঞ্চাশের উপর বয়সী বাড়তি ওজন অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিস।
উচ্চ রক্তচাপ, রক্তে হাই কোলেস্টেরল এবং ফ্যামিলিতে হার্টের অসুখে হিস্ট্রি ইত্যাদি এগুলোর যেকোনো দুইটা থাকলেই হার্টের অসুখের বিষয়ে সাবধান হয়ে যান।
বুকে ব্যথা
সিনেমা যেমন দেখা যায় যে হঠাৎ বুকে ব্যথা নিয়ে মাটিতে শুয়ে পড়া বাস্তবে । মনটা সবসময় ঘটনা আর বুকে ব্যথা অনুভব করা মানে হাতে সমস্যা ।
তাও না হার্টের অসুখের ব্যথা হলে বুকে নির্দিষ্ট এক জায়গায় না হয় সাধারণত পুরোপুরি হেল্প করবেন এবং এটি কয়েকটি দিক পর্যন্ত থাকতে পারে ।
এই ব্যথা একটু বসে থাকলে বা হাঁটাচলা করলে কমে যাবে না আপনার বুকে যদি তীব্র ব্যথার সাথে নিঃশ্বাস চেপে আসছে।
যা বুকে চাপ লাগছে অনুভব হয় ব্যথা ঘাড়ে কাঁধে অথবা শরীরের বাম হাতের দিকে ছড়িয়ে যায় এবং শরীর ঘেমে যায়।
তাহলে এটি হার্টের সমস্যার লক্ষণ হওয়ার সম্ভাবনা বেশি এবং এই অবস্থায় ফেল করলে জরুরী ভিত্তিতে হাসপাতালে চলে যাব বমি ভাব এবং অরুচি হার্ট ফাংশন দুর্বল হয়ে পড়লে ।
বমি ভাব দেখা দিতে
আপনাদের সিষ্টেমে পর্যাপ্ত পরিমাণ অক্সিজেন সমৃদ্ধ রক্ত পৌঁছায় না এই কারণে আপনার হজমের সমস্যা বুক জ্বালাপোড়া ভাবে হবে এবং এর ফলে খাবারে অরুচি ও কিছু খেতে গেলে বমি ভাব দেখা দিতে পারে।
শরীরের রক্ত সঞ্চালন কমে গেলে আমাদের সারা দেহে পর্যাপ্ত পরিমাণ অক্সিজেন ও ক্যালোরি পৌছাতে পারেনা।
দুর্বলতা ও এলার্জি
তাই হার্ট দুর্বল হওয়ার অন্যতম লক্ষণ হচ্ছে সারাক্ষণ দুর্বলতা ও এলার্জি অভাব ফেল করা হার্ট দুর্বল হলে ব্রেনে ব্লাড সাপ্লাই কমে যাওয়ার কারণে।
আমাদের ব্রেইন স্কুল ফাংশন করার মতো শক্তি জোগাড় করতে পারেনা ব্রেইন অনেকটা তন্দ্রাচ্ছন্ন অবস্থায় গিয়ে শুধু শরীরের ব্যবসা চালু রাখার চেষ্টা করে।
এই কারণে আপনি বিশ্রাম এবং ভালো ঘুম হওয়ার পরেও সারাদিন ঝিমুনি ভাব ফিল করতে পারেন দেখা গেল মনোযোগ দিয়ে কোন কাজ করতে পারছেন না।
অল্পতেই হাঁপিয়ে যাওয়া
অল্পতেই হাঁপিয়ে যাওয়া শারীরিক পরিশ্রম করতে গেলে আমাদের হাটে বেশি পরিমাণ রক্ত সঞ্চালন করতে হয় তাই দুর্বল হাটে আরেকটি লক্ষণ হচ্ছে অল্প পরিশ্রমে হাঁপিয়ে যাওয়া।
যদি দেখেন সামান্য একটু হাঁটা বা সিঁড়ি বেয়ে ওঠার পরে আপনি অনেক বেশি পরিমাণ হাঁপিয়ে যাচ্ছেন এবং মুখ হা করে নিঃশ্বাস নিতে হচ্ছে তাহলে দেরি না করে একজন ডাক্তারের সাথে কথা বলুন।
জোরে নাক ডাকা
নামটা হাজার ৯০০ বন্ধ হয়ে আসা ঘুমের মধ্যে অল্প স্বল্প নাম থাকা অস্বাভাবিক নয় কিন্তু আপনি যদি নিয়মিত অনেক জোরে নাক ডাকেন এবং দম বন্ধ হয়ে যাওয়ার কারণে ঘুম ভেঙে যায় তাহলে এটা হার্টের অসুখের কারণে হতে পারে।
কারণ আপনার ফুসফুস যথাযথভাবে অক্সিজেন সংগ্রহ করলেও আপনার হার তার সারা শরীর পৌঁছাতে পারছে না হঠাৎ কমে যাওয়া শারীরিক বা মানসিক পরিশ্রম করলে অথবা গরমের কারণে ঘাম হতেই পারে।
হঠাৎ ঘেমে যাওয়া
কিন্তু বিনা পরিশ্রমে এবং স্বাভাবিক ওয়েদারে আপনি যদি হঠাৎ থেমে যান তাহলে এটি অবহেলা করে অবশ্যই ডাক্তারের সাথে কথা বলুন হার্টের অসুখ ছাড়াও কিডনি কিংবা থাইরয়েডের ইত্যাদিতেও এই লক্ষণ দেখা যেতে পারে ।
তবে ঘামের সাথে যদি দম আটকে আসার মত অনুভূতি ও বুকে ব্যথা থাকে তাহলে জরুরী ভিত্তিতে হাসপাতালে চলে যান কারণ এটি হার্ট অ্যাটাকের লক্ষণ ।
পায়ের পাতা ফুলে যাওয়া
পায়ে পানি চলে আসে আমাদের শরীর থেকে টক্সিন পরিষ্কার করার কাজ করেননি । কিন্তু যদি আমাদের হার্ট দুর্বল হয়ে যায় তাহলে তিনি উপর পানির ফাংশন করতে পারেনা।
অবস্থায় শরীরের ফ্লুইড বেড়ে যায় এবং যার দরুন পায়ের পাতা ফুলে যাওয়া এবং হঠাৎ ওজন বেড়ে যাওয়ার লক্ষণ দেখা দেয় এমনকি এক দিনে ২ থেকে ৩ কেজি ওজন পর্যন্ত বেড়ে যেতে পারে।
বুক ধড়ফড় করা
অকারণে বুক ধড়ফড় করা আমাদের শারীরিক কার্যক্রম অনুযায়ী আমাদের হার্ট রেট কম বা বেশি হওয়ার কথা কিন্তু হার্ট দুর্বল হয়ে পড়লে ।
আপনি বিনা কারণে এমনকি বসে বসে থাকা অবস্থায় দেখবেন আপনার হার্ট বিট বেড়ে যাচ্ছে দীর্ঘদিন ধরে কাশি তিন সপ্তাহ বা তার বেশি কাশি থাকলে
আমরা যক্ষ্মা পরীক্ষা করতে বলি যদি এরকম কিছু ধারণা করা সত্ত্বেও দীর্ঘদিন ধরে আপনার কাছে থাকে এবং কফের রং সাদা বা হালকা গোলাপি হয়।
তাহলে এটা হার্টের সমস্যার লক্ষণ হতে পারে কারণ হার্ট দুর্বল হলে ফুসফুসের রক্ত জমে এবং এর থেকে কাছের উদ্রেক হয় অনিয়মিত হার্টবিট সুস্থ ও স্বাভাবিক অবস্থায়।
আপনার হার্ড একই রিদমের সারাক্ষণ চলে হার্টের প্রবলেম থাকলে এটিএম রিদম চেঞ্জ হয়ে যায় আপনার মনে হতে পারে মাঝে মাঝে হার্টবিট মিস করছেন।
ত্বকের রঙ একটু ফ্যাকাসে
পরে আবার একসাথে দুবার ভিড় করছে এরকম অস্বাভাবিক হার্টবিট কে বলা হয় অ্যানিমিয়া ত্বকের রঙ ফ্যাকাশে হয়ে যাওয়া হল হলে ত্বকে রক্ত চলাচল অনেক কমে আসে।
এই জন্য ত্বকের রঙ একটু ফ্যাকাসে হয়ে যেতে পারে এবং অক্সিজেনের অভাব ও সেন যুগের কারণে ত্বকের রঙ কারো কারো ক্ষেত্রে নিয়েছে মনে হতে পারে ।
হার্টের অসুখ সিরিয়াস আকার ধারণ করে যখন আপনি দীর্ঘদিন ধরেই লক্ষণ গুলো অবহেলা করে এবং ডাক্তারের পরামর্শ ইগনোর করে প্রাথমিক অবস্থায়।
রোগ ধরা পড়লে আপনি যদি ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী চিকিত্সা ও নিয়ম মেনে চলেন তাহলে এই অসুখ থেকে পুরোপুরি সুস্থ হয়ে উঠতে পারেন ।
আশা করি আজকের পোষ্টটি দেখার পর আপনি নিজের ও প্রিয়জনের হার্টের অসুখ সম্পর্কে সাবধান হতে পারবেন।
পোষ্টটি ভাল লেগে থাকে প্লিজ লাইক ও কমেন্ট করে আমাদেরকে উত্সাহ প্রদান করবেন ।
Read More : মাথাব্যথা দূর করার উপায় | মাথাব্যথা লক্ষন এবং চিকিৎসা